ঢাকা , বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ীতে বৈশাখী মেলা

কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের মসুয়া গ্রামে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ৭ দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা।

মেলা উপলক্ষে এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সত্যজিৎ রায়ের পূর্ব পুরুষ হরি কিশোর রায় চৌধুরী প্রায় ২১০ বছর পূর্বে শ্রীশ্রী কাল ভৈরব পূজা উপলক্ষে এ মেলার প্রচলন করেন বলে জানা গেছে। প্রতি বছর বৈশাখের শেষ বুধবার এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

১৯৪৭ সালের পূর্বে সত্যজিৎ রায়ের পরিবার ভারতে চলে যাবার পর থেকে এলাকাবাসী মেলাটি উদযাপন করে আসছে। এ বাড়িতে প্রায় ৪ একর ভুমি সহ পাশ্ববর্তী বিশাল এলাকা জুড়ে মেলার আয়োজন। প্রায় সহস্রাধিক স্টল বসে মেলায়।

রকমারী কাঠের জিনিসপত্র খেলনা, মিষ্টি তৈজসপত্র, কসমেটিকস সহ নান বিধ স্টল রয়েছে। প্রতিদিন ই দূর দুরান্ত থেকে হাজার মানুষ মেলাটি পরিদর্শনে আসে।

স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মী ছাইদুর রহমান বলেন, মেলাটি কটিয়াদী বাসীর গর্ব। দিন দিন মেলাটি এখানকার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। মেলা উপলক্ষে এলাকার প্রায় ১০ টি গ্রাম জুড়ে বাড়িতে জামাই ও আত্মীয় স্বজনরা বেড়াতে আসে। এটা গ্রামের ঐতিহ্য।

ওই বাড়িতে ১৮৬০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা মহ প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী এবং ১৮৮৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা ছড়াকার সুকুমার রায়। দেশ বিভাগের পূর্বে উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী সপরিবারে কলকাতা চলে যান।

বর্তমানে বিশাল বাড়িটি সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বড়িতে একটি পর্যটন স্পট নির্মাণ করেছে। ২০১২ সালে ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি রেস্ট হাউজসহ বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও রাস্থাঘাট সংস্কার করা হয় । প্রতি বছর মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কবি সাহিত্যিক সহ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। চিত্তবিনোদনের জন্য রয়েছে নানা আয়োজন। এছাড়াও বাউল গানসহ সুকুমার রায় আবৃতি পরিষদের উদ্যোগে কবিতা পাঠের আসরও রয়েছে ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ীতে বৈশাখী মেলা

আপডেট টাইম : ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০১৬

কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের মসুয়া গ্রামে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ৭ দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা।

মেলা উপলক্ষে এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সত্যজিৎ রায়ের পূর্ব পুরুষ হরি কিশোর রায় চৌধুরী প্রায় ২১০ বছর পূর্বে শ্রীশ্রী কাল ভৈরব পূজা উপলক্ষে এ মেলার প্রচলন করেন বলে জানা গেছে। প্রতি বছর বৈশাখের শেষ বুধবার এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

১৯৪৭ সালের পূর্বে সত্যজিৎ রায়ের পরিবার ভারতে চলে যাবার পর থেকে এলাকাবাসী মেলাটি উদযাপন করে আসছে। এ বাড়িতে প্রায় ৪ একর ভুমি সহ পাশ্ববর্তী বিশাল এলাকা জুড়ে মেলার আয়োজন। প্রায় সহস্রাধিক স্টল বসে মেলায়।

রকমারী কাঠের জিনিসপত্র খেলনা, মিষ্টি তৈজসপত্র, কসমেটিকস সহ নান বিধ স্টল রয়েছে। প্রতিদিন ই দূর দুরান্ত থেকে হাজার মানুষ মেলাটি পরিদর্শনে আসে।

স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মী ছাইদুর রহমান বলেন, মেলাটি কটিয়াদী বাসীর গর্ব। দিন দিন মেলাটি এখানকার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। মেলা উপলক্ষে এলাকার প্রায় ১০ টি গ্রাম জুড়ে বাড়িতে জামাই ও আত্মীয় স্বজনরা বেড়াতে আসে। এটা গ্রামের ঐতিহ্য।

ওই বাড়িতে ১৮৬০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা মহ প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী এবং ১৮৮৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা ছড়াকার সুকুমার রায়। দেশ বিভাগের পূর্বে উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী সপরিবারে কলকাতা চলে যান।

বর্তমানে বিশাল বাড়িটি সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বড়িতে একটি পর্যটন স্পট নির্মাণ করেছে। ২০১২ সালে ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি রেস্ট হাউজসহ বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও রাস্থাঘাট সংস্কার করা হয় । প্রতি বছর মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কবি সাহিত্যিক সহ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। চিত্তবিনোদনের জন্য রয়েছে নানা আয়োজন। এছাড়াও বাউল গানসহ সুকুমার রায় আবৃতি পরিষদের উদ্যোগে কবিতা পাঠের আসরও রয়েছে ।