বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রোহিঙ্গারা জাতিগত অধিকার নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে নিজ দেশে ফিরতে পারে-এমন একটি পরিবেশ তৈরীর জন্যে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘে মানবতা বিষয়ক সমন্বয়কারি অফিস । তথা ওচাহ। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা । এবং জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার
সোমবার এই ৩ সস্থার প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষে আন্তর্জাতিক মহলের আন্তরিক উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি। বিশেষ করে, আসছে ২৩ অক্টোবর এ ইস্যুতে জেনেভায় যে বৈঠক হবার কথা, তার আগেই যেন বিশ্ব বিবেক সুস্পষ্ট একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সক্ষম হয়। নিরাপদে আপন বাসভবনে ফিরে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে সক্ষম হন সকল রোহিঙ্গা-এমন একটি স্থায়ী পন্থা অবলম্বনে সংশ্লিষ্ট সকলকে এক্ষুণি মনোযোগী হতে হবে। ’
উল্লেখ্য, কুয়েত এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় ওচাহ, আইওএম এবং ইউএনএইচ সিআরের সম্মিলিত উদ্যোগে মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আলোচনা হবার কথা।
এই ৩ সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি, মার্ক লোওকোক এবং উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বিবৃতিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ‘এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমার থেকে এবং এর সমাধানও হতে হবে মিয়ানমারেই।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের দিন তথা ২৫ আগস্ট থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার রোহিঙ্গা প্রাণের ভয়ে নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। মিয়ানমার বাহিনীর বর্বরোচিত আচরণে রোহিঙ্গারা মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন। ভিটেমাটি ছেড়ে আসা প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণ মানবিকতার এক নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, এজন্যে সর্ব মহল থেকেই বাংলাদেশের প্রশংসা উচ্চারিত হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শরনার্থীদের সেবায় দিন-রাত কাজ করছে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সী এবং বেসরকারী সাহায্য-সংস্থা ও সেবামূলক সংগঠনগুলো। চোখে না দেখলে এমন মানবিকতার গভীরতা আঁঁচ করা কঠিন। তবে গৃহত্যাগে বাধ্য হওয়া এসব মানুষের এ বিপদে আরো বেশী সহায়তা প্রয়োজন এবং আন্তর্জাতিক মহলকে উদারচিত্তে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর বিশেষ প্রয়োজন।

বাঙ্গালী কণ্ঠ ডেস্ক 






















