ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতিকে ঐক্য করা কঠিন কাজ : ড. কামাল

জাতিকে ঐক্য করা কঠিন কাজ বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন । তবে জাতির এমন বিপদে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। আমরা সব জনগণের ঐক্য চাই। সংবিধানের মুলনীতি মেনে চলা দলগুলোর মধ্যে সে ঐক্য চাই।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন একথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

গত ১ জুলাই গুলশানে এবং ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

গুলশানে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যা এবং শোলাকিয়ায় হামলাকারীদের পেছনে কারা জড়িত আছে তা জানতে চেয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, এরা আসলে কারা? কি চায় কেনা করলো।

তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বাংলাদেশের জঙ্গীবাদ বিকাশের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে। এসব সন্ত্রাসী ঘটনা স্থানীয় উদ্যোগে সংগঠিত হয়েছে, নাকি এসবের পেছেনে আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল তা জানা প্রয়োজন। ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং অস্ত্র ও অর্থের উৎস সম্পর্কে গণমাধ্যমগুলোর গভীর অনুসন্ধান করা দরকার। এসব বিষয়ে জানার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

ড. কামাল বলেন, এ ধরণের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি যথাযথ ও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সবার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। প্রথমতঃ কার্যকরভাবে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্বিতীয়তঃ ঘটনার সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানসিক কারণসমূহ যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে অর্থপূণ পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। তদন্তের উদ্দেশ্য হবে জঙ্গিদের মানসিক অসুস্থতাকে সুস্থ করা।

ড. কামাল বলেন, অতীতে বিভিন্ন গণআন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যুব সমাজ কিভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল তা সবার স্মরণ আছে। গণমাধ্যম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ছাত্র ও যুব সমাজকে সচেতন করে এমনভাবে সক্রিয় করতে হবে, যেন অতীতের মত তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় রাজনৈতিক উদ্যোগের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ.ও.ম. শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জাতিকে ঐক্য করা কঠিন কাজ : ড. কামাল

আপডেট টাইম : ০৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০১৬

জাতিকে ঐক্য করা কঠিন কাজ বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন । তবে জাতির এমন বিপদে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। আমরা সব জনগণের ঐক্য চাই। সংবিধানের মুলনীতি মেনে চলা দলগুলোর মধ্যে সে ঐক্য চাই।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন একথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

গত ১ জুলাই গুলশানে এবং ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

গুলশানে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যা এবং শোলাকিয়ায় হামলাকারীদের পেছনে কারা জড়িত আছে তা জানতে চেয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, এরা আসলে কারা? কি চায় কেনা করলো।

তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বাংলাদেশের জঙ্গীবাদ বিকাশের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে। এসব সন্ত্রাসী ঘটনা স্থানীয় উদ্যোগে সংগঠিত হয়েছে, নাকি এসবের পেছেনে আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল তা জানা প্রয়োজন। ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং অস্ত্র ও অর্থের উৎস সম্পর্কে গণমাধ্যমগুলোর গভীর অনুসন্ধান করা দরকার। এসব বিষয়ে জানার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

ড. কামাল বলেন, এ ধরণের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি যথাযথ ও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সবার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। প্রথমতঃ কার্যকরভাবে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্বিতীয়তঃ ঘটনার সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানসিক কারণসমূহ যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে অর্থপূণ পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। তদন্তের উদ্দেশ্য হবে জঙ্গিদের মানসিক অসুস্থতাকে সুস্থ করা।

ড. কামাল বলেন, অতীতে বিভিন্ন গণআন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যুব সমাজ কিভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল তা সবার স্মরণ আছে। গণমাধ্যম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ছাত্র ও যুব সমাজকে সচেতন করে এমনভাবে সক্রিয় করতে হবে, যেন অতীতের মত তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় রাজনৈতিক উদ্যোগের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ.ও.ম. শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।