ঢাকা , রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ‘প্রস্তাব’ আসছে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সংবিধানের ভেতর থেকেও কীভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে ‘গ্রহণযোগ্য’ করা যায়, সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে বিএনপি। আজ রবিবারের জনসভায় সেটি তুলে ধরা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির নীতি নির্ধারণী প্রায়ের একজন নেতা। প্রায় এক বছর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। এই সমাবেশ যত সম্ভব বড় করে কর্মী সমর্থকদেরকে আত্মবিশ্বাসী করার পাশাপাশি সরকারকেও বার্তা দিতে চায় বিএনপি।

এক যুগ ধরে ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে থাকা বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। তবে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর সরাসরি এই নির্বাচনে আসা দলের জন্য কিছুটা অসম্মানজনক হয়। তাই একটি পথ খোঁজার চেষ্টায় তারা।

আর এই চেষ্টার অংশ হিসেবে সরকারের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান বারবার জানিয়ে আসছে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সবশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়। তারা ভোটে আসতে চাইলে আসবে, না আসতে চাইলে নয়। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে মতভেদ সে সময় সরকারে কারা থাকবে। বিএনপি চায় নির্দলীয় সরকার এই সময়ে দায়িত্বে থাকুক। কিন্তু আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যেতে রাজি নয়।

এই অবস্থায় ২০১৬ সাল থেকেই বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দেয়ার বিষয়টি বারবার বলে আসছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর আসেনি। এর মধ্যে একবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছেড়ে সহায়ক সরকারের বিষয়টি সামনে আনে তারা। কিন্তু সে সরকার কেমন হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান জানাতে না পারার পর আবার তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে ফিরে যায় তারা। এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক শব্দ ব্যবহার না করে নির্দলীয় সরকারের কথা বলছে তারা।

বিএনপি বারবার বলছে, নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে ভোট সুষ্ঠু হবে না। কিন্তু সংবিধানের বিধান অনুযায়ী এর বাইরে কীভাবে যাওয়া যাবে, তারও কোনো ব্যাখ্যা আসেনি দলটির পক্ষ থেকে।

এর মধ্যে অক্টোবরেই যখন নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার শপথ নেয়ার কথা আলোচনা হচ্ছে, তার আগে আগে বিএনপির এই জনসভা। দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য সাংবাদিককে বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে একটি প্রস্তাব দেয়া হতে পারে আজকের জনসভা থেকে। এছাড়া জাতীয় ঐক্যের বিষয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি সমর্থন জানানো হবে।’

ওই প্রস্তাবের বিষয়ে ওই নেতা বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। বলেন, ‘সেটা জনসভাতেই দেখতে পাবেন।’

দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের আরেকজন নেতা বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা কীভাবে সংবিধানের ভেতরে থেকেই নির্দলীয় রাখা যায়, সে জন্য দলের আইনজীবী নেতারা একটি প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছেন।

বিএনপির একজন আইনজীবী নেতা জানিয়েছেন, তাদের দেয়া প্রস্তাবকে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার’ নাম দিয়ে তা নিয়ে দলটির শীর্ষ নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন।

প্রস্তাবে সংবিধান মেনে রাষ্ট্রপতি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং তার সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়ার কথা বলা আছে। তবে কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে সংবিধান সংশোধন করার দাবিও থাকবে।

দলের এমন ভাবনার কথা সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রকাশ্যেই বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সাহেব প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছিলেন। সেটা কী সংবিধানে ছিল? ছিল না। পরে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেটাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। এখানেও তাই হবে।’

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিককে বলেন, ‘জনসভায় কী বলা হবে তা নিয়ে কিছু আলোচনা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তো দাবি দাওয়া থাকবে হয়তো। সেই সঙ্গে আমাদের কিছু বক্তব্যও থাকবে।’

১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিশাল জনসভা করে বিএনপি। এর একমাস আবারোও এই জনসভাকে ঘিরে কর্মীরাও আশা করছেন দিক নির্দেশনা। জাতীয় ঐক্য নিয়ে যুক্তফ্রন্টসহ অন্য দলগুলো বিএনপিকে যেভাবে শর্ত আরোপ করে চলছে এ নিয়েও স্পষ্ট বক্তব্য চান নেতাকর্মীরা।

এরই মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সমাবেশ থেকে নীতিনির্ধারণী বার্তা দেওয়া হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সাংবাদিককে বলেন, ‘এখন যে সময় চলছে তখন জনসভাটি অত্যস্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়টাও তো একটা কঠিন। তাই বিএনপি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এখান থেকে দেয়ার চেষ্টা করবে।’

নির্দিষ্ট করে কোনো বিষয় নিয়ে বার্তা থাকবে কি না এমন প্রশ্নে মাহবুব বলেন, ‘আমিও আপনার মত তাকিয়ে আছি। কাল আসেন জানতে পারবেন।’

‘শক্তি’ দেখানোর চ্যালেঞ্জ

গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় দুইবার পেছাতে হয়েছে তা। তবে শনিবার পুলিশ তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে সব উদ্বেগের অবসান ঘটিয়েছে। আর অনুমতি পাওয়ার পরই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্ব চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জনসভাস্থল পরিদর্শন করে। সেখানে তিনি বলেন, ‘দেখবেন, কালকের জনসভায় কত লোক হয়।’

রাজনীতিতে বেকায়দায় থাকা বিএনপিকে পাত্তা দিতে চাইছেন না আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে বিএনপি দাবি করছে, এই মুহূর্তে তারাই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আর এই জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়ার পাশাপাশি কর্মীদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে যত সম্ভব লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।

কর্মী সমর্থকরা যেন জনসভায় যোগ দেন সে জন্য ঢাকা ছাড়াও আশেপাশের এলাকাগুলোতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি জোটের শরিক দলগুলোকেও যোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে মঞ্চে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি থাকবে কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছিল বিএনপি। ওই সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে এবার তিনি দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকায় জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সূত্রঃ ঢাকাটাইমস

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ‘প্রস্তাব’ আসছে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে

আপডেট টাইম : ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সংবিধানের ভেতর থেকেও কীভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে ‘গ্রহণযোগ্য’ করা যায়, সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে বিএনপি। আজ রবিবারের জনসভায় সেটি তুলে ধরা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির নীতি নির্ধারণী প্রায়ের একজন নেতা। প্রায় এক বছর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। এই সমাবেশ যত সম্ভব বড় করে কর্মী সমর্থকদেরকে আত্মবিশ্বাসী করার পাশাপাশি সরকারকেও বার্তা দিতে চায় বিএনপি।

এক যুগ ধরে ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে থাকা বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। তবে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর সরাসরি এই নির্বাচনে আসা দলের জন্য কিছুটা অসম্মানজনক হয়। তাই একটি পথ খোঁজার চেষ্টায় তারা।

আর এই চেষ্টার অংশ হিসেবে সরকারের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান বারবার জানিয়ে আসছে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সবশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়। তারা ভোটে আসতে চাইলে আসবে, না আসতে চাইলে নয়। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে মতভেদ সে সময় সরকারে কারা থাকবে। বিএনপি চায় নির্দলীয় সরকার এই সময়ে দায়িত্বে থাকুক। কিন্তু আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যেতে রাজি নয়।

এই অবস্থায় ২০১৬ সাল থেকেই বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দেয়ার বিষয়টি বারবার বলে আসছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর আসেনি। এর মধ্যে একবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছেড়ে সহায়ক সরকারের বিষয়টি সামনে আনে তারা। কিন্তু সে সরকার কেমন হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান জানাতে না পারার পর আবার তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে ফিরে যায় তারা। এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক শব্দ ব্যবহার না করে নির্দলীয় সরকারের কথা বলছে তারা।

বিএনপি বারবার বলছে, নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে ভোট সুষ্ঠু হবে না। কিন্তু সংবিধানের বিধান অনুযায়ী এর বাইরে কীভাবে যাওয়া যাবে, তারও কোনো ব্যাখ্যা আসেনি দলটির পক্ষ থেকে।

এর মধ্যে অক্টোবরেই যখন নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার শপথ নেয়ার কথা আলোচনা হচ্ছে, তার আগে আগে বিএনপির এই জনসভা। দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য সাংবাদিককে বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে একটি প্রস্তাব দেয়া হতে পারে আজকের জনসভা থেকে। এছাড়া জাতীয় ঐক্যের বিষয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি সমর্থন জানানো হবে।’

ওই প্রস্তাবের বিষয়ে ওই নেতা বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। বলেন, ‘সেটা জনসভাতেই দেখতে পাবেন।’

দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের আরেকজন নেতা বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা কীভাবে সংবিধানের ভেতরে থেকেই নির্দলীয় রাখা যায়, সে জন্য দলের আইনজীবী নেতারা একটি প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছেন।

বিএনপির একজন আইনজীবী নেতা জানিয়েছেন, তাদের দেয়া প্রস্তাবকে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার’ নাম দিয়ে তা নিয়ে দলটির শীর্ষ নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন।

প্রস্তাবে সংবিধান মেনে রাষ্ট্রপতি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং তার সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়ার কথা বলা আছে। তবে কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে সংবিধান সংশোধন করার দাবিও থাকবে।

দলের এমন ভাবনার কথা সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রকাশ্যেই বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সাহেব প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছিলেন। সেটা কী সংবিধানে ছিল? ছিল না। পরে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেটাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। এখানেও তাই হবে।’

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিককে বলেন, ‘জনসভায় কী বলা হবে তা নিয়ে কিছু আলোচনা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তো দাবি দাওয়া থাকবে হয়তো। সেই সঙ্গে আমাদের কিছু বক্তব্যও থাকবে।’

১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিশাল জনসভা করে বিএনপি। এর একমাস আবারোও এই জনসভাকে ঘিরে কর্মীরাও আশা করছেন দিক নির্দেশনা। জাতীয় ঐক্য নিয়ে যুক্তফ্রন্টসহ অন্য দলগুলো বিএনপিকে যেভাবে শর্ত আরোপ করে চলছে এ নিয়েও স্পষ্ট বক্তব্য চান নেতাকর্মীরা।

এরই মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সমাবেশ থেকে নীতিনির্ধারণী বার্তা দেওয়া হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সাংবাদিককে বলেন, ‘এখন যে সময় চলছে তখন জনসভাটি অত্যস্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়টাও তো একটা কঠিন। তাই বিএনপি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এখান থেকে দেয়ার চেষ্টা করবে।’

নির্দিষ্ট করে কোনো বিষয় নিয়ে বার্তা থাকবে কি না এমন প্রশ্নে মাহবুব বলেন, ‘আমিও আপনার মত তাকিয়ে আছি। কাল আসেন জানতে পারবেন।’

‘শক্তি’ দেখানোর চ্যালেঞ্জ

গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় দুইবার পেছাতে হয়েছে তা। তবে শনিবার পুলিশ তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে সব উদ্বেগের অবসান ঘটিয়েছে। আর অনুমতি পাওয়ার পরই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্ব চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জনসভাস্থল পরিদর্শন করে। সেখানে তিনি বলেন, ‘দেখবেন, কালকের জনসভায় কত লোক হয়।’

রাজনীতিতে বেকায়দায় থাকা বিএনপিকে পাত্তা দিতে চাইছেন না আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে বিএনপি দাবি করছে, এই মুহূর্তে তারাই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আর এই জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়ার পাশাপাশি কর্মীদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে যত সম্ভব লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।

কর্মী সমর্থকরা যেন জনসভায় যোগ দেন সে জন্য ঢাকা ছাড়াও আশেপাশের এলাকাগুলোতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি জোটের শরিক দলগুলোকেও যোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে মঞ্চে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি থাকবে কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছিল বিএনপি। ওই সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে এবার তিনি দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকায় জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সূত্রঃ ঢাকাটাইমস