বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বৈশ্বিক জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের জোরালো এবং উদ্ভাবনাময়ী ভূমিকার জন্য জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বান কি-মুন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হয়েও সাহসী এবং দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবেলায় নানাবিধ দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করে সারাবিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের ৮ম মহাসচিব বান কি-মুন নেদারল্যান্ডে গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেছেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু অভিযোজনে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত এবং এর সমস্যা সমাধানে জিসিএ একটি নতুন উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, কোস্টারিকা, মার্শাল আইল্যান্ড এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, চীনের প্রিমিয়ার, জার্মান চ্যান্সেলর এবং নেদারল্যান্ড, ভারত, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ইথিওপিয়া কো-কনভেনার এবং গ্রেনাডার প্রধানমন্ত্রী জিসিএ’র কনভেনর।
জিসিএ’র কো-কনভেনর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ওই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, কেবলমাত্র আলোচনাতে এ পরিবেশ ও জলবায়ু সমস্যার সমাধান হবে না। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অর্থায়ন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশসমূহে ব্যক্তি পর্যায়ে অর্থায়ন খুবই দুষ্কর, ফলে উন্নত দেশসমূহকে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আন্তঃদেশীয় সমস্যা। হিমালয়ের বরফ গলার মাত্রা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, হিমালয় বেসিন উপযোগী যথাযথ সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত তাঁর উদ্বোধনী বক্তৃতায় জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জের প্রতি আলোকপাত করেন।
জিসিএ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র একটি ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি সেখানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ তার নিজস্ব দৃষ্টান্তমূলক এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে এদেশের মানুষের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা এবং অগ্রগতি সম্ভব করবে।
বাংলাদেশের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত দশ লাখের উপর রোহিংগা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের বিষয় তুলে ধরে তাদের বাসস্থান এবং আহারের ব্যবস্থা করতে কিভাবে বাংলাদেশের পরিবেশের উপর এর অভিঘাত হচ্ছে তা তুলে ধরেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জলবায়ু অভিযোজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াকে একটি পরিবেশ বান্ধব এলাকা হিসেবে দেখতে চায় এবং এক্ষেত্রে করণীয় সবকিছুতে বাংলাদেশ রোল মডেলের ভূমিকায় থাকবে।
সূত্র: বাসস