বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দেশে এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যে আশ্বস্ত ইসি জানিয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো সময় ঘোষণা করা হবে।
আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমি কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় অন্যান্য কমিশনাররাসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন নির্বাচন আয়োজনে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে।
তবে গতকাল বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি যেন না হয়, সে বিষয়ে তারা সতর্ক থাকবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন।
এ ছাড়া তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট হওয়ার আগ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সময় সময় কমিশনকে জানাবে। তখন প্রয়োজন হলে কমিশন আবার তাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
ব্যালট বাক্স পাঠানো নিয়ে ইসি সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত ব্যালট বাক্স কখন পাঠানো হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ এখনো অনেক সময় রয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ব্যালট বাক্স পাঠানো পর সমস্যা হলে প্রয়োজন অনুযায়ী সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচিব বলেন, আজকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তথ্য উপস্থাপন করেছে এবং বিভিন্ন বাহিনীর কি সক্ষমতা আছে, বা অতীতে কিভাবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের পরিকল্পনা কমিশন উপস্থাপন করেছে। কমিশন তাদের বক্তব্য শুনেছে এবং কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়া, তফসিল ঘোষণার পর পরিপত্র জারি করা হবে, সে বিষয়ে কমিশন তাদের অবহিত করেছে।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো। খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে এবার ভোটকেন্দ্র টিকেছে ৪২ হাজার ১০৩টি। এতে ভোটকক্ষ রয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজারের মতো।