ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটাররা চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন কে হচ্ছে প্রার্থী

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কোন দল থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন। আগামী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে? শেখ হাসিনার অধীনে হলে বিএনপি কি নির্বাচনে যাবে? এমন নানা প্রশ্নে চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন ভোটাররা।

কোতোয়ালি থানা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৯ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারাও বসে নেই। প্রত্যেকেই যার যার মতো করে চালাচ্ছেন প্রচারণা। মনোনয়ন পেতে করছেন লবিং। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে রয়েছেন। জোটের কারণে সুযোগ পাচ্ছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও।

সেদিক থেকে ব্যতিক্রম বিএনপি। মাঠে নামলেই তাড়া খেতে হয় পুলিশের। শুরু হয় ধরপাকড়ও। কারণ নগর বিএনপির এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। এরমধ্যে নাশকতা মামলার আসামিও অনেকে।

ফলে কোনোভাবেই মাঠে স্বাভাবিক নয় বিএনপি। তবে নগরীর নুর আহমদ সড়কে নিজস্ব কার্যালয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে যতটুকু পারছেন দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও।

চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনটি সিটি করপোরেশনের ৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হওয়ায় আরেকটু বেশি বেকায়দায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নজরও যেন একটু বেশি।

এ আসন থেকে জয়লাভ করতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন হেভিওয়েট প্রার্থী দিতে চান আওয়ামী লীগ। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, চট্টগ্রামের এই আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্কুল-কলেজ নির্মাণসহ এলাকার প্রচুর উন্নয়ন করেছি। ফলে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ব্যাপক জনসমর্থন আমার পক্ষে আছে। তাই আগামী নির্বাচনে এই আসন থেকে আমি নৌকার প্রার্থী হতে চাই। তবে এক্ষেত্রে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

 

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোটের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ আবু হানিফ। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর আরিফ মঈনুদ্দীন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আহমেদ নাজির। কিন্তু আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।

এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানও। তিনি বলেন, বাবাকে যদি এ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া না হয়; তাহলে আমি এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইবো।

এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সমপাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

নওফেল দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সমপাদক পদ পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করায় দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজরে আছেন। ৭১ সদস্যের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নির্বাহী সদস্যও তিনি।

২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপকভাবে অংশ নেন নওফেল। ওই প্রথম রাজনীতির মাঠে সক্রিয় দেখা যায় লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে স্নাতক করা নওফেলকে।

২০১০ সালেই বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতিবিদ হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ঢাকা বারের আইনজীবী নওফেল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিরও সদস্য। তিনি বেসরকারি একটি স্যাটেলাইট টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও।

নওফেল বলেন, আমি আগে বাবার জন্য মনোনয়ন চাইবো। আশা করি আসছে সংসদ নির্বাচনে আমার বাবাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। যদি কোনো কারণে তিনি বাদ পড়েন তাহলে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে আমি নির্বাচন করতে চাই।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। তিনি ২০০৯ সালের ২৮শে মে চউক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে চলতি মাসে ষষ্ঠবারের মতো ফের দায়িত্ব পান।

আবদুচ ছালাম বলেন, জনকল্যাণে সংসদ নির্বাচন করতে চাই। অতীতে দুবার মনোনয়ন চেয়েও ব্যর্থ হয়েছি। রাজনৈতিক কর্মীদের একটা স্বপ্ন থাকে। ঊর্ধ্বমুখী এ প্রত্যাশার জন্যই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন চাইবেন।

এছাড়া এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে নিজেদের প্রস্তুত করছেন বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশীদের ফুফাতো ভাই।

এদিকে নগর বিএনপি থেকে এ আসনে সম্ভাব্য ৩ জন প্রার্থীর নাম জোরেশোরে আলোচনায় আসছে। তারা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সমপাদক আবুল হাসেম বক্কর এবং মহানগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নেত্রী এরই মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে আমার নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছেন। এ আসনে আগের নির্বাচনগুলোতে আমি দলের পক্ষে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছি। নিজের এলাকা হওয়ায় বাকলিয়ার সঙ্গে আমার আত্মার সমপর্ক। ইনশাআল্লাহ এই আসন থেকে আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো এবং জনগণ আমাকেই এমপি হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাবেক চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। তিনিও বিএনপির হেভিওয়েট নেতা।

এদিকে জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠও। সোলায়মান শেঠ বলেন, আমি এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে যাচ্ছি।  -এমজমিন

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ভোটাররা চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন কে হচ্ছে প্রার্থী

আপডেট টাইম : ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কোন দল থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন। আগামী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে? শেখ হাসিনার অধীনে হলে বিএনপি কি নির্বাচনে যাবে? এমন নানা প্রশ্নে চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন ভোটাররা।

কোতোয়ালি থানা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৯ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারাও বসে নেই। প্রত্যেকেই যার যার মতো করে চালাচ্ছেন প্রচারণা। মনোনয়ন পেতে করছেন লবিং। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে রয়েছেন। জোটের কারণে সুযোগ পাচ্ছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও।

সেদিক থেকে ব্যতিক্রম বিএনপি। মাঠে নামলেই তাড়া খেতে হয় পুলিশের। শুরু হয় ধরপাকড়ও। কারণ নগর বিএনপির এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। এরমধ্যে নাশকতা মামলার আসামিও অনেকে।

ফলে কোনোভাবেই মাঠে স্বাভাবিক নয় বিএনপি। তবে নগরীর নুর আহমদ সড়কে নিজস্ব কার্যালয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে যতটুকু পারছেন দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও।

চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনটি সিটি করপোরেশনের ৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হওয়ায় আরেকটু বেশি বেকায়দায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নজরও যেন একটু বেশি।

এ আসন থেকে জয়লাভ করতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন হেভিওয়েট প্রার্থী দিতে চান আওয়ামী লীগ। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, চট্টগ্রামের এই আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্কুল-কলেজ নির্মাণসহ এলাকার প্রচুর উন্নয়ন করেছি। ফলে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ব্যাপক জনসমর্থন আমার পক্ষে আছে। তাই আগামী নির্বাচনে এই আসন থেকে আমি নৌকার প্রার্থী হতে চাই। তবে এক্ষেত্রে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

 

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোটের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ আবু হানিফ। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর আরিফ মঈনুদ্দীন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আহমেদ নাজির। কিন্তু আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।

এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানও। তিনি বলেন, বাবাকে যদি এ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া না হয়; তাহলে আমি এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইবো।

এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সমপাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

নওফেল দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সমপাদক পদ পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করায় দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজরে আছেন। ৭১ সদস্যের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নির্বাহী সদস্যও তিনি।

২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপকভাবে অংশ নেন নওফেল। ওই প্রথম রাজনীতির মাঠে সক্রিয় দেখা যায় লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে স্নাতক করা নওফেলকে।

২০১০ সালেই বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতিবিদ হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ঢাকা বারের আইনজীবী নওফেল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিরও সদস্য। তিনি বেসরকারি একটি স্যাটেলাইট টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও।

নওফেল বলেন, আমি আগে বাবার জন্য মনোনয়ন চাইবো। আশা করি আসছে সংসদ নির্বাচনে আমার বাবাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। যদি কোনো কারণে তিনি বাদ পড়েন তাহলে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে আমি নির্বাচন করতে চাই।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। তিনি ২০০৯ সালের ২৮শে মে চউক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে চলতি মাসে ষষ্ঠবারের মতো ফের দায়িত্ব পান।

আবদুচ ছালাম বলেন, জনকল্যাণে সংসদ নির্বাচন করতে চাই। অতীতে দুবার মনোনয়ন চেয়েও ব্যর্থ হয়েছি। রাজনৈতিক কর্মীদের একটা স্বপ্ন থাকে। ঊর্ধ্বমুখী এ প্রত্যাশার জন্যই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন চাইবেন।

এছাড়া এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে নিজেদের প্রস্তুত করছেন বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশীদের ফুফাতো ভাই।

এদিকে নগর বিএনপি থেকে এ আসনে সম্ভাব্য ৩ জন প্রার্থীর নাম জোরেশোরে আলোচনায় আসছে। তারা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সমপাদক আবুল হাসেম বক্কর এবং মহানগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নেত্রী এরই মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে আমার নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছেন। এ আসনে আগের নির্বাচনগুলোতে আমি দলের পক্ষে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছি। নিজের এলাকা হওয়ায় বাকলিয়ার সঙ্গে আমার আত্মার সমপর্ক। ইনশাআল্লাহ এই আসন থেকে আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো এবং জনগণ আমাকেই এমপি হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাবেক চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। তিনিও বিএনপির হেভিওয়েট নেতা।

এদিকে জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠও। সোলায়মান শেঠ বলেন, আমি এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে যাচ্ছি।  -এমজমিন