ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের প্রার্থী যারা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের মাঠে তৎপর বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। বসে নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও। দলটির তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারাও ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এরইমধ্যে দলের সবুজ সংকেতও পেয়েছেন অনেকে।

দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। নিজ জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও শ্বশুরালয় রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে নির্বাচন করেন। গতবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর জন্য রংপুরের আসন ছেড়ে দেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে পুরনোদের দলীয় মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। তাদের মধ্যে জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন। অনেক দিন ধরেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। নির্বাচন পর্যন্ত ‘ফিট’ থাকলে এবারও ওই আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বরাবরের মতো শেরপুর-২ আসনের প্রার্থী হবেন।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম গোপালগঞ্জ-২, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জ-১, কাজী জাফরউল্লাহ ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি নির্বাচন করতে রাজি না হলে এই আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসাধীন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের আসনে তার বিকল্প কাউকে ভাবছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শারীরিক সক্ষমতা থাকলে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যশোর-৫ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য। এই আসনে বর্তমান এমপি তার আপন ছোট ভাই।

সিলেট-৬ আসনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, টাঙ্গাইল-১ আসনে ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে লে. কর্নেল (অব) মুহম্মদ ফারুক খান নির্বাচন করবেন। রমেশ চন্দ্র সেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে লড়বেন।

অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ঢাকা-১ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম। আবদুল মতিন খসরু এবার কুমিল্লা-৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

জানা গেছে, সভাপতিমণ্ডলীর ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত। সভাপতিমণ্ডলীতে নতুন যুক্ত হয়েছেন এমন দুজনের আসন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি নিজ নির্বাচনী এলাকার রাজনীতিতেও তৎপর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যেকেই আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাদের মধ্যে মাহবুব-উল আলম হানিফ কুষ্টিয়া-৩, ডা. দীপু মনি চাঁদপুর-৩, জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা-১৩ এবং আব্দুর রহমান ফরিদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। চাঁদপুর-৩ আসনে দীপু মনির স্থলে মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। কোনো কারণে সাহারা খাতুনের বদলে ঢাকা-১৮ আসনে দীপু মনি মনোনয়ন পেলে তবেই কপাল খুলতে পারে সুজিত রায়ের।

দলের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমান রংপুর-৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীতে ১৯ নেতা রয়েছেন বিভিন্ন সম্পাদকীয় দায়িত্বে। তাদের মধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক টিপু মুন্সী রংপুর-৪, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী লক্ষীপুর-৪, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন পটুয়াখালী-১, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম-৭, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করবেন। বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঢাকা-৮, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর কুমিল্লা-১, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা মুন্সীগঞ্জ-৩, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ লক্ষীপুর-২, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আব্দুছ ছাত্তার ময়মনসিংহ-৮, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নেত্রকোনা-৩, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বরিশাল-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

কেন্দ্রীয় কমিটির ৮ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে গত দুই সংসদে যারা প্রতিনিধিত্ব করেছেন, দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে এবারও তারা এগিয়ে। তাদের মধ্যে ভূইয়া মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক শরীয়তপুর-১, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুর-২ আসন থেকে আগামী নির্বাচনেও নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন আহমদ হোসেন, একেএম এনামুল হক শামীম ও মিসবাহ উদ্দীন সিরাজ।

নেত্রকোনা-৫ ও নেত্রকোনা-২ আসনের যে কোনো একটিতে মনোনয়ন চান আহমদ হোসেন। শরীয়তপুর-২ আসনে এনামুল হক শামীম ও সিলেট সদর আসনে মনোনয়ন চান মিসবাহউদ্দীন সিরাজ। ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম-৯ আসনে নির্বাচন করতে আগ্রহী। এই আসনে বর্তমানে জাতীয় পার্টির এমপি রয়েছে। মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ওই আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ আবুল হোসেন। আওয়ামী লীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপও মাদারীপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই উপসম্পাদকের বাড়ি একই এলাকায়। উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার বাড়ি চট্টগ্রাম-১৫ আসনে। এই আসনে অনেক আগে থেকেই প্রচার চালিয়ে আসছেন আমিনুল ইসলাম আমিন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মধ্যে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ঢাকা-২, নুরুল মজিদ হুমায়ুন নরসিংদী-৪, সিমিন হোসেন রিমি গাজীপুর-৪, মুন্নুজান সুফিয়ান খুলনা-৩, র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, মির্জা আজম জামালপুর-৩ আসনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন।

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে মমতাজ উদ্দিন বগুড়া-৪, দীপঙ্কর তালুকদার রাঙামাটি, আখতারুজ্জামান গাজীপুর-৫, এসএম কামাল হোসেন খুলনা-৩, অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু ঢাকা-৭, মো. আমিরুল ইসলাম মিলন বাগেরহাট-৪, অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান মৌলভীবাজার-৪, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার নরসিংদী-৫, ইকবাল হোসেন অপু শরীয়তপুর-১, মারুফা আক্তার পপি জামালপুর-৫, রেমন্ড আরেং নেত্রকোনা-১, গোলাম রব্বানী চিনু ঝালকাঠি-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন চান। নির্বাচন সামনে রেখে এরা সবাই নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ করছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগের প্রার্থী যারা

আপডেট টাইম : ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের মাঠে তৎপর বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। বসে নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও। দলটির তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারাও ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এরইমধ্যে দলের সবুজ সংকেতও পেয়েছেন অনেকে।

দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। নিজ জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও শ্বশুরালয় রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে নির্বাচন করেন। গতবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর জন্য রংপুরের আসন ছেড়ে দেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে পুরনোদের দলীয় মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। তাদের মধ্যে জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন। অনেক দিন ধরেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। নির্বাচন পর্যন্ত ‘ফিট’ থাকলে এবারও ওই আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বরাবরের মতো শেরপুর-২ আসনের প্রার্থী হবেন।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম গোপালগঞ্জ-২, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জ-১, কাজী জাফরউল্লাহ ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি নির্বাচন করতে রাজি না হলে এই আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসাধীন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের আসনে তার বিকল্প কাউকে ভাবছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শারীরিক সক্ষমতা থাকলে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যশোর-৫ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য। এই আসনে বর্তমান এমপি তার আপন ছোট ভাই।

সিলেট-৬ আসনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, টাঙ্গাইল-১ আসনে ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে লে. কর্নেল (অব) মুহম্মদ ফারুক খান নির্বাচন করবেন। রমেশ চন্দ্র সেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে লড়বেন।

অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ঢাকা-১ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম। আবদুল মতিন খসরু এবার কুমিল্লা-৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

জানা গেছে, সভাপতিমণ্ডলীর ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত। সভাপতিমণ্ডলীতে নতুন যুক্ত হয়েছেন এমন দুজনের আসন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি নিজ নির্বাচনী এলাকার রাজনীতিতেও তৎপর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যেকেই আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাদের মধ্যে মাহবুব-উল আলম হানিফ কুষ্টিয়া-৩, ডা. দীপু মনি চাঁদপুর-৩, জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা-১৩ এবং আব্দুর রহমান ফরিদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। চাঁদপুর-৩ আসনে দীপু মনির স্থলে মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। কোনো কারণে সাহারা খাতুনের বদলে ঢাকা-১৮ আসনে দীপু মনি মনোনয়ন পেলে তবেই কপাল খুলতে পারে সুজিত রায়ের।

দলের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমান রংপুর-৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীতে ১৯ নেতা রয়েছেন বিভিন্ন সম্পাদকীয় দায়িত্বে। তাদের মধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক টিপু মুন্সী রংপুর-৪, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী লক্ষীপুর-৪, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন পটুয়াখালী-১, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম-৭, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করবেন। বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঢাকা-৮, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর কুমিল্লা-১, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা মুন্সীগঞ্জ-৩, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ লক্ষীপুর-২, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আব্দুছ ছাত্তার ময়মনসিংহ-৮, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নেত্রকোনা-৩, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বরিশাল-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

কেন্দ্রীয় কমিটির ৮ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে গত দুই সংসদে যারা প্রতিনিধিত্ব করেছেন, দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে এবারও তারা এগিয়ে। তাদের মধ্যে ভূইয়া মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক শরীয়তপুর-১, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুর-২ আসন থেকে আগামী নির্বাচনেও নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন আহমদ হোসেন, একেএম এনামুল হক শামীম ও মিসবাহ উদ্দীন সিরাজ।

নেত্রকোনা-৫ ও নেত্রকোনা-২ আসনের যে কোনো একটিতে মনোনয়ন চান আহমদ হোসেন। শরীয়তপুর-২ আসনে এনামুল হক শামীম ও সিলেট সদর আসনে মনোনয়ন চান মিসবাহউদ্দীন সিরাজ। ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম-৯ আসনে নির্বাচন করতে আগ্রহী। এই আসনে বর্তমানে জাতীয় পার্টির এমপি রয়েছে। মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ওই আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ আবুল হোসেন। আওয়ামী লীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপও মাদারীপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই উপসম্পাদকের বাড়ি একই এলাকায়। উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার বাড়ি চট্টগ্রাম-১৫ আসনে। এই আসনে অনেক আগে থেকেই প্রচার চালিয়ে আসছেন আমিনুল ইসলাম আমিন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মধ্যে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ঢাকা-২, নুরুল মজিদ হুমায়ুন নরসিংদী-৪, সিমিন হোসেন রিমি গাজীপুর-৪, মুন্নুজান সুফিয়ান খুলনা-৩, র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, মির্জা আজম জামালপুর-৩ আসনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন।

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে মমতাজ উদ্দিন বগুড়া-৪, দীপঙ্কর তালুকদার রাঙামাটি, আখতারুজ্জামান গাজীপুর-৫, এসএম কামাল হোসেন খুলনা-৩, অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু ঢাকা-৭, মো. আমিরুল ইসলাম মিলন বাগেরহাট-৪, অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান মৌলভীবাজার-৪, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার নরসিংদী-৫, ইকবাল হোসেন অপু শরীয়তপুর-১, মারুফা আক্তার পপি জামালপুর-৫, রেমন্ড আরেং নেত্রকোনা-১, গোলাম রব্বানী চিনু ঝালকাঠি-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন চান। নির্বাচন সামনে রেখে এরা সবাই নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ করছেন।