ঢাকা , শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীরকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ

ফের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে দলটির সম্পাদকমণ্ডলী। রোববার (১৪ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় সিদ্ধান্ত আমান্য করায় এমন সিদ্ধান্ত হয়।

আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও তার প্রর্থিতা বাতিল হয়েছে।

তবে নির্বাচনে তার মা প্রার্থী হয়েছেন। নিজের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর মায়ের হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। এভাবে বারবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন নেতারা। বিশেষ করে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা। সেখানে গাজীপুরের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি সামনে আসে। তাঁরা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটূক্তি করার জন্য তাঁকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে ক্ষমা চাওয়ায় তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এখন তিনি আবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। শুধু তিনি নন, তাঁর মাকেও প্রার্থী করেছেন। নিজের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর মায়ের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। সেখানে দলের বিপক্ষেও কথা বলছেন। এ জন্য তাঁকে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন নেতারা।

জানা গেছে, বিষয়টি প্রথমে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উত্থাপন করেন। বারবার সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাঁকে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন তিনি। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা এতে একমত হন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানাবেন। জাহাঙ্গীর আলম যাতে দলের কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হতে পারেন, সে সিদ্ধান্তই হয়।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে। এখন এই বৈঠক না হওয়ায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে সম্পাদকমণ্ডলীর সুপারিশ পাঠানো হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীরকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ

আপডেট টাইম : ০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

ফের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে দলটির সম্পাদকমণ্ডলী। রোববার (১৪ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় সিদ্ধান্ত আমান্য করায় এমন সিদ্ধান্ত হয়।

আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও তার প্রর্থিতা বাতিল হয়েছে।

তবে নির্বাচনে তার মা প্রার্থী হয়েছেন। নিজের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর মায়ের হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। এভাবে বারবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন নেতারা। বিশেষ করে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা। সেখানে গাজীপুরের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি সামনে আসে। তাঁরা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটূক্তি করার জন্য তাঁকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে ক্ষমা চাওয়ায় তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এখন তিনি আবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। শুধু তিনি নন, তাঁর মাকেও প্রার্থী করেছেন। নিজের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর মায়ের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। সেখানে দলের বিপক্ষেও কথা বলছেন। এ জন্য তাঁকে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন নেতারা।

জানা গেছে, বিষয়টি প্রথমে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উত্থাপন করেন। বারবার সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাঁকে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন তিনি। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা এতে একমত হন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানাবেন। জাহাঙ্গীর আলম যাতে দলের কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হতে পারেন, সে সিদ্ধান্তই হয়।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে। এখন এই বৈঠক না হওয়ায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে সম্পাদকমণ্ডলীর সুপারিশ পাঠানো হবে।