সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো: নূরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো: মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ বা সমর্থন এড়িয়ে চলুন। তাদের অসাংগঠনিক কার্যকলাপের ফলে কোনো ক্ষতি বা সমস্যা দেখা দিলে সংগঠন বা অন্য কোনো পক্ষ তার দায় নেবে না।”
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠনটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে দাবি করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংগঠনের কয়েকজন সদস্যকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে “অশোভন আচরণ” ও “বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি” করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- মো: বাদিউল কবীর (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়),মো: বেলাল হোসেন (পিআইডি),মো: মিজানুর রহমান সুমন (তথ্য মন্ত্রণালয়), মো: তোয়াহা (অবসরপ্রাপ্ত, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়)। এছাড়াও পতিত স্বৈরশাসকের কয়েকজন সহযোগীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়,গতবছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় উক্ত ব্যক্তিদের সংগঠন থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সকল সদস্য সর্বসম্মতভাবে এ প্রস্তাব অনুমোদন করেন। বহিষ্কার সত্ত্বেও এসব ব্যক্তি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোসহ সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে “অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যক্রম” চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংগঠনের নেতারা বিবৃতিতে আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া ও প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।