ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

কিশোরগঞ্জ-৩: বিএনপি, আওয়ামী লীগে একাধিক–আসন ধরে রাখতে চায় জাপা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তাড়াইল উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও করিমগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে কিশোরগঞ্জ ৩ আসন গঠিত। তাড়াইল উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৬৬ জন এবং করিমগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৪ হাজার ৮৯ জন। এই দুই উপজেলাই হলো আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে তিনবার আওয়ামী লীগ এই আসন থেকে বিজয়ী হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনসহ মাত্র দুইবার বিএনপি এই আসনে জয়ের স্বাদ পায়। বাকি চারবার এরশাদ সমর্থিত জাতীয় পার্টি এই আসনটি নিজেদের দখলে নেয় এবং একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়। সর্বাধিক চারবার নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বর্তমানে মহাজোট সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

তাড়াইল ও করিমগঞ্জ এই দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দীর্ঘদিন ধরে দলের কোনো সাংগঠনিক কর্মকান্ড না থাকা ও পরপর দুইবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা সত্বেও  এই আসনটি মহাজোটের অংশীদার হিসেবে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাই নৌকার ঘাটিঁ হিসেবে এবারো আওয়ামী লীগ চায় এ আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়া হোক। অন্যদিকে বিএনপি চায় আসনটি পুনরুদ্ধারের কিন্ত দুই উপজেলার তূণমুল জাতীয় পার্টির সর্মথকগণ বলাবলি করছেন আসন্ন নির্বাচনেও যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোটগত ঐক্য হয়, তবে এ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু আবারো মহাজোটের মনোনয়ন পাবেন বলে সবার ধারণা।

সরেজমিনে দেখা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের প্রধান দুই দলের নেতাকর্মীরা। মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তারা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা মাঠ গোছাতে ব্যস্ত। উক্ত সংসদীয় আসনে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত জামায়েত ইসলামীর কোনো প্রার্থীর তৎপরতা এখনও দূশ্যমান নয়। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাম দলগুলোর মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থির পদচারণা লক্ষ করা গেছে।

দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এলাকায় জনসংযোগ, উঠান বৈঠকসহ দলীয় নানা কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাট,পথ-প্রান্তর,হাট-ঘাটে শুভেচ্ছা ব্যানার-ফেস্টুন আর পোস্টার টাঙ্গিয়ে রঙিন করে ফেলেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে ভোটারদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টাও করছেন তারা। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়নযুদ্ধে জয়ী হতে দলের ওপর মহলে চালিয় যাচ্ছেন লবিং। এ বিষয়ে নীতি নির্ধারকরা বলছেন, দলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে আগামী নির্বাচনে দল থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হবে তাদেরকে বিজয়ী করাই দলের মূল লক্ষ্য।

আাওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং তূণমুলের নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে জোর দাবি উঠেছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে ঠেকাতে হবে এবং মনোনয়নের ব্যাপারে এবার আর অন্য কোনো দলের প্রার্থীকে ছাড় দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্বেও দল তাদেরকে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে তারা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা এই দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য ড.মিজানুল হক, আইটি ব্যবসায়ী শেখ কবির আহমেদ, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আসাদুল হক, বাংলাদেশ মিল স্কেল রি-প্রসেস এন্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি ও জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ- সভাপতি এরশাদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বিএমএ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহবুব ইকবাল, ড. আনিছুর রহমান আনিছ ও এ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন প্রমুখ।

এদিকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রয়ারির নির্বাচনে বিএনপি প্রথম এই আসনটি নিজেদের দখলে নেয়। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা ড. এম ওসমান ফারুখ এই আসনটিতে বিজয়ী হন। তিনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে এলাকায় অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড হওয়ায় তার একটি ভালো ইমেজ রয়েছে। পরিবেশ অনুকুল হলে তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে সাধারণ নেতা-কর্মীদের ধারণা। তবে ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠায় তিনি আত্মগোপনে চলে যান। কাজেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার অংশগ্রহণের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আরো যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মাদ গাউস। অন্য দলগুলোর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ, মাওলানা ও প্রভাষক মুহা. আলমগীর হোসাইন তালুকদার। কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি ডা. এনামুল হক ইদ্রিস নির্বাচনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীর ১৫টি খাল খননে দূর হবে ৮০ শতাংশ জলাবদ্ধতা

কিশোরগঞ্জ-৩: বিএনপি, আওয়ামী লীগে একাধিক–আসন ধরে রাখতে চায় জাপা

আপডেট টাইম : ০৪:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তাড়াইল উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও করিমগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে কিশোরগঞ্জ ৩ আসন গঠিত। তাড়াইল উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৬৬ জন এবং করিমগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৪ হাজার ৮৯ জন। এই দুই উপজেলাই হলো আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে তিনবার আওয়ামী লীগ এই আসন থেকে বিজয়ী হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনসহ মাত্র দুইবার বিএনপি এই আসনে জয়ের স্বাদ পায়। বাকি চারবার এরশাদ সমর্থিত জাতীয় পার্টি এই আসনটি নিজেদের দখলে নেয় এবং একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়। সর্বাধিক চারবার নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বর্তমানে মহাজোট সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

তাড়াইল ও করিমগঞ্জ এই দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দীর্ঘদিন ধরে দলের কোনো সাংগঠনিক কর্মকান্ড না থাকা ও পরপর দুইবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা সত্বেও  এই আসনটি মহাজোটের অংশীদার হিসেবে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাই নৌকার ঘাটিঁ হিসেবে এবারো আওয়ামী লীগ চায় এ আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়া হোক। অন্যদিকে বিএনপি চায় আসনটি পুনরুদ্ধারের কিন্ত দুই উপজেলার তূণমুল জাতীয় পার্টির সর্মথকগণ বলাবলি করছেন আসন্ন নির্বাচনেও যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোটগত ঐক্য হয়, তবে এ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু আবারো মহাজোটের মনোনয়ন পাবেন বলে সবার ধারণা।

সরেজমিনে দেখা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের প্রধান দুই দলের নেতাকর্মীরা। মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তারা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা মাঠ গোছাতে ব্যস্ত। উক্ত সংসদীয় আসনে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত জামায়েত ইসলামীর কোনো প্রার্থীর তৎপরতা এখনও দূশ্যমান নয়। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাম দলগুলোর মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থির পদচারণা লক্ষ করা গেছে।

দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এলাকায় জনসংযোগ, উঠান বৈঠকসহ দলীয় নানা কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাট,পথ-প্রান্তর,হাট-ঘাটে শুভেচ্ছা ব্যানার-ফেস্টুন আর পোস্টার টাঙ্গিয়ে রঙিন করে ফেলেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে ভোটারদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টাও করছেন তারা। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়নযুদ্ধে জয়ী হতে দলের ওপর মহলে চালিয় যাচ্ছেন লবিং। এ বিষয়ে নীতি নির্ধারকরা বলছেন, দলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে আগামী নির্বাচনে দল থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হবে তাদেরকে বিজয়ী করাই দলের মূল লক্ষ্য।

আাওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং তূণমুলের নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে জোর দাবি উঠেছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে ঠেকাতে হবে এবং মনোনয়নের ব্যাপারে এবার আর অন্য কোনো দলের প্রার্থীকে ছাড় দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্বেও দল তাদেরকে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে তারা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা এই দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য ড.মিজানুল হক, আইটি ব্যবসায়ী শেখ কবির আহমেদ, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আসাদুল হক, বাংলাদেশ মিল স্কেল রি-প্রসেস এন্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি ও জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ- সভাপতি এরশাদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বিএমএ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহবুব ইকবাল, ড. আনিছুর রহমান আনিছ ও এ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন প্রমুখ।

এদিকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রয়ারির নির্বাচনে বিএনপি প্রথম এই আসনটি নিজেদের দখলে নেয়। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা ড. এম ওসমান ফারুখ এই আসনটিতে বিজয়ী হন। তিনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে এলাকায় অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড হওয়ায় তার একটি ভালো ইমেজ রয়েছে। পরিবেশ অনুকুল হলে তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে সাধারণ নেতা-কর্মীদের ধারণা। তবে ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠায় তিনি আত্মগোপনে চলে যান। কাজেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার অংশগ্রহণের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আরো যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মাদ গাউস। অন্য দলগুলোর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ, মাওলানা ও প্রভাষক মুহা. আলমগীর হোসাইন তালুকদার। কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি ডা. এনামুল হক ইদ্রিস নির্বাচনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।