ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ দিন রিহার্সেল দিয়ে নাসিম-ইনুদের মাঠে নামায়

বাহাত্তর-পরবর্তী জাসদের কর্মকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার পর মন্ত্রী-এমপিদের মুখ বন্ধ ছিল। দশ দিন রিহার্সেলের পর তারা নাসিম-ইনুদের একযোগে মাঠে নামায়। সবার ভাষা এক। খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদী। মানুষের কাছে এটা চরম বিরক্তিকর। এমনকি যে লোক বিএনপি করে না, তার কাছেও বিরক্তিকর।’ গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয় নাগরিক সংসদের’ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খালেদা ইয়াসমিন।

 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আপনি কি এই ঘটনা মোকাবেলা করবেন? এ ব্যাপারে আপনার কি কোনো আন্তরিকতা আছে? নাকি এটাকে সামনে রেখে খুঁজে খুঁজে বিরোধী দলের লোকদেরকে নিঃশেষ করবেন?’

 

তিনি বলেন, ‘গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় দেশবাসী আজ আতংকিত। জাতির এই দুঃসময়েও সরকারের দাম্ভিকতা শেষ হয় না। অথচ ওই ঘটনায় সাধারণ লোক বলেন, এটি একটি নাটক। এটি সরকারই করছে, কয়দিন পরপরই করবে। আমরা (দেশবাসী) এটি নিয়ে ব্যস্ত থাকব। আর উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমৃত্যু রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।’

 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে আমাদের নেত্রী শর্তহীনভাবে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। সে আহ্বানের ব্যাপারে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ও আপনার দলের (আওয়ামী লীগ) নেতারা যে নেতিবাচক কথা বলছেন, তাতে জনগণের সন্দেহ আরও প্রকট হচ্ছে যে, ওই ঘটনার সঙ্গে আপনি সম্পৃক্ত। যদি না হন, তাহলে ঐক্য গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেন?’

 

সংগঠনের সভানেত্রী খালেদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

১০ দিন রিহার্সেল দিয়ে নাসিম-ইনুদের মাঠে নামায়

আপডেট টাইম : ০৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০১৬
বাহাত্তর-পরবর্তী জাসদের কর্মকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার পর মন্ত্রী-এমপিদের মুখ বন্ধ ছিল। দশ দিন রিহার্সেলের পর তারা নাসিম-ইনুদের একযোগে মাঠে নামায়। সবার ভাষা এক। খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদী। মানুষের কাছে এটা চরম বিরক্তিকর। এমনকি যে লোক বিএনপি করে না, তার কাছেও বিরক্তিকর।’ গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয় নাগরিক সংসদের’ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খালেদা ইয়াসমিন।

 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আপনি কি এই ঘটনা মোকাবেলা করবেন? এ ব্যাপারে আপনার কি কোনো আন্তরিকতা আছে? নাকি এটাকে সামনে রেখে খুঁজে খুঁজে বিরোধী দলের লোকদেরকে নিঃশেষ করবেন?’

 

তিনি বলেন, ‘গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় দেশবাসী আজ আতংকিত। জাতির এই দুঃসময়েও সরকারের দাম্ভিকতা শেষ হয় না। অথচ ওই ঘটনায় সাধারণ লোক বলেন, এটি একটি নাটক। এটি সরকারই করছে, কয়দিন পরপরই করবে। আমরা (দেশবাসী) এটি নিয়ে ব্যস্ত থাকব। আর উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমৃত্যু রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।’

 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে আমাদের নেত্রী শর্তহীনভাবে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। সে আহ্বানের ব্যাপারে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ও আপনার দলের (আওয়ামী লীগ) নেতারা যে নেতিবাচক কথা বলছেন, তাতে জনগণের সন্দেহ আরও প্রকট হচ্ছে যে, ওই ঘটনার সঙ্গে আপনি সম্পৃক্ত। যদি না হন, তাহলে ঐক্য গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেন?’

 

সংগঠনের সভানেত্রী খালেদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।