ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরা নির্বাচন চাই, তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি নির্বাচন চায়, তবে তা নির্দদলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে বরিশালে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটাধিকার প্রয়োগ, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও শিক্ষা উপকরণের দাম কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশ হয়। এর আগে এই তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে গত ১৪ জুন চট্টগ্রামে ও ১৯ জুন বগুড়ায় তারণ্যের সমাবেশ করে।

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যান (সাবেক বেলস পার্ক) মাঠে বিকেল ৪টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সমাবেশ। পূর্বঘোষিত এই সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে উদ্যানে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা। পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে দুপুরের মধ্যেই মাঠে জড়ো হন। তারা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা বলে, এরা নাকি বৈধ সরকার। কিন্তু এরা বৈধ নয়। সংবিধান অনুযায়ী এরা বৈধ নয়। কারণ, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নিয়ে এসেছিলেন, যে নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এটা আওয়ামী লীগেরও দাবি ছিল। চারটি নির্বাচনও হয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালে যখন দুই-তৃতীয় অংশ সংখ্যাগরিষ্টতা পেল, তখনই তাদের মাথায় শয়তানি চাপল।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা সংবিধান থেকে আইনটি বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান করল। যে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তার মন্ত্রীরা থাকবেন, তার এমপিরা থাকবেন, ডিসি-এসপি তারা নিয়োগ দেবে আর নির্বাচন হবে। আর নির্বাচন হয় না। জোর করে নিয়ে যায়। এরা সংবিধান অনুযায়ী বৈধ সরকার নয়। এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেরপ্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নাকি ভালো নির্বাচন হয়। কয়েকদিন আগে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করেছে। একজন আলেম মেয়র প্রার্থীকে মেরেছে। চরমোনাই পীর তার ওপর আঘাত করতেও ছাড়েনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিদ্রুপ করে আবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন? এমন ইলেকশন কমিশন বানিয়েছেন শেখ হাসিনা। এমন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানিয়েছেন, যিনি না মরলে শান্তি পান না। এরা আবার বলে আমাদের অধীনে নির্বাচন হবেই।’

তিনি বলেন, ‘তোমাদের (ক্ষমতাসীন সরকার) অধীনে কীভাবে নির্বাচন হবে? বলে যে সংবিধান অনুযায়ী হবে। কোন সংবিধানে কি লেখা আছে? সেই সংবিধানে লেখা আছে দেশের মালিক জনগণ। এই জনগণ তো ভোট দিতে পারে না। গত দুইবারও জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ১৪ বছর হয়ে গেল, দুই জেনারেশন ভোট দিতে পারেনি।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা কেন ভোট দিই? জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য। পার্লামেন্টে গিয়ে আমাদের জন্য আইন পাস করবেন, যাতে দেশের জনগণ সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। এরা (আওয়ামী লীগ) পাঠায় চুরি করার জন্য। এরা সবাইকে ভোট দেওয়া বন্ধ করে নিজেরা আগের রাতে সিলছাপ্পর মেরে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বলে আমরা জিতে গেছি। তারা জানে সত্যিকার অর্থে জনগণ ভোট দিতে পারে তাহলে তারা (আওয়ামী লীগ) ১০টি আসনও পাবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা নির্বাচন চাই, সেটা হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। দফা এক, দাবি এক- শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এজন্য সবাইকে আবারও গর্জে উঠতে হবে। তবে সাম্য ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘এরা যে চুরি করেছে চিন্তা করা যায় না। কিছুদিন আগেও খবর আসলো সুইস ব্যাংকগুলোতে নাকি প্রচুর টাকা জমা হচ্ছে। আবার হঠাৎ করে দেখলাম সুইস ব্যাংকগুলো থেকে টাকাগুলো উধাও হয়ে যাচ্ছে। এখানে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা আমি জানি না, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড যাওয়ার পর এই ধরনের খবর পাচ্ছি। লোকেও বলাবলি করছে। তিনি আরও বলেন, সমগ্র পৃথিবীর মানুষ জানে এরা চোর। শুধুমাত্র ভোট চোর না, পকেটও মারে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নতুন একটা সংগ্রাম শুরু হয়েছে; এই সংগ্রাম ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। এই ভোটচোর সরকারকে এখন দেশে-বিদেশে আর কেউ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও বিদায়ের জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। এদের সরানো এখন ফরজ হয়ে গেছে।’

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কখনো রোদ ও কখনো বৃষ্টি -এর মধ্যে এই ব্যতিক্রম ধর্মী তারন্যের সমাবেশে আপনারা বসে আছেন। শুধুমাত্র শেখ হাসিনার পদত্যাগ, এই সরকারকে বিদায় করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধসহ বিগত বিভিন্ন আন্দোলনে বরিশালের সূর্য সন্তানদের অবদানের কথা স্মরণ করে।

সমাবেশে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং দেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে উপস্থিত তরুণ ও যুবকদের চলমান আন্দোলনে শরীক হতে শপথ বাক্য পাঠ করান।

ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন, মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম খান ফারুক, যুবদলের নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির হোসেন নান্নু, এইচ এম তসলিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম রফিক, ছাত্রদলের তানজীল হাসান প্রমুখ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা নির্বাচন চাই, তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে: মির্জা ফখরুল

আপডেট টাইম : ০৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

বিএনপি নির্বাচন চায়, তবে তা নির্দদলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে বরিশালে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটাধিকার প্রয়োগ, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও শিক্ষা উপকরণের দাম কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশ হয়। এর আগে এই তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে গত ১৪ জুন চট্টগ্রামে ও ১৯ জুন বগুড়ায় তারণ্যের সমাবেশ করে।

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যান (সাবেক বেলস পার্ক) মাঠে বিকেল ৪টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সমাবেশ। পূর্বঘোষিত এই সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে উদ্যানে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা। পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে দুপুরের মধ্যেই মাঠে জড়ো হন। তারা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা বলে, এরা নাকি বৈধ সরকার। কিন্তু এরা বৈধ নয়। সংবিধান অনুযায়ী এরা বৈধ নয়। কারণ, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নিয়ে এসেছিলেন, যে নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এটা আওয়ামী লীগেরও দাবি ছিল। চারটি নির্বাচনও হয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালে যখন দুই-তৃতীয় অংশ সংখ্যাগরিষ্টতা পেল, তখনই তাদের মাথায় শয়তানি চাপল।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা সংবিধান থেকে আইনটি বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান করল। যে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তার মন্ত্রীরা থাকবেন, তার এমপিরা থাকবেন, ডিসি-এসপি তারা নিয়োগ দেবে আর নির্বাচন হবে। আর নির্বাচন হয় না। জোর করে নিয়ে যায়। এরা সংবিধান অনুযায়ী বৈধ সরকার নয়। এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেরপ্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নাকি ভালো নির্বাচন হয়। কয়েকদিন আগে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করেছে। একজন আলেম মেয়র প্রার্থীকে মেরেছে। চরমোনাই পীর তার ওপর আঘাত করতেও ছাড়েনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিদ্রুপ করে আবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন? এমন ইলেকশন কমিশন বানিয়েছেন শেখ হাসিনা। এমন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানিয়েছেন, যিনি না মরলে শান্তি পান না। এরা আবার বলে আমাদের অধীনে নির্বাচন হবেই।’

তিনি বলেন, ‘তোমাদের (ক্ষমতাসীন সরকার) অধীনে কীভাবে নির্বাচন হবে? বলে যে সংবিধান অনুযায়ী হবে। কোন সংবিধানে কি লেখা আছে? সেই সংবিধানে লেখা আছে দেশের মালিক জনগণ। এই জনগণ তো ভোট দিতে পারে না। গত দুইবারও জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ১৪ বছর হয়ে গেল, দুই জেনারেশন ভোট দিতে পারেনি।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা কেন ভোট দিই? জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য। পার্লামেন্টে গিয়ে আমাদের জন্য আইন পাস করবেন, যাতে দেশের জনগণ সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। এরা (আওয়ামী লীগ) পাঠায় চুরি করার জন্য। এরা সবাইকে ভোট দেওয়া বন্ধ করে নিজেরা আগের রাতে সিলছাপ্পর মেরে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বলে আমরা জিতে গেছি। তারা জানে সত্যিকার অর্থে জনগণ ভোট দিতে পারে তাহলে তারা (আওয়ামী লীগ) ১০টি আসনও পাবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা নির্বাচন চাই, সেটা হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। দফা এক, দাবি এক- শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এজন্য সবাইকে আবারও গর্জে উঠতে হবে। তবে সাম্য ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘এরা যে চুরি করেছে চিন্তা করা যায় না। কিছুদিন আগেও খবর আসলো সুইস ব্যাংকগুলোতে নাকি প্রচুর টাকা জমা হচ্ছে। আবার হঠাৎ করে দেখলাম সুইস ব্যাংকগুলো থেকে টাকাগুলো উধাও হয়ে যাচ্ছে। এখানে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা আমি জানি না, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড যাওয়ার পর এই ধরনের খবর পাচ্ছি। লোকেও বলাবলি করছে। তিনি আরও বলেন, সমগ্র পৃথিবীর মানুষ জানে এরা চোর। শুধুমাত্র ভোট চোর না, পকেটও মারে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নতুন একটা সংগ্রাম শুরু হয়েছে; এই সংগ্রাম ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। এই ভোটচোর সরকারকে এখন দেশে-বিদেশে আর কেউ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও বিদায়ের জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। এদের সরানো এখন ফরজ হয়ে গেছে।’

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কখনো রোদ ও কখনো বৃষ্টি -এর মধ্যে এই ব্যতিক্রম ধর্মী তারন্যের সমাবেশে আপনারা বসে আছেন। শুধুমাত্র শেখ হাসিনার পদত্যাগ, এই সরকারকে বিদায় করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধসহ বিগত বিভিন্ন আন্দোলনে বরিশালের সূর্য সন্তানদের অবদানের কথা স্মরণ করে।

সমাবেশে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং দেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে উপস্থিত তরুণ ও যুবকদের চলমান আন্দোলনে শরীক হতে শপথ বাক্য পাঠ করান।

ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন, মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম খান ফারুক, যুবদলের নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির হোসেন নান্নু, এইচ এম তসলিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম রফিক, ছাত্রদলের তানজীল হাসান প্রমুখ।