বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়ার জবাব জনগণই দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সোমবার রাজধানীতে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে ২২ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গেলেও তা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এতে শুধু বিএনপিকে বাধা দেওয়া হয় নাই, প্রাপ্য থেকে রোহিঙ্গাদেরও বঞ্চিত করা হয়েছে। এর জবাব কে দেবে? এর জবাব একদিন বাংলাদেশের জনগণই দেবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় হামলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএনপি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা ২২ ট্রাক নিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ দিতে গিয়েছিলাম। আমাদেরকে সেই ত্রাণ দিতে দেওয়া হয়নি। আপনারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখছেন কী কষ্টে তারা (রোহিঙ্গা) দিনাতিপাত করছে।’
রোহিঙ্গাদের পাশে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ত্রাণ নিয়ে দাঁড়ালেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সেখানে দেখা যায়নি বলে দাবি করেন বিএনপির এই নীতি নির্ধারক।
‘অনেক সংগঠন ত্রাণ নিয়ে সেখানে সাহায্য করলেও সরকারসহ ১৪ দলের কাউকে ত্রাণ দিতে দেখা যায়নি। তাদের মুখে শুধু বড় বড় কথা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিনই গলাবাজি করছেন। চিবিয়ে চিবিয়ে মিথ্যা কথা বলেন’, বলেন তিনি।
সরকার বিএনপি সমর্থিতদের হয়রানি করে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা বিএনপি করে তাদের মধ্যে যারা মুসলমান তাদেরকে ইফতার করতে দেওয়া হয় না। যারা হিন্দু তাদেরকে পূজা করতে দেওয়া হয় না। যারা বৌদ্ধ তাদেরকে প্রার্থনায় বাধা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে পুলিশি হামলার নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ‘এই হামলা গণতন্ত্রের ওপর, যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে সেটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর। কারণ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আজীবন গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে চলেছেন। দেশ একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ সরকারের অপসারণ ছাড়া আমাদের কোনো মুক্তি নেই।’
শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, আতাউর রহমান ঢালী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড, নির্বাহী কমিটির সদস্য, আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহ, অধ্যাক্ষ আমিনুল ইসলাম, রমেশ দত্ত, নিপুন রায় চৌধুরী, যুবদলের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলবার্ট পি কস্তা প্রমুখ।