ড. কামাল হোসেনকে আহ্বায়ক ও আ ব ম মোস্তফা আমীনকে মহাসচিব করে নয় সদস্য বিশিষ্ট ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি জামায়াত ছাড়াই সন্ত্রাস-উগ্রবাদ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন গণফোরাম সভাপতি । শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি গঠনের ঘোষণা করা হয়। জাতীয় মৌলিক বিষয়ে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামের একটি মোর্চা এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
ঘোষিত এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন- অধ্যাপক অজয় রায়, প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, জি এম কাদের, মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, এস এস আকরাম হোসেন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও মিসেস সেলিনা আখতার।
এ সময় বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ড. কামাল হোসেন, প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, জি এম কাদের, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, জাতীয় মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া মহাসংকটের অবসান হবে না। আর এ জন্য দেশের মালিক জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের মানুষকে সামনে এসে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণ চাইলে সব কিছুই হয়। তিনি বলেন, ‘আজ দেশের মানুষের অধিকার নেই। নেই গণতন্ত্র। মানুষকেই ভাবতে হবে কী করে এই অবস্থা মোকাবিলা করা যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নব ঘোষিত ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ কমিটির মহাসচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন ১৪ দফা লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, ১৪ দফার আলোকেই জাতীয় নাগরিক সংলাপ করা হবে।
১৪ দফার মধ্যে রয়েছে- গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জনগণ যাতে অবাধে কালোটাকা, পেশিশক্তি ও প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারে এবং স্বচ্ছ ভোটের ভিত্তিতে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা রাষ্ট্রের সবস্তরে প্রশাসন পরিচালনায় নেতৃত্ব দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মের ভিত্তিতে জনগণের মধ্যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না ইত্যাদি।
সরকার গঠন, ক্ষমতায় যাওয়া বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, জনগণকে মৌলিক বিষয়ে সচেতন করতেই ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ কাজ করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন আয়োজকরা।