জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় ঐক্য ‘হয়ে গেছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে জাতি ক্ষুদ্ধ ও হতাশ হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। ঐক্য গড়তে ক্ষমতাসীনরা অনীহার কারণে জাতিকে বড় ধরনের মাশুল দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সুস্থতা কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দেশে আজ মহাসঙ্কট দেখা দিয়েছে এমন মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী দিয়ে সঙ্কট মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। দেশের সব রাজনৈতিক
দল ঐক্যবদ্ধ হলে জনগণ আরো সাহসী হবে। সেজন্য দ্রুতই জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
জঙ্গিবাদ নিয়ে ক্ষমতাসীনদের দোষারোপের রাজনীতির কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপিকে দোষারোপ করে বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা এটা করে পরিস্থিতি আরো জটিল করে ফেলেছে।আগে দু’একজনকে মারা হতো, এখন একসঙ্গে ২০ জনকে মারা হচ্ছে।’
নজরুল ইসলাম দাবি করে বলেন, ‘সরকার উগ্রবাদ দমন করতে পারছে না। সেজন্য বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়। বিএনপি উগ্রবাদের রাজনীতি করে না, পারলে উগ্রবাদীদের ধরে।’
সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য কিংবা বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়া ঐক্যের ডাক দেয়নি দাবি করে দলটির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, ‘যে সরকারকে আমরা নৈতিক অর্থে সরকার বলে মনে করি না, তাদের সঙ্গে আবার কিসের ঐক্য? এরপরও দেশ ও জাতির স্বার্থে বিএনপি নেত্রী জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, মারুফ আল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন আলী, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।