ঢাকা , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেশি গ্যাস মজুদের পরও রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন কম

দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে মজুদের পরিমাণ বেশি হলেও উৎপাদন যৎসামান্য। বর্তমানে দশে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ সাড়ে নয় হাজার বিলিয়ন ঘনফুটের (বিসিএফ) কিছু বেশি। এর মধ্যে সিলেটের হবিগঞ্জে আবিষ্কৃত রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে রয়েছে ২ হাজার ৪৩৪ বিসিএফ, যা মজুদকৃত গ্যাসের ২৫ শতাংশ। কিন্তু বড় মজুদ থাকা সত্ত্বেও ক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস উত্তোলন দৈনিক ৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট (এমসিএফ)। অথচ প্রায় একই মজুদের তিতাস গ্যাসফিল্ড থেকে দৈনিক ৩৮৪ এমসিএফ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। মূলত পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও যথাযথ পরিকল্পনার অভাবেই রশিদপুরে কাক্সিক্ষত গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না বলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্বাধীনতার পর পাঁচটি গ্যাসফিল্ড জাতীয়করণ করা হয়। তার একটি রশিদপুর। এখনো রশিদপুর গ্যাসফিল্ডটি গ্যাস মজুদের বড় ভরসা। সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিএফসিএল) এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। বর্তমানে দেশের অন্যান্য গ্যাসক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে কূপ খনন ও কূপের ওয়ার্কওভার করে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। অথচ রশিদপুরে তেমন কোনো উদ্যোগই নেয়া হয়নি। ফলে বেশি গ্যাস মজুদ থাকার পরও দেশের পুরনো এ ক্ষেত্রটিতে উৎপাদন যৎসামান্য। নতুন কূপ খনন ও পুরনো কূপগুলো সংস্কার করার মাধ্যমে সেখান থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া সম্ভব। সূত্র জানায়, রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে ২ হাজার ৪৩৪ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ রয়েছে। যদিও পরিচালনাধীন কোম্পানি এসজিএফসিএল বলছে, বর্তমানে এ গ্যাসফিল্ডে গ্যাস মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৭০০ বিসিএফের মতো। পাঁচটি কূপের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৪৬ গ্যাস যুক্ত হচ্ছে। আর রশিদপুরের মতো প্রায় সমান মজুদ (২ হাজার ২৮০ বিসিএফ) নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসফিল্ড আট গুণের বেশি সক্ষমতায় গ্যাস উত্তোলন করছে। তার কারণ গ্যাসফিল্ডটিতে প্রয়োজন অনুসারে বিনিয়োগ করা হয়েছে। খনন করা হয়েছে ২৬টি কূপ। সেগুলোয় আবার কম্প্রেসার বসিয়ে উৎপাদন ঠিক রাখা হয়েছে। সে কারণেই গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে দৈনিক ৩৮৪ এমসিএফ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। গ্যাসক্ষেত্রগুলো দীর্ঘসময় উৎপাদনে থাকলে তার সংস্কার প্রয়োজন। রশিদপুর প্রায় তিন দশক ধরে উৎপাদনে রয়েছে। ওসব কূপে একসময় গ্যাসের উৎপাদন কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক। উৎপাদন বাড়াতে নতুন কূপ খননের প্রয়োজন। বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু সেটা করা যায়নি। গ্যাসক্ষেত্রটি নিয়ে অনেকটা অবহেলা হয়েছে। এ অবস্থা যে শুধু রশিদপুরে এমনটি নয়, এসজিএফসিএলের আওতাধীন আরেক গ্যাসফিল্ড কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রে দুই হাজার বিসিএফের বেশি গ্যাস মজুদ থাকলেও দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ২৫ এমসিএফ। তিনটি কূপ থেকে এ উৎপাদন আসছে। অথচ দেশের অভ্যন্তরে কাজ করা বহুজাতিক তেল গ্যাস কোম্পানি (আইওসি) কম মজুদ নিয়েও উৎপাদনের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনের পরিচালনাধীন বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের মজুদ রয়েছে ২২২ বিসিএফ। বর্তমানে সেখান থেকে দৈনিক ১ হাজার ৮২ এমসিএফ (২০ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী) গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। সূত্র আরো জানায়, এসজিএফসিএল রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের কূপ উন্নয়নে বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গ্যাসফিল্ডে নতুন কূপ খননের পাশাপাশি পুরনো কয়েকটি কূপের ওয়ার্কওভারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের পুরনো একটি কূপের জন্য রশিদপুরে পাইপলাইন বসানো হচ্ছে। বর্তমানে পাইপলাইনটির আর মাত্র পাঁচ-ছয় কিলোমিটারের কাজ বাকি। এ কাজ শেষ করতে আগামী নভেম্বর নাগাদ লেগে যেতে পারে। এরপর চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ১০ এমসিএফ হারে গ্যাস যুক্ত করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে ১১ ও ১৩ নম্বর নতুন দুটি কূপ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে বিশেষ আইনের আওতায় এ বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের অনুমোদন পেয়েছে সংস্থাটি। এ দুটি কূপ থেকে দৈনিক ৩০ এমসিএফ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া গ্যাসফিল্ডের ৩ ও ৭ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ দুই কূপের ওয়ার্কওভার শেষে জাতীয় গ্রিডে সেখান থেকে আরো ১০ এমসিএফ গ্যাস যুক্ত হবে। এ ছাড়া ২ ও ৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে আরো ১৫-২০ এমসিএফ গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্য। পরিকল্পনা মতে, রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের বিদ্যমান ৪৬ এমসিএফের পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে আরো ৭০ মিলিয়ন যুক্ত করে দৈনিক উৎপাদন ১১৫-১২০ এমসিএফে উন্নীত করা। অন্যদিকে এ বিষয়ে এসজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের উৎপাদন বাড়াতে বড় পরিসরে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন কূপ খনন, পুরনো কূপের ওয়ার্কওভার এবং বিশেষ গুরুত্বের কূপ খননও রয়েছে। বর্তমানে রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকে দৈনিক ৪৬ এমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ গ্যাসফিল্ডের মোট দৈনিক উৎপাদন ১১৫ এমসিএফে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে। এরইমধ্যে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনেকটাই এগিয়ে গেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বেশি গ্যাস মজুদের পরও রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন কম

আপডেট টাইম : ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে মজুদের পরিমাণ বেশি হলেও উৎপাদন যৎসামান্য। বর্তমানে দশে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ সাড়ে নয় হাজার বিলিয়ন ঘনফুটের (বিসিএফ) কিছু বেশি। এর মধ্যে সিলেটের হবিগঞ্জে আবিষ্কৃত রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে রয়েছে ২ হাজার ৪৩৪ বিসিএফ, যা মজুদকৃত গ্যাসের ২৫ শতাংশ। কিন্তু বড় মজুদ থাকা সত্ত্বেও ক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস উত্তোলন দৈনিক ৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট (এমসিএফ)। অথচ প্রায় একই মজুদের তিতাস গ্যাসফিল্ড থেকে দৈনিক ৩৮৪ এমসিএফ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। মূলত পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও যথাযথ পরিকল্পনার অভাবেই রশিদপুরে কাক্সিক্ষত গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না বলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্বাধীনতার পর পাঁচটি গ্যাসফিল্ড জাতীয়করণ করা হয়। তার একটি রশিদপুর। এখনো রশিদপুর গ্যাসফিল্ডটি গ্যাস মজুদের বড় ভরসা। সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিএফসিএল) এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। বর্তমানে দেশের অন্যান্য গ্যাসক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে কূপ খনন ও কূপের ওয়ার্কওভার করে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। অথচ রশিদপুরে তেমন কোনো উদ্যোগই নেয়া হয়নি। ফলে বেশি গ্যাস মজুদ থাকার পরও দেশের পুরনো এ ক্ষেত্রটিতে উৎপাদন যৎসামান্য। নতুন কূপ খনন ও পুরনো কূপগুলো সংস্কার করার মাধ্যমে সেখান থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া সম্ভব। সূত্র জানায়, রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে ২ হাজার ৪৩৪ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ রয়েছে। যদিও পরিচালনাধীন কোম্পানি এসজিএফসিএল বলছে, বর্তমানে এ গ্যাসফিল্ডে গ্যাস মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৭০০ বিসিএফের মতো। পাঁচটি কূপের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৪৬ গ্যাস যুক্ত হচ্ছে। আর রশিদপুরের মতো প্রায় সমান মজুদ (২ হাজার ২৮০ বিসিএফ) নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসফিল্ড আট গুণের বেশি সক্ষমতায় গ্যাস উত্তোলন করছে। তার কারণ গ্যাসফিল্ডটিতে প্রয়োজন অনুসারে বিনিয়োগ করা হয়েছে। খনন করা হয়েছে ২৬টি কূপ। সেগুলোয় আবার কম্প্রেসার বসিয়ে উৎপাদন ঠিক রাখা হয়েছে। সে কারণেই গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে দৈনিক ৩৮৪ এমসিএফ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। গ্যাসক্ষেত্রগুলো দীর্ঘসময় উৎপাদনে থাকলে তার সংস্কার প্রয়োজন। রশিদপুর প্রায় তিন দশক ধরে উৎপাদনে রয়েছে। ওসব কূপে একসময় গ্যাসের উৎপাদন কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক। উৎপাদন বাড়াতে নতুন কূপ খননের প্রয়োজন। বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু সেটা করা যায়নি। গ্যাসক্ষেত্রটি নিয়ে অনেকটা অবহেলা হয়েছে। এ অবস্থা যে শুধু রশিদপুরে এমনটি নয়, এসজিএফসিএলের আওতাধীন আরেক গ্যাসফিল্ড কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রে দুই হাজার বিসিএফের বেশি গ্যাস মজুদ থাকলেও দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ২৫ এমসিএফ। তিনটি কূপ থেকে এ উৎপাদন আসছে। অথচ দেশের অভ্যন্তরে কাজ করা বহুজাতিক তেল গ্যাস কোম্পানি (আইওসি) কম মজুদ নিয়েও উৎপাদনের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনের পরিচালনাধীন বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের মজুদ রয়েছে ২২২ বিসিএফ। বর্তমানে সেখান থেকে দৈনিক ১ হাজার ৮২ এমসিএফ (২০ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী) গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। সূত্র আরো জানায়, এসজিএফসিএল রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের কূপ উন্নয়নে বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গ্যাসফিল্ডে নতুন কূপ খননের পাশাপাশি পুরনো কয়েকটি কূপের ওয়ার্কওভারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের পুরনো একটি কূপের জন্য রশিদপুরে পাইপলাইন বসানো হচ্ছে। বর্তমানে পাইপলাইনটির আর মাত্র পাঁচ-ছয় কিলোমিটারের কাজ বাকি। এ কাজ শেষ করতে আগামী নভেম্বর নাগাদ লেগে যেতে পারে। এরপর চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ১০ এমসিএফ হারে গ্যাস যুক্ত করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে ১১ ও ১৩ নম্বর নতুন দুটি কূপ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে বিশেষ আইনের আওতায় এ বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের অনুমোদন পেয়েছে সংস্থাটি। এ দুটি কূপ থেকে দৈনিক ৩০ এমসিএফ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া গ্যাসফিল্ডের ৩ ও ৭ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ দুই কূপের ওয়ার্কওভার শেষে জাতীয় গ্রিডে সেখান থেকে আরো ১০ এমসিএফ গ্যাস যুক্ত হবে। এ ছাড়া ২ ও ৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে আরো ১৫-২০ এমসিএফ গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্য। পরিকল্পনা মতে, রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের বিদ্যমান ৪৬ এমসিএফের পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে আরো ৭০ মিলিয়ন যুক্ত করে দৈনিক উৎপাদন ১১৫-১২০ এমসিএফে উন্নীত করা। অন্যদিকে এ বিষয়ে এসজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের উৎপাদন বাড়াতে বড় পরিসরে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন কূপ খনন, পুরনো কূপের ওয়ার্কওভার এবং বিশেষ গুরুত্বের কূপ খননও রয়েছে। বর্তমানে রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকে দৈনিক ৪৬ এমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ গ্যাসফিল্ডের মোট দৈনিক উৎপাদন ১১৫ এমসিএফে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে। এরইমধ্যে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনেকটাই এগিয়ে গেছে।