ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই যোদ্ধার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ভুয়া ভিডিও শনাক্ত: বাংলাফ্যাক্ট নেতানিয়াহুর আচরণে বিরক্ত ট্রাম্প, বিশ্বাসঘাতকতার আঁচ পাচ্ছেন ৬ জুলাই: বিক্ষোভে উত্তাল দেশ, বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ আদায়ে ১৭ কিশোর পেল বাইসাইকেল সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ালে ব্যাংকে কেউ টাকা রাখবে না মিডিয়াকে চাপ না দিতে গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জামায়াতের দখলে: গয়েশ্বর আ. লীগ নেতাদের পৈশাচিক দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান ইলিয়াস আলী ফিরবেন, প্রত্যাশা বিএনপি নেতা মালিকের টাঙ্গুয়ার হাওরে মদের বোতল হাতে নারী পর্যটক

পার্বত্য অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি ফখরুলের

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  পাহাড়ধসে ব্যাপক প্রাণহানি ও বিপর্যয়ের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক এবং পার্বত্য অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দাবি জানাচ্ছি- অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা এবং চট্টগ্রামের যে সকল এলাকায় ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে সেটাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হোক। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হোক।’

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কষ্টে আছেন। তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে, আত্মীয়-স্বজনরা ভূমি ধসে মারা গেছেন। প্রায় ১৭০ জনের মতো মানুষ মারা গেছে। তারপরও দুঃখজনকভাবে সরকার কোনো রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেনি। এখনো ওই অঞ্চলটিকে উপদ্রুত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেনি।’

এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ, যেখানে বাংলাদেশের মৌলিকত্ব হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই আমাদের প্রত্যাশা- জাসাস দেশের মানুষের সংস্কৃতিকে ধারণ করে প্রকৃত সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে এবং জনমত তৈরি করবে।’

তিনি বলেন, ‘একটা গণতন্ত্রহীন দেশে কখনো সংস্কৃতির সুষ্ঠু চর্চা হয় না। আজকে আমরা সেই অবস্থায় পড়েছি। যেখানে গণতন্ত্রহীন, অধিকারহীন অবস্থার মধ্যে দেশ চলছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটি বিষয় বারবার বলছি- আমরা গণতন্ত্র চাই। আর গণতন্ত্র চাই বলেই লড়াই করছি। আওয়ামী লীগ সরকার যে গণতন্ত্রকে হরণ করে নিয়ে গেছে, আমরা সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন- একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই তিনি ভিশন-২০৩০ দিয়েছেন। সেখানেও তিনি সংস্কৃতি সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যে লড়াই সেটা বিএনপির লড়াই নয়, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত লড়াইও নয়। এটি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকার ও বেঁচে থাকার প্রশ্নের লড়াই। নিজস্ব সংস্কৃতি বজায় রাখবার লড়াই।’

জাসাস সভাপতি ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হেলাল খানের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আবদুস সালাম, তাহমিনা রুশদী লুনা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রান্তিক ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন খান উজ্জ্বল, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, জাসাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ প্রমুখ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই যোদ্ধার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ভুয়া ভিডিও শনাক্ত: বাংলাফ্যাক্ট

পার্বত্য অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি ফখরুলের

আপডেট টাইম : ০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  পাহাড়ধসে ব্যাপক প্রাণহানি ও বিপর্যয়ের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক এবং পার্বত্য অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দাবি জানাচ্ছি- অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা এবং চট্টগ্রামের যে সকল এলাকায় ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে সেটাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হোক। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হোক।’

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কষ্টে আছেন। তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে, আত্মীয়-স্বজনরা ভূমি ধসে মারা গেছেন। প্রায় ১৭০ জনের মতো মানুষ মারা গেছে। তারপরও দুঃখজনকভাবে সরকার কোনো রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেনি। এখনো ওই অঞ্চলটিকে উপদ্রুত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেনি।’

এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ, যেখানে বাংলাদেশের মৌলিকত্ব হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই আমাদের প্রত্যাশা- জাসাস দেশের মানুষের সংস্কৃতিকে ধারণ করে প্রকৃত সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে এবং জনমত তৈরি করবে।’

তিনি বলেন, ‘একটা গণতন্ত্রহীন দেশে কখনো সংস্কৃতির সুষ্ঠু চর্চা হয় না। আজকে আমরা সেই অবস্থায় পড়েছি। যেখানে গণতন্ত্রহীন, অধিকারহীন অবস্থার মধ্যে দেশ চলছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটি বিষয় বারবার বলছি- আমরা গণতন্ত্র চাই। আর গণতন্ত্র চাই বলেই লড়াই করছি। আওয়ামী লীগ সরকার যে গণতন্ত্রকে হরণ করে নিয়ে গেছে, আমরা সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন- একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই তিনি ভিশন-২০৩০ দিয়েছেন। সেখানেও তিনি সংস্কৃতি সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যে লড়াই সেটা বিএনপির লড়াই নয়, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত লড়াইও নয়। এটি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকার ও বেঁচে থাকার প্রশ্নের লড়াই। নিজস্ব সংস্কৃতি বজায় রাখবার লড়াই।’

জাসাস সভাপতি ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হেলাল খানের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আবদুস সালাম, তাহমিনা রুশদী লুনা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রান্তিক ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন খান উজ্জ্বল, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, জাসাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ প্রমুখ।