ঢাকা , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজেশন করার কাজ চলছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, একটা দেশের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার উন্নতির দরকার। জনগণের নিরাপত্তার দরকার। এজন্য প্রয়োজন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য কাজ চলছে। শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা জেলা আইনজীবি সমিতির আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার সদ্য বিদায়ী জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ান মো. শফিউল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ বেগম জেবুন্নেছা, পিপি অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাড. কাইমুল হক রিংকু, অ্যাড. জাফরুল আহসান, অ্যাড. সৈয়দ আবদুল্লাহ পিন্টু, অ্যাড. জহিরুল ইসলাম সেলিম, অ্যাড. তাইফুর আলম, অ্যাড. কাজী নাজমুস্‌ সাদাত, অ্যাড. আবদুল মমিন, অ্যাড. ফজলুর রহমান ও অ্যাড. সৈয়দ নুরুর রহমান প্রমুখ। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ইন্ডেপেন্ডেন্ট জুডিসিয়ারী, রুল অব ল নিয়ে অনেকদিন কথা বলছি। এতে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা অখুশী হয়েছেন। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি উপলব্ধি করছেন। আইনের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে খোলামেলা কথা বলেছি। আইনের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে চেষ্টা করছি। সারাদেশে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে বিচারক সংকট রয়েছে। মামলার জট কমাতে জেলা পর্যায়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে দুইজন করে বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রম নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এ সমস্যা নিরসন করা হবে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমাদের দেশে উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে ডিজিটালাইজেশন। ইউনিয়ন পর্যায়েও ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে। আমাদের দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ৫শ’ টাকার নিচে এখন আর কোন শ্রমিক পাওয়া যায় না। ২-৩ বছর পর এদেশের শ্রমিকরা আর বিদেশে কাজ করার জন্য যাবে না। অর্থনীতির দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজেশন করতে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি এ বাজেটে এটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। সরকারকেও আমরা মেগা বাজেট দিয়েছি। ইতিমধ্যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকেও প্রস্তাব এসেছে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশন হলে মামলার তথ্য মনিটরের মাধ্যমে সকলে জানতে পারবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেখানে মামলার তারিখ, মামলার রায়, জামিনের বিষয়সহ সকল তথ্য প্রদর্শন করা হবে। বিচারকের রায়ের সার্টিফাইড কপিও আইনজীবীরা দ্রুত সরবরাহ করতে পারবেন। এদেশের গ্রামাঞ্চলের ৮০ ভাগ মামলা হয় জেলা পর্যায়ের আদালতে। বিচারালয়ে যারা আসবে তারা এটাকে পবিত্র জায়গা হিসেবে মনে করবে। সকল ধর্ম-বর্ণের লোকজনই আসে বিচারালয়ে। এ বিচারালয় হবে ‘টেম্পল অব জাস্টিস’। কুমিল্লার আদালত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আদালতের উন্নয়নের জন্য একটা ভাল প্রজেক্ট দরকার। একটা মাস্টার প্ল্যান করে প্রজেক্ট দেন। এর বাস্তবায়নে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। গত কয়েকদিন আগে এখানে  জেলা ও দায়রা জজ পদটি শূন্য হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে। এর আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বেলা ১১টার দিকে নগরীর কাপড়িয়াপট্টি এলাকায় শ্রী শ্রী চান্দমনি রক্ষাকালী মন্দির উদ্বোধন করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজেশন করার কাজ চলছে

আপডেট টাইম : ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, একটা দেশের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার উন্নতির দরকার। জনগণের নিরাপত্তার দরকার। এজন্য প্রয়োজন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য কাজ চলছে। শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা জেলা আইনজীবি সমিতির আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার সদ্য বিদায়ী জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ান মো. শফিউল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ বেগম জেবুন্নেছা, পিপি অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাড. কাইমুল হক রিংকু, অ্যাড. জাফরুল আহসান, অ্যাড. সৈয়দ আবদুল্লাহ পিন্টু, অ্যাড. জহিরুল ইসলাম সেলিম, অ্যাড. তাইফুর আলম, অ্যাড. কাজী নাজমুস্‌ সাদাত, অ্যাড. আবদুল মমিন, অ্যাড. ফজলুর রহমান ও অ্যাড. সৈয়দ নুরুর রহমান প্রমুখ। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ইন্ডেপেন্ডেন্ট জুডিসিয়ারী, রুল অব ল নিয়ে অনেকদিন কথা বলছি। এতে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা অখুশী হয়েছেন। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি উপলব্ধি করছেন। আইনের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে খোলামেলা কথা বলেছি। আইনের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে চেষ্টা করছি। সারাদেশে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে বিচারক সংকট রয়েছে। মামলার জট কমাতে জেলা পর্যায়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে দুইজন করে বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রম নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এ সমস্যা নিরসন করা হবে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমাদের দেশে উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে ডিজিটালাইজেশন। ইউনিয়ন পর্যায়েও ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে। আমাদের দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ৫শ’ টাকার নিচে এখন আর কোন শ্রমিক পাওয়া যায় না। ২-৩ বছর পর এদেশের শ্রমিকরা আর বিদেশে কাজ করার জন্য যাবে না। অর্থনীতির দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজেশন করতে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি এ বাজেটে এটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। সরকারকেও আমরা মেগা বাজেট দিয়েছি। ইতিমধ্যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকেও প্রস্তাব এসেছে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশন হলে মামলার তথ্য মনিটরের মাধ্যমে সকলে জানতে পারবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেখানে মামলার তারিখ, মামলার রায়, জামিনের বিষয়সহ সকল তথ্য প্রদর্শন করা হবে। বিচারকের রায়ের সার্টিফাইড কপিও আইনজীবীরা দ্রুত সরবরাহ করতে পারবেন। এদেশের গ্রামাঞ্চলের ৮০ ভাগ মামলা হয় জেলা পর্যায়ের আদালতে। বিচারালয়ে যারা আসবে তারা এটাকে পবিত্র জায়গা হিসেবে মনে করবে। সকল ধর্ম-বর্ণের লোকজনই আসে বিচারালয়ে। এ বিচারালয় হবে ‘টেম্পল অব জাস্টিস’। কুমিল্লার আদালত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আদালতের উন্নয়নের জন্য একটা ভাল প্রজেক্ট দরকার। একটা মাস্টার প্ল্যান করে প্রজেক্ট দেন। এর বাস্তবায়নে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। গত কয়েকদিন আগে এখানে  জেলা ও দায়রা জজ পদটি শূন্য হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে। এর আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বেলা ১১টার দিকে নগরীর কাপড়িয়াপট্টি এলাকায় শ্রী শ্রী চান্দমনি রক্ষাকালী মন্দির উদ্বোধন করেন।