ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরস্কারের কৃতিত্ব আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সদস্যের সজীব ওয়াজেদ জয়

ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি পুরস্কার পাওয়ার কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের সরকারের প্রতিটি সদস্যকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন, ‘আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির জন্য সুশাসনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত ও বাধিত। প্রকৃতপক্ষে এ পুরস্কার আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সদস্যের জন্য। সর্বজ্যেষ্ঠ মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের প্রকৌশলীবৃন্দ, সকলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটিকে সাদরে গ্রহণ করেছেন, সেই সাথে তা বাস্তবে রূপ দিতে অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন।’ খবর বাসস’র।

 

সজীব ওয়াজেদ আরও লিখেছেন, সুশাসন ও নাগরিক সেবার উন্নতিসাধনে তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের প্রয়োগে আজ বাংলাদেশকে পথিকৃৎ ও অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে অবদান রাখতে পেরে তিনি অত্যন্ত গর্বিত।

 

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জয়ের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। প্রখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডাবি একটি জমকালো অনুষ্ঠানের জয়ের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১ অধিবেশন উপলক্ষে এই বছর চালু হওয়া এই পুরস্কারটি বার্ষিক ভিত্তিতে নিয়মিত ভাবে দেয়া হবে।

 

এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সম্মেলন কক্ষে সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের জন্য বাংলাদেশ ও ইউএন অফিসের উদ্যোগ আয়োজিত ‘সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন ইন স্কেলিং আপ ইনোভেশন ইন পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন সজিব ওয়াজেদ জয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সিস্টেমের উন্নয়ন ঘটানো সরকারের জন্য ছিলো সত্যিকার উদ্ভাবনা ও শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা।’

 

তিনি বলেন, ‘আট বছর আগে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ধারণা নিয়ে আসার পর থেকে পরিকল্পনায় সুউচ্চ দৃষ্টি ও লক্ষ্য ছিলো কিভাবে এটি অর্জন করা যাবে অথবা যাবে না।’

 

সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, তখন সেবাসমূহ সহজ করা এবং ডিজিটাইজিং সার্ভিসের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার নিজস্ব পদ্ধতি, নিজস্ব উদ্ভাবন দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

 

তিনি বলেন, ‘সার্বিক লক্ষ্য ছিলো সরকারি সেবাসমূহ ডিজিটাইজ করা এবং মূল লক্ষ্য ছিলো সেবাসমূহ থেকে কিভাবে নাগরিকদের লাভবান করতে পারি। কিভাবে আমরা নাগরিক জীবন গড়ে তুলতে পারি এবং সরকারের সেবাসমূহ সহজ, সাশ্রয়ী, কার্যকর এবং আরো সহজতর করতে পারি।’

 

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, অনেক এলডিসিভুক্ত দেশ যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়, সেটিকে তিনি ‘মুরগি এবং ডিম’ কোথা থেকে শুরু হবে- এ ধরনের সমস্যা বলে উল্লেখ করেন।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পুরস্কারের কৃতিত্ব আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সদস্যের সজীব ওয়াজেদ জয়

আপডেট টাইম : ০৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি পুরস্কার পাওয়ার কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের সরকারের প্রতিটি সদস্যকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন, ‘আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির জন্য সুশাসনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত ও বাধিত। প্রকৃতপক্ষে এ পুরস্কার আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সদস্যের জন্য। সর্বজ্যেষ্ঠ মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের প্রকৌশলীবৃন্দ, সকলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটিকে সাদরে গ্রহণ করেছেন, সেই সাথে তা বাস্তবে রূপ দিতে অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন।’ খবর বাসস’র।

 

সজীব ওয়াজেদ আরও লিখেছেন, সুশাসন ও নাগরিক সেবার উন্নতিসাধনে তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের প্রয়োগে আজ বাংলাদেশকে পথিকৃৎ ও অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে অবদান রাখতে পেরে তিনি অত্যন্ত গর্বিত।

 

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জয়ের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। প্রখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডাবি একটি জমকালো অনুষ্ঠানের জয়ের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১ অধিবেশন উপলক্ষে এই বছর চালু হওয়া এই পুরস্কারটি বার্ষিক ভিত্তিতে নিয়মিত ভাবে দেয়া হবে।

 

এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সম্মেলন কক্ষে সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের জন্য বাংলাদেশ ও ইউএন অফিসের উদ্যোগ আয়োজিত ‘সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন ইন স্কেলিং আপ ইনোভেশন ইন পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন সজিব ওয়াজেদ জয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সিস্টেমের উন্নয়ন ঘটানো সরকারের জন্য ছিলো সত্যিকার উদ্ভাবনা ও শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা।’

 

তিনি বলেন, ‘আট বছর আগে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ধারণা নিয়ে আসার পর থেকে পরিকল্পনায় সুউচ্চ দৃষ্টি ও লক্ষ্য ছিলো কিভাবে এটি অর্জন করা যাবে অথবা যাবে না।’

 

সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, তখন সেবাসমূহ সহজ করা এবং ডিজিটাইজিং সার্ভিসের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার নিজস্ব পদ্ধতি, নিজস্ব উদ্ভাবন দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

 

তিনি বলেন, ‘সার্বিক লক্ষ্য ছিলো সরকারি সেবাসমূহ ডিজিটাইজ করা এবং মূল লক্ষ্য ছিলো সেবাসমূহ থেকে কিভাবে নাগরিকদের লাভবান করতে পারি। কিভাবে আমরা নাগরিক জীবন গড়ে তুলতে পারি এবং সরকারের সেবাসমূহ সহজ, সাশ্রয়ী, কার্যকর এবং আরো সহজতর করতে পারি।’

 

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, অনেক এলডিসিভুক্ত দেশ যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়, সেটিকে তিনি ‘মুরগি এবং ডিম’ কোথা থেকে শুরু হবে- এ ধরনের সমস্যা বলে উল্লেখ করেন।