ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশকে ভূমিকা রাখার আহ্বান

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ ভারতে ২য় বারের মতো বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে কোনো কারণ ছাড়াই মুসলিমদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এসব কার্যক্রম বন্ধ না হলে তাদের ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ দিনদিন বাড়তেই থাকবে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে ভারতসহ উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ও মুসলিম নিধন এবং বরগুনায় রিফাত হত্যাসহ দেশব্যাপী চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারতে যখন মুসলিম নির্যাতন বাড়ছে এমন অবস্থায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আরও উসকে দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী সুনীতা সিং। তিনি বলেছেন, ‘হিন্দু পুরুষদের উচিত মুসলিম মেয়েদের প্রকাশ্যে গণধর্ষণ করা’। তার এমন বক্তব্য সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ক্ষুব্ধ করেছে।

সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ-এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, আমরা দেখেছি টুপি পরার কারণে ৩০ জুন‘১৯ তারিখে ১৬ বছরের এক মুসলিম কিশোরকে মারধর করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতেও বাধ্য করা হয়। অথচ মুসলমানরা সমগ্র ভারতবর্ষ শাসন করার সময় জবরদস্তি করে মুসলমান হতে বাধ্য করলে ভারতে কোন হিন্দুর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না।

তারা বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি চলতি সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার পার্ক সার্কাস এলাকায় নির্যাতনের শিকার হলেন হাফিজ মুহম্মদ শাহরুখ হালদার নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান না দেওয়ায় ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাকে।

এছাড়াও গত ২৮ জুন‘১৯ ইং তারিখে গুজরাটে ‘জয় শ্রী রাম’ না বলায় ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে।

সম্প্রতি ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে রিপোর্ট দিয়েছে, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অথচ তাদের মুসলিম নির্যাতনের খবর বিশ্বের কোথাও অজানা নেই।

ভারতে অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা এসব নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক, শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, কেন্দ্রীয় আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান ও কেন্দ্রীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক, মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশকে ভূমিকা রাখার আহ্বান

আপডেট টাইম : ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ ভারতে ২য় বারের মতো বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে কোনো কারণ ছাড়াই মুসলিমদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এসব কার্যক্রম বন্ধ না হলে তাদের ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ দিনদিন বাড়তেই থাকবে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে ভারতসহ উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ও মুসলিম নিধন এবং বরগুনায় রিফাত হত্যাসহ দেশব্যাপী চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারতে যখন মুসলিম নির্যাতন বাড়ছে এমন অবস্থায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আরও উসকে দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী সুনীতা সিং। তিনি বলেছেন, ‘হিন্দু পুরুষদের উচিত মুসলিম মেয়েদের প্রকাশ্যে গণধর্ষণ করা’। তার এমন বক্তব্য সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ক্ষুব্ধ করেছে।

সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ-এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, আমরা দেখেছি টুপি পরার কারণে ৩০ জুন‘১৯ তারিখে ১৬ বছরের এক মুসলিম কিশোরকে মারধর করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতেও বাধ্য করা হয়। অথচ মুসলমানরা সমগ্র ভারতবর্ষ শাসন করার সময় জবরদস্তি করে মুসলমান হতে বাধ্য করলে ভারতে কোন হিন্দুর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না।

তারা বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি চলতি সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার পার্ক সার্কাস এলাকায় নির্যাতনের শিকার হলেন হাফিজ মুহম্মদ শাহরুখ হালদার নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান না দেওয়ায় ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাকে।

এছাড়াও গত ২৮ জুন‘১৯ ইং তারিখে গুজরাটে ‘জয় শ্রী রাম’ না বলায় ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে।

সম্প্রতি ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে রিপোর্ট দিয়েছে, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অথচ তাদের মুসলিম নির্যাতনের খবর বিশ্বের কোথাও অজানা নেই।

ভারতে অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা এসব নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক, শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, কেন্দ্রীয় আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান ও কেন্দ্রীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক, মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।