ঢাকা , শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে খালাস তারেক রহমান

নোয়াখালী জেলা যুবলীগের এক নেতার করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ রায় দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, খুনি, পাকবন্ধু বলে অশ্লীল বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অস্বীকার করে দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাতের অপচেষ্টা করে। তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলি আদালতে জেলা যুবলীগের আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব বাদী হয়ে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই সিকদার মো. সাইফুল ইসলাম ও এসআই মো. জসিম উদ্দিন গত ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সোমবার এ মামলায় ৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করলে তারা ঘটনার কিছুই জানেন না বলে আদালতে জবানবন্দি দেন। মঙ্গলবার সকালে আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে অভিযোগকারীর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলা থেকে তারেক রহমানকে খালাস দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক কৈশর।

তারেক রহমানের পক্ষে এবিএম জাকারিয়া, রবিউল হক পলাশ, নুরুল আমিন ও মাহমুদুল হাসান শাকিলসহ অর্ধশত আইনজীবী মামলা পরিচালনা করেন।

অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া এ মামলা থেকে তারেক রহমানের খালাসে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে মামলার বাদী তাকে হয়রানি করেছে। এ ঘটনায় মামলার বাদী একরামুল হক বিপ্লবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে খালাস তারেক রহমান

আপডেট টাইম : ১২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

নোয়াখালী জেলা যুবলীগের এক নেতার করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ রায় দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, খুনি, পাকবন্ধু বলে অশ্লীল বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অস্বীকার করে দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাতের অপচেষ্টা করে। তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলি আদালতে জেলা যুবলীগের আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব বাদী হয়ে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই সিকদার মো. সাইফুল ইসলাম ও এসআই মো. জসিম উদ্দিন গত ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সোমবার এ মামলায় ৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করলে তারা ঘটনার কিছুই জানেন না বলে আদালতে জবানবন্দি দেন। মঙ্গলবার সকালে আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে অভিযোগকারীর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলা থেকে তারেক রহমানকে খালাস দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক কৈশর।

তারেক রহমানের পক্ষে এবিএম জাকারিয়া, রবিউল হক পলাশ, নুরুল আমিন ও মাহমুদুল হাসান শাকিলসহ অর্ধশত আইনজীবী মামলা পরিচালনা করেন।

অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া এ মামলা থেকে তারেক রহমানের খালাসে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে মামলার বাদী তাকে হয়রানি করেছে। এ ঘটনায় মামলার বাদী একরামুল হক বিপ্লবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।