ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশ সঠিকভাবে চালাতে না পারলে আত্মদান বৃথা যাবে: শামা ওবায়েদ

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ বলেছেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনের পরে বাংলাদেশ এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে। একদিকে যেমন একটা প্রশান্তি আছে, তেমনি একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। দেশটাকে সঠিক পথে নিতে না পারলে এই ছাত্রজনতার আন্দোলন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের আত্মদান বৃথা হয়ে যাবে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন মিলনায়তনে আয়োজিত বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।

সেখানে শামা ওবায়েদ বলেন, হাসিনা পালানোর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন আমরা সবাই নিশ্বাস নিতে পারছি, কথা বলতে পারছি, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি, আমাদের ছেলেমেয়েদের ধরে নিয়ে যাবে না, গুম করবে না, সেই একটা প্রশান্তি আছে আমাদের। সেই সঙ্গে দেশে একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। কারণ বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম এখনো কমছে না, অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল হয়নি। এখনো বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা, বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি অত্যন্ত রেসপন্সেবল দল। যারা এর আগে বহুবার সরকারের দ্বায়িত্বে থেকে দেশ পরিচালনা করেছে। শহীদ জিয়ার ১৯ দফা, তারপরে খালেদা জিয়ার ভিশন ২০২৩ দিয়েছিলেন। এর ওপর ভিত্তি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। দেশের সব পর্যায়ের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা করেই তারেক রহমান ৩১ দফা প্রণয়ন করেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঠিক করা, দেশের যেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেখ হাসিনা বা তার পরিবার ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, সেগুলোকে ঠিক করা। কিন্তু এখনো সেই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারিনি।

প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন, খন্দকার ফজলুল হক, আতাউর রশিদ, আলী আশরাফ, দেলোয়ার হোসেন, গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া, আজম খান ও তানভীর চৌধুরী, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ম আহ্বায়কএ বি সিদ্দিক মিতুল, মো. তৈয়ব আক্তার, ওবায়দুল কাদের, আরিফুজ্জামান অপু, আলমগীর ভূঁইয়া, মো. এমদাদুল হক, কাইয়ুম মিয়া, মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়া রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. লিয়াকত আলী, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম রফিকুজ্জামানসহ ফরিদপুরের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দেশ সঠিকভাবে চালাতে না পারলে আত্মদান বৃথা যাবে: শামা ওবায়েদ

আপডেট টাইম : ৫৪ মিনিট আগে

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ বলেছেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনের পরে বাংলাদেশ এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে। একদিকে যেমন একটা প্রশান্তি আছে, তেমনি একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। দেশটাকে সঠিক পথে নিতে না পারলে এই ছাত্রজনতার আন্দোলন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের আত্মদান বৃথা হয়ে যাবে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন মিলনায়তনে আয়োজিত বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।

সেখানে শামা ওবায়েদ বলেন, হাসিনা পালানোর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন আমরা সবাই নিশ্বাস নিতে পারছি, কথা বলতে পারছি, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি, আমাদের ছেলেমেয়েদের ধরে নিয়ে যাবে না, গুম করবে না, সেই একটা প্রশান্তি আছে আমাদের। সেই সঙ্গে দেশে একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। কারণ বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম এখনো কমছে না, অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল হয়নি। এখনো বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা, বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি অত্যন্ত রেসপন্সেবল দল। যারা এর আগে বহুবার সরকারের দ্বায়িত্বে থেকে দেশ পরিচালনা করেছে। শহীদ জিয়ার ১৯ দফা, তারপরে খালেদা জিয়ার ভিশন ২০২৩ দিয়েছিলেন। এর ওপর ভিত্তি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। দেশের সব পর্যায়ের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা করেই তারেক রহমান ৩১ দফা প্রণয়ন করেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঠিক করা, দেশের যেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেখ হাসিনা বা তার পরিবার ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, সেগুলোকে ঠিক করা। কিন্তু এখনো সেই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারিনি।

প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন, খন্দকার ফজলুল হক, আতাউর রশিদ, আলী আশরাফ, দেলোয়ার হোসেন, গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া, আজম খান ও তানভীর চৌধুরী, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ম আহ্বায়কএ বি সিদ্দিক মিতুল, মো. তৈয়ব আক্তার, ওবায়দুল কাদের, আরিফুজ্জামান অপু, আলমগীর ভূঁইয়া, মো. এমদাদুল হক, কাইয়ুম মিয়া, মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়া রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. লিয়াকত আলী, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম রফিকুজ্জামানসহ ফরিদপুরের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।