বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এ মাসে বিশ্বখ্যাত গোল্ড ও ডায়মন্ড বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান মালাবারের আমন্ত্রণে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম আরব উপদ্বীপের দেশ ওমান গিয়েছিলেন। সেখানে মাসকাটে তিনটি রোড শোতে অংশ নেন তিনি। ফিরেছেন গত সপ্তাহে। তার সঙ্গে কথা বলেছেন তুহিন খান নিহাল।
দেশে ফিরেছেন কবে। রোড শোর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
গত ১৮ অক্টোবর দেশে ফিরেছি। অভিজ্ঞতার কথা বলতে গেলে সময়টা আসলেই অন্যরকম ছিল। কারণ আমাকে দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ এসেছিল। লাইন ধরে তারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমার নাম ধরে ধরে যেভাবে লোকজন চিৎকার করে ডেকেছিল, তা আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছে।
আপনার অভিনীত ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি দেখতে কবে হলে যাচ্ছেন?
এখনো কোনো প্ল্যান করিনি, আশা করছি খুব দ্রুতই যাব। মনে হয় ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ দর্শকদের ভালো লাগবে। আমি আমার চরিত্রটি সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সবাইকে হলে গিয়ে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
‘আমি নেতা হব’ ছবিটি এখন কোন পর্যায়ে আছে?
ছবিটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। শুধু গানের দৃশ্যের শুটিং বাকি। ছবিটি একদম ভিন্ন রকমের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে।
এই ছবিতে আপনার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাই-
এই ছবিতে আমি মডার্ন যাত্রা দলে কাজ করা একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। সেখানে এক পর্যায়ে নায়কের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এর বেশি আর কিছু বলব না। দর্শকদের জন্য সারপ্রাইজ থাক।
শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ভাইয়া অনেক ফ্রেন্ডলি। তিনি যখন শর্টে আসেন অথবা কাজ করি একসঙ্গে বলতে গেলে খুব মজার সঙ্গে কাজ করি। ঠিক আট বছর আগেও যখন নতুন ছিলাম তখনও অনেক হেল্প করেছেন। মোট কথা ভাইয়া সেটে থাকলে অনেক মজা হয়।
আট বছর পর এই জুটিকে দর্শক কিভাবে দেখবে?
আমাদের এই জুটি কেমন করবে তা দেখার জন্য দর্শক অনেক উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। অনেক দিন যেহেতু কাজের সুযোগ হয়নি। আশা করছি ভালো কিছু দেখবে দর্শক।
আপনার তো শাকিব খানের সঙ্গে আরেকটি ছবি করার কথা রয়েছে?
হ্যাঁ, ‘মামলা হামলা ঝামেলা’ নামে একটি ছবি করব। অনেক ধরনের ঝামেলা নিয়েই এই ছবিটির গল্প। এখানে আমাকে দেখা যাবে একজন এনজিওকর্মীর চরিত্রে। গল্পে দেখা যাবে অনেক মামলা হামলা ঝামেলা। প্রতিটি মুহূর্তই কিছু না কিছু নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকবে।
বর্তমানে চলচ্চিত্রের অবস্থা আপনার কেমন মনে হয়?
ফিল্মের এখনকার অবস্থা অনেক ভালো। তবে নিয়মিত ছবি করছে এমন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কমে গেছে। সেদিক থেকে বলতে হয় যৌথ প্রযোজনার ছবিগুলো ভালো হচ্ছে। এ দেশেরও কয়েকটি ছবি ভালো হয়েছে, তবে তা সংখ্যায় নগণ্য। আমাদের দেশের দর্শকের রুচি পরিবর্তন হয়েছে। ২০ বছর আগে যে ছবিটি হয়েছে এমন গল্প দাঁড় করিয়ে ছবি বানানো হলে দর্শক তা গ্রহণ করবে না। কারণ সবাই ভালো ছবি চায়, ভালো গল্পের ছবি চায়।
চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে কী করা দরকার বলে মনে করেন?
ভালো ছবি নির্মাণ করতে হবে। যার সফলতায় প্রযোজক আসবে ছবিতে লগ্নি করতে। আর হলের অবস্থা অবশ্যই ভালো করতে হবে। সিনেপ্লেক্স ছাড়া ফ্যামিলি নিয়ে ছবি দেখার তেমন ব্যবস্থা নেই। যে কারণে অনেকেই হলে যায় না। আর এসব আমাদের কারোরই একার দ্বারা সম্ভব নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করলে এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।