প্রতিবেশি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে দেশটির নোবাহিনী। সেদেশে রাষ্ট্রীয় এই গণহত্যা বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘকে ইঙ্গিত করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই মুহুর্তে আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপ করা জাতিসংঘের কর্তব্য।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জোনায়েদ সাকি বলেন, মিয়ানমার কার্যত সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি রাষ্ট্র। সারা পৃথিবী আকাঙ্খা করেছিল অং সাং সুকি নির্বাচনে বিজয়ী হলে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য
জাতিসমূহের ওপর নিপীড়ন বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
কিন্তু বর্তমান গণহত্যার ঘটনায় আমরা সুকির মৌন সমর্থকের ভূমিকাই কেবল দেখতে পাচ্ছি। অন্যদিকে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো এই গণহত্যা বন্ধে যে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারতো, সে রকম কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে এক তরফা ভাবে গণহত্যা, ধর্ষণ ও পোড়ামাটি নীতির শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।
সাকি বলেন, মিয়ানমারকে এই গণহত্যা থেকে বিরত রাখতে জাতিসংঘের যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, সেটাও কার্যত অনুপস্থিত। তারা কেবল বাংলাদেশকে শরণার্থীদের গ্রহণ করতে বলেই দায় সারছে। কিন্তু গণহত্যা বন্ধ না করা এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপ করাই ছিল জাতিসংঘের কর্তব্য।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যেন কোন সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সহিংসতার উস্কানি তৈরি না হয়, কোন সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী যেন পরিস্থিতির সুযোগ না নিতে পারে, এর জন্যও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান।