ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে কনকচাঁপার নানারঙের অভিজ্ঞতা

দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ‘গানের কোকিল’ নামেই খ্যাত। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতিসহ প্রায় সবধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী। বর্তমানে প্লে-ব্যাক গাযিকা হিসেবে তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ২৭ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রকাশিত হয়েছে ৩০টি একক গানের অ্যালবাম। চলচ্চিত্রের গান নিয়ে তার সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যালবাম ‘আবার এসেছি ফিরে’। গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। গত বছরের অমর একুশে বইমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’ নামে একটি বই প্রকাশিত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিয়ে সরব এ গায়িকা। এবার ফেসবুক ব্যবহার করা নিযে নিজের ওয়ালে লিখেছেন নানা অভিজ্ঞতা আর উদ্দেশের কথা। পূর্বপশ্চিমের পাঠকদের জন্য কনকচাঁপার স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

“ফেসবুক যখন শুরু করলাম তখন অনেক কিছুই বুঝতাম না। ডেকোরাম, ছোট খাট নিয়ম কানুন অনেক কিছুই বুঝতাম না। ইনবক্সে অনেক জঞ্জাল, অনেক অস্বস্তি, কিন্তু আমি জানতাম এগুলো পার হতে পারবো ইনশাআল্লাহ। ফেসবুকে আসার মোটিভ ঠিক করলাম ভালো কিছু কাজ করবো এখানে। সেটা আমি করছি আলহামদুলিল্লাহ। কিছু কাউন্সেলিং কিছু যোগাযোগ আর আমার ইস্কুল তো আছেই। কিছু ভাম আছেন যারা ইনবক্সে আই লাভ উ কয় তাদের কেও নিরিস্ত করলাম। একসময় কমেন্ট পাবলিক করে দিলাম পাবলিকদের অনুরোধ এ! যেই মাত্র ছবি দিয়ে বলেছি গান গাইতে যাই দোয়া কইরো বন্ধুরে অমনি কমেন্ট আসলো গানের জন্য দোয়া? নিজেও যাও আমগো ও দোজখে নিবার্চন। বুঝলাম এভাবে হবেনা। পাবলিক আবার ব্লক। অফিসিয়াল পেজ আমার আস্থা বাড়িয়ে দিল। ইতিমধ্যে সব শিখে গেছি। আবার স্ট্যাটাস পাবলিক করলাম।

কথা হচ্ছে আমার ছবিতে হাই হেলো লাভ ইউ অপূর্ব মেলা কিছুই কমেন্ট আসে। যেহেতু আমি জনগণের শিল্পী সব কিছুই মেনে নেই। এবং সব বয়সের মানুষের কমেন্ট কে আশীর্বাদ হিসেবে নেই। তাই বলে আজাইরা আঘাত সইবো এমন উজবুক আমি নই। ভালো মন নিয়ে ভালো কাজ সব অবস্থাতেই করা যায় শুধু বাংলদেশ ছাড়া। এদেশের মানুষ দালানের উপর থেকে ময়লার বালতি মানুষের মাথায় ফেলে।

এমন এক মগের মুল্লুকে আসলেই অনেক ভালো কাজ ভালো মনে করা যায়না। যেমন অসম্ভব সৎ সাহস সৎ মানসিকতা থাকা সত্বেও দেশের জনগণের জন্য কাজ করার উদ্যোগ নিলাম কিন্তু পারিনি! কিন্তু ফেসবুক আমি সহসাই ছাড়ছিনা।কারণ এখানে শুধু অন্যের জন্য না নিজের কিছু কাজকর্মের জন্যেও আসি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেসবুকে কনকচাঁপার নানারঙের অভিজ্ঞতা

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ‘গানের কোকিল’ নামেই খ্যাত। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতিসহ প্রায় সবধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী। বর্তমানে প্লে-ব্যাক গাযিকা হিসেবে তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ২৭ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রকাশিত হয়েছে ৩০টি একক গানের অ্যালবাম। চলচ্চিত্রের গান নিয়ে তার সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যালবাম ‘আবার এসেছি ফিরে’। গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। গত বছরের অমর একুশে বইমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’ নামে একটি বই প্রকাশিত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিয়ে সরব এ গায়িকা। এবার ফেসবুক ব্যবহার করা নিযে নিজের ওয়ালে লিখেছেন নানা অভিজ্ঞতা আর উদ্দেশের কথা। পূর্বপশ্চিমের পাঠকদের জন্য কনকচাঁপার স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

“ফেসবুক যখন শুরু করলাম তখন অনেক কিছুই বুঝতাম না। ডেকোরাম, ছোট খাট নিয়ম কানুন অনেক কিছুই বুঝতাম না। ইনবক্সে অনেক জঞ্জাল, অনেক অস্বস্তি, কিন্তু আমি জানতাম এগুলো পার হতে পারবো ইনশাআল্লাহ। ফেসবুকে আসার মোটিভ ঠিক করলাম ভালো কিছু কাজ করবো এখানে। সেটা আমি করছি আলহামদুলিল্লাহ। কিছু কাউন্সেলিং কিছু যোগাযোগ আর আমার ইস্কুল তো আছেই। কিছু ভাম আছেন যারা ইনবক্সে আই লাভ উ কয় তাদের কেও নিরিস্ত করলাম। একসময় কমেন্ট পাবলিক করে দিলাম পাবলিকদের অনুরোধ এ! যেই মাত্র ছবি দিয়ে বলেছি গান গাইতে যাই দোয়া কইরো বন্ধুরে অমনি কমেন্ট আসলো গানের জন্য দোয়া? নিজেও যাও আমগো ও দোজখে নিবার্চন। বুঝলাম এভাবে হবেনা। পাবলিক আবার ব্লক। অফিসিয়াল পেজ আমার আস্থা বাড়িয়ে দিল। ইতিমধ্যে সব শিখে গেছি। আবার স্ট্যাটাস পাবলিক করলাম।

কথা হচ্ছে আমার ছবিতে হাই হেলো লাভ ইউ অপূর্ব মেলা কিছুই কমেন্ট আসে। যেহেতু আমি জনগণের শিল্পী সব কিছুই মেনে নেই। এবং সব বয়সের মানুষের কমেন্ট কে আশীর্বাদ হিসেবে নেই। তাই বলে আজাইরা আঘাত সইবো এমন উজবুক আমি নই। ভালো মন নিয়ে ভালো কাজ সব অবস্থাতেই করা যায় শুধু বাংলদেশ ছাড়া। এদেশের মানুষ দালানের উপর থেকে ময়লার বালতি মানুষের মাথায় ফেলে।

এমন এক মগের মুল্লুকে আসলেই অনেক ভালো কাজ ভালো মনে করা যায়না। যেমন অসম্ভব সৎ সাহস সৎ মানসিকতা থাকা সত্বেও দেশের জনগণের জন্য কাজ করার উদ্যোগ নিলাম কিন্তু পারিনি! কিন্তু ফেসবুক আমি সহসাই ছাড়ছিনা।কারণ এখানে শুধু অন্যের জন্য না নিজের কিছু কাজকর্মের জন্যেও আসি।