ঢাকা , রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংক্রমণের শঙ্কা বাংলাদেশেও মিয়ানমারে আড়াই লাখ এইডস রোগী,

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে শত শত রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে দেশে এইডস সংক্রমণের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী মিয়ানমারে এইডস রোগীর সংখ্যা আড়াই লাখের উপরে অর্থাৎ সে দেশের প্রতি এক হাজার জনে আট জনই এইচআইভি পজেটিভ।

আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা বা আইওএম’র হিসেবে গত ২৫ আগস্ট থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা সাত লাখ ছাড়িয়েছে। মানবিক কারণে তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবাসহ সব সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার। তবে এখন চিন্তার খোড়াক যোগাচ্ছে এইডস রোগ। কক্সবাজারের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ আগস্টের পর এ পর্যন্ত ১৯ জন রোহিঙ্গা এইডস রোগী শনাক্ত করা গেছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের এক আবাসিক চিকিৎসক জানান, এইচআইভি পজেটিভ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও তাঁদের রোগ শনাক্ত করার জন্য টেকনাফ ও উখিয়ায় দুটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে কক্সবাজারের সিভিল সার্জনের দপ্তর-সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত সোয়া দুই লাখ রোহিঙ্গাকে সরকারিভাবে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়েছে। এরা বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত।

সূত্র মতে, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে ২ জন নারীর এইচআইভি পজেটিভ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে ওই ক্যাম্পের আরও ৪ জন নারীর এইচআইভি পজিটিভ বলে জানা যায়। এই ৬ জনের ১ জন মারা গেছে। অন্য ৫ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তদের শনাক্ত করতে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা আশার আলো সোসাইটি ও কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সংক্রমণের শঙ্কা বাংলাদেশেও মিয়ানমারে আড়াই লাখ এইডস রোগী,

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে শত শত রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে দেশে এইডস সংক্রমণের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী মিয়ানমারে এইডস রোগীর সংখ্যা আড়াই লাখের উপরে অর্থাৎ সে দেশের প্রতি এক হাজার জনে আট জনই এইচআইভি পজেটিভ।

আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা বা আইওএম’র হিসেবে গত ২৫ আগস্ট থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা সাত লাখ ছাড়িয়েছে। মানবিক কারণে তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবাসহ সব সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার। তবে এখন চিন্তার খোড়াক যোগাচ্ছে এইডস রোগ। কক্সবাজারের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ আগস্টের পর এ পর্যন্ত ১৯ জন রোহিঙ্গা এইডস রোগী শনাক্ত করা গেছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের এক আবাসিক চিকিৎসক জানান, এইচআইভি পজেটিভ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও তাঁদের রোগ শনাক্ত করার জন্য টেকনাফ ও উখিয়ায় দুটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে কক্সবাজারের সিভিল সার্জনের দপ্তর-সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত সোয়া দুই লাখ রোহিঙ্গাকে সরকারিভাবে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়েছে। এরা বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত।

সূত্র মতে, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে ২ জন নারীর এইচআইভি পজেটিভ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে ওই ক্যাম্পের আরও ৪ জন নারীর এইচআইভি পজিটিভ বলে জানা যায়। এই ৬ জনের ১ জন মারা গেছে। অন্য ৫ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তদের শনাক্ত করতে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা আশার আলো সোসাইটি ও কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল।