বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মিয়ানমারে নিধনযজ্ঞের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে চার দিনের জন্য সকালে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর রওনা হয়েছে চট্টগ্রামের পথে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই বহরের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।
খালেদা জিয়া আগামী সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী, বোয়ালমারা ও জামতলী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন।
গুলশান থেকে খালেদা জিয়ার যাত্রার পূর্ব মুহূর্তে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বিদেশ থেকে চিকিৎসা করে আসার পরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিঙ্গাদের দেখতে যাবেন এবং ত্রাণ বিতরণ করবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি রওনা হচ্ছেন।
তার(খালেদা জিয়া) এই সিদ্ধান্ত কর্মীদের মধ্যে অত্যন্ত আশা সৃষ্টি করেছেন, দেশনেত্রী মানুষের জন্য, মানবতার জন্য ছুটে যাচ্ছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের পাশে।
এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা আশাকরি, পথিমধ্যে সরকারের সব ধরণের সহযোগিতা পাব।
আমাদের পুলিশের মহাপরিদর্শক আশ্বাস দিয়েছেন যে, তারা দেশনেত্রীর যে নিরাপত্তা তা নিশ্চিত করবেন এবং একই সঙ্গে এই সফর যাতে সুন্দরভাবে হয়, তাতে সহযোগিতা করবেন।
দলের নেতা-কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে বেগম জিয়াকে যাতে শুভেচ্ছা জানাতে পারে সেজন্য জেলা নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
‘১০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য ত্রান’
খালেদা জিয়ার এই সফরে ১০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে এবার ত্রাণ-সামগ্রি বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কি পরিমাণ ত্রান দেয়া হবে এটা বলা যাবে না। তবে এবার ১০ হাজার পরিবারকে আমরা ত্রাণা দেয়ার ব্যবস্থা করবো।
সফরসূচি অনুযায়ী খালেদা জিয়া দুপুরে ফেনীর সার্কিট হাউজে যাত্রা বিরতি করবেন। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ সেরে ফের যাত্রা করে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছাবেন রাতে।
পরদিন সকাল ১১টায় সড়ক পথে কক্সবাজার যাবেন বিএনপি প্রধান। সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করবেন তিনি।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যাবেন সোমবার দুপুরে। এরপর বিকালে চট্টগ্রামে ফিরে সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন শেষে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১২ সালের জুন মাসের কক্সবাজারের রামু বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। তখনও তিনি ঢাকা থেকে সড়কপথেই প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে কক্সবাজার যান।