ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

তিন আসনে আ.লীগ-বিএনপিতে দুই তরুণের ক্রেজ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতে এসেছেন। সামরিক শাসন আমল ছাড়া সব কটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। তবে আওয়ামী লীগের দুর্গে কিছু ফাঁকফোকরের সৃষ্টি হয়েছে ইদানীং। প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগ ভুল করলে এ জন্য এবার বড় খেসারত দিতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জ্যেষ্ঠ  একজন নেতা।

তার মতে, বিএনপি যদি এলাকার ‘ইয়ং ক্রেজ’ হাসান মামুনকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আসনটিতে জয়-পরাজয় যে কিছু হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের প্রবীণ অনেক নেতা আওয়মী দুর্গ বেহাত হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে মনে করেন। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তরুণ নেতা অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন শওকতকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হলে দুই দলেই শক্ত লড়াই হবে বলে মনে করেন দুই উপজেলার বিশিষ্ট জনেরা। সর্বোপরি এ আসনে তরুণদের কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন দুই উপজেলার বিশিষ্টজনরা।

ওই দুজনের ক্রেজের বাইরে আরো অনেকে আগামী নির্বাচনে প্রাথী হওয়ার জন্য লাইনে আছেন দুই দলেই। কে হচ্ছেন আগামী নির্বাচনে এই দুই উপজেলার কান্ডারী। এ নিয়ে দুই উপজেলায় রাজনৈতিক মহলে চলছে আলোচনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সভা-সমাবেশসহ দলগুলোর বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকায় সরব রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

দশমিনা-গলাচিপা উপজেলায় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনায়নপ্রত্যাশীরা পোস্টার ও ফেষ্টুন টানিয়ে জনসাধারণকে জানান দিচ্ছেন।

আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও দশমিনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফোরকান মিয়া। মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তিনজনই নিজেদের শক্ত অবস্থান দাবি করছেন।

বর্তমান সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি কর্ম, সততা ও আদর্শের মূল্যায়ন করেন তাহলে আমি মনোনয়ন পাব।

একই দাবি করেন অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন শওকত। তিনি বলেন, ‘‘এক-এগারোর সময় কারাবরণ, বিভিন্ন সময় হামলা-মালাসহ নির্যাতিত হয়ে এখনো দলেই আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার জনপ্রিয়তা ও ত্যাগের মূল্যায়ন করলে আমি মনোনয়ন পাব ও বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ঘাঁটি রক্ষা করতে পারব।

অ্যাডভোকেট ফারকান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি ১/১১-এর সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে আইনি সহায়তা প্রদান করেছি। মাননীয় মন্ত্রী যদি ত্যাগীদের মূল্যায়ন করেন তাহলে আমি মনোনয়ন পাব এবং ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করতে পারবো।

অপর দিকে এ আসনে এখন পর্যন্ত বিএনপির সম্ভাব্য মনোনায়নপ্রত্যাশী তিনজনের নাম বেশ জোরেশোরে আলোচনা চলছে। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, গলাচিপা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শিল্পপতি গোলাম মোস্তফা ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শাজাহান খান- এই তিনজন এলাকায় দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছেন। তারা নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নিজের দলীয় মনোনয়নের পক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা করছেন তারা।

তবে এই প্রথম পটুয়াখালী-৩ এ কোনো বিরোধী দলের নেতাকে সমর্থন দিয়ে সামনে এগিয়ে রাখছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কিছু সমর্থক। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি হাসান মামুন। ছাত্ররাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার পর বিএপির রাজনীতিতে গত সাত বছর ধরে সক্রিয় তিনি।

হাসান মামুন এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার আগাম দৌড়ে  এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন সমর্থিত নেতাকর্মীরা।

তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ বেশ পুরনো। মনোনয়ন ও দলের পদ-পদবিকে কেন্দ করে শাহজাহান খান ও গোলাম মোস্তফার বিরোধের জের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। এর অবসান না হলে বিগত দিনের ফলই মেনে নিতে হবে তাদের।

জানতে চাইলে হাসান মামুন এই প্রতিনিধিকে জানান, ‘আমি এলাকার মানুষের ভাগ্য-উন্নয়নে কাজ করছি।  দল থেকে আমাকে মনোনায়ন দেয়া হলে নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো।’

বিএনপির মনোনয়ন বিষয়ে আলোচনার টেবিলে আরেক নাম গোলাম মোস্তফা। তিনি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে এই বিএনপি নেতার বলেন, ১৮-২০ বছর ধরে দলের পাশেই আছি। আমি তৃণমূলের রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেইনি। সুখে দুখে নেতা কর্মীদের পাশেই আছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি ঘাটি পুনরুদ্ধার করতে পারব।

আলোচনায় আছেন আরেক নেতা শাহজাহান খান। তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছিলেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকবার বিএনপির টিকেটে নির্বাচন করলেও জিততে পারেননি কখনো। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।

নিজে সব সময় এলাকায় থাকেন উল্লেখ করে সাবেক এই সাংসদ বলেন, ‘এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে সব সময়ই আছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরেও আমি মাঠেই আছি। আমি তো ঢাকায় থাকি না। যারা যারা মনোনায়ন পাবেন বলেন তারা ঢাকায় থাকেন ও পেপার পত্রিকায় এবং টকশো করেন। আমি ইনশাআল্লাহ মনোনায়ন পাবো।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী থেকে আ. বারেক মিয়া, জিয়াউর রহমানের আমলে বিএনপি থেকে আবদুল বাতেন তালুকদার, এরশাদের আমলে ১৯৮৬ সালে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ৮৮ সালে ইয়াকুব আলী চৌধুরী, ৯১ সালে আওয়ামী লীগের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, ‘৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির শাহজাহান খান, একই বছরে সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফের নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। এ সময়ে আওয়ামী লীগ তাকে বস্ত্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন।

২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার আখসম জাহাঙ্গীর হোসাইন জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে দলীয় টানপোড়নে আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েন। আওয়ামী লীগ দলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেয় এলাকায় একেবারেই অপিরিচিত গোলাম মাওলা রনিকে। বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েও তিনি স্থানীয় নেতাকমীদের দমন-নিপীড়ন চালান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রাজধানীর ১৫টি খাল খননে দূর হবে ৮০ শতাংশ জলাবদ্ধতা

তিন আসনে আ.লীগ-বিএনপিতে দুই তরুণের ক্রেজ

আপডেট টাইম : ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতে এসেছেন। সামরিক শাসন আমল ছাড়া সব কটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। তবে আওয়ামী লীগের দুর্গে কিছু ফাঁকফোকরের সৃষ্টি হয়েছে ইদানীং। প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগ ভুল করলে এ জন্য এবার বড় খেসারত দিতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জ্যেষ্ঠ  একজন নেতা।

তার মতে, বিএনপি যদি এলাকার ‘ইয়ং ক্রেজ’ হাসান মামুনকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আসনটিতে জয়-পরাজয় যে কিছু হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের প্রবীণ অনেক নেতা আওয়মী দুর্গ বেহাত হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে মনে করেন। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তরুণ নেতা অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন শওকতকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হলে দুই দলেই শক্ত লড়াই হবে বলে মনে করেন দুই উপজেলার বিশিষ্ট জনেরা। সর্বোপরি এ আসনে তরুণদের কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন দুই উপজেলার বিশিষ্টজনরা।

ওই দুজনের ক্রেজের বাইরে আরো অনেকে আগামী নির্বাচনে প্রাথী হওয়ার জন্য লাইনে আছেন দুই দলেই। কে হচ্ছেন আগামী নির্বাচনে এই দুই উপজেলার কান্ডারী। এ নিয়ে দুই উপজেলায় রাজনৈতিক মহলে চলছে আলোচনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সভা-সমাবেশসহ দলগুলোর বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকায় সরব রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

দশমিনা-গলাচিপা উপজেলায় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনায়নপ্রত্যাশীরা পোস্টার ও ফেষ্টুন টানিয়ে জনসাধারণকে জানান দিচ্ছেন।

আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও দশমিনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফোরকান মিয়া। মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তিনজনই নিজেদের শক্ত অবস্থান দাবি করছেন।

বর্তমান সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি কর্ম, সততা ও আদর্শের মূল্যায়ন করেন তাহলে আমি মনোনয়ন পাব।

একই দাবি করেন অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন শওকত। তিনি বলেন, ‘‘এক-এগারোর সময় কারাবরণ, বিভিন্ন সময় হামলা-মালাসহ নির্যাতিত হয়ে এখনো দলেই আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার জনপ্রিয়তা ও ত্যাগের মূল্যায়ন করলে আমি মনোনয়ন পাব ও বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ঘাঁটি রক্ষা করতে পারব।

অ্যাডভোকেট ফারকান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি ১/১১-এর সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে আইনি সহায়তা প্রদান করেছি। মাননীয় মন্ত্রী যদি ত্যাগীদের মূল্যায়ন করেন তাহলে আমি মনোনয়ন পাব এবং ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করতে পারবো।

অপর দিকে এ আসনে এখন পর্যন্ত বিএনপির সম্ভাব্য মনোনায়নপ্রত্যাশী তিনজনের নাম বেশ জোরেশোরে আলোচনা চলছে। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, গলাচিপা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শিল্পপতি গোলাম মোস্তফা ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শাজাহান খান- এই তিনজন এলাকায় দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছেন। তারা নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নিজের দলীয় মনোনয়নের পক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা করছেন তারা।

তবে এই প্রথম পটুয়াখালী-৩ এ কোনো বিরোধী দলের নেতাকে সমর্থন দিয়ে সামনে এগিয়ে রাখছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কিছু সমর্থক। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি হাসান মামুন। ছাত্ররাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার পর বিএপির রাজনীতিতে গত সাত বছর ধরে সক্রিয় তিনি।

হাসান মামুন এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার আগাম দৌড়ে  এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন সমর্থিত নেতাকর্মীরা।

তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ বেশ পুরনো। মনোনয়ন ও দলের পদ-পদবিকে কেন্দ করে শাহজাহান খান ও গোলাম মোস্তফার বিরোধের জের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। এর অবসান না হলে বিগত দিনের ফলই মেনে নিতে হবে তাদের।

জানতে চাইলে হাসান মামুন এই প্রতিনিধিকে জানান, ‘আমি এলাকার মানুষের ভাগ্য-উন্নয়নে কাজ করছি।  দল থেকে আমাকে মনোনায়ন দেয়া হলে নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো।’

বিএনপির মনোনয়ন বিষয়ে আলোচনার টেবিলে আরেক নাম গোলাম মোস্তফা। তিনি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে এই বিএনপি নেতার বলেন, ১৮-২০ বছর ধরে দলের পাশেই আছি। আমি তৃণমূলের রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেইনি। সুখে দুখে নেতা কর্মীদের পাশেই আছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি ঘাটি পুনরুদ্ধার করতে পারব।

আলোচনায় আছেন আরেক নেতা শাহজাহান খান। তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছিলেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকবার বিএনপির টিকেটে নির্বাচন করলেও জিততে পারেননি কখনো। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।

নিজে সব সময় এলাকায় থাকেন উল্লেখ করে সাবেক এই সাংসদ বলেন, ‘এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে সব সময়ই আছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরেও আমি মাঠেই আছি। আমি তো ঢাকায় থাকি না। যারা যারা মনোনায়ন পাবেন বলেন তারা ঢাকায় থাকেন ও পেপার পত্রিকায় এবং টকশো করেন। আমি ইনশাআল্লাহ মনোনায়ন পাবো।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী থেকে আ. বারেক মিয়া, জিয়াউর রহমানের আমলে বিএনপি থেকে আবদুল বাতেন তালুকদার, এরশাদের আমলে ১৯৮৬ সালে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ৮৮ সালে ইয়াকুব আলী চৌধুরী, ৯১ সালে আওয়ামী লীগের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, ‘৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির শাহজাহান খান, একই বছরে সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফের নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। এ সময়ে আওয়ামী লীগ তাকে বস্ত্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন।

২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার আখসম জাহাঙ্গীর হোসাইন জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে দলীয় টানপোড়নে আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েন। আওয়ামী লীগ দলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেয় এলাকায় একেবারেই অপিরিচিত গোলাম মাওলা রনিকে। বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েও তিনি স্থানীয় নেতাকমীদের দমন-নিপীড়ন চালান।