বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৭০০ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো সময় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সোমবার বিকালে কমিশন সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে আজ কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী নির্বাচনের বাজেট অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৫০০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ভোট হয়, ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা। অর্ধেক এলাকায় ভোট না হওয়ায় বরাদ্দের তুলনায় খরচ অনেক কমে আসে। শেষ পর্যন্ত দশম সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ব্যয় হয় প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা, যার ১৮৩ কোটি টাকাই আইনশৃঙ্খলা খাতে যায়।
আজকের ইসি বৈঠক প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আজ তফসিলের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ৩০ অক্টোবরের আগে আরেকটা কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তফসিলের তারিখ নিয়ে আলোচনা হবে। সাংবিধানিকভাবে ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো সময় কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে পারে।
নির্বাচন কবমিশনার মাহবুব তালুকদারের সভা বর্জন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় কমিশনার কমিশন সভায় এজেন্ডার বাইরে কিছু বিষয়কে এজেন্ডাভুক্ত করার প্রস্তাব দেন। বিষয়গুলো নিয়েই বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রধান কমিশনার ও তিন কমিশনার বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত করতে সম্মতি না জানালে তিনি সভা বর্জন করেন।’ তবে এতে সভায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে জানান তিনি।
ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য এক মাস আগে প্রস্তাব দিয়েছি সরকারের কাছে। সরকার যদি মনে করে ইভিএম ব্যবহার হবে ওনারা আরপিও সংশোধন করে আমাদের কাছে পাঠাবে। সেটা এখনও পাইনি, পেলেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’
জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষটি এখনও শেষ হয়ে যাইনি। কমিশন পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
সোমবার বেলা এগারটায় আগারগাঁওয়ের জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩৬তম প্রস্তুতি সভায় যোগ দেন নির্বাচন কমিশনাররা। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এম নুরুল হুদাসহ অন্য চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। তবে নির্বাচন ভবনের তৃতীয় তলায় শুরু হওয়া বৈঠকের শুরুতেই এক পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ‘নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে’ সভা থেকে বেরিয়ে যান।