ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবেশ রক্ষায় ইসলামের শিক্ষা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পৃথিবীর রক্ষা ও পরিবেশের নিরাপত্তা প্রযুক্তির সঙ্গে নয়, বরং মানুষের আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাইরের সঙ্গে নয়, ভেতরের সঙ্গে এবং শরীরের সঙ্গে নয়, আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত। পৃথিবীর সব বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে মানুষের বস্তুতান্ত্রিকতা, যা স্রষ্টা ও ধর্মের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে জন্ম নিয়েছে।

পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করা, পরিবেশ সুস্থ রাখা ও পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর কর্মকা- থেকে বিরত থাকার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। সবার প্রতি ন্যায়সংগত ও যথাযথ কর্তব্য পালন ইসলামের পরিভাষায় ‘হুকুকুল ইবাদ’ হিসেবে পরিচিত। সে অনুযায়ী এগুলো নৈতিকতা ও সচ্চরিত্রের আওতায় পড়ে। এসব নৈতিক মূল্যবোধের গুরুত্ব এতই যে, ইসলামে আল্লাহর ইবাদতগুলোর পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে হুকুকুল ইবাদ বা মাখলুকাতের প্রাপ্য আদায়ের ওপর। আর একজন মানুষের জীবনে তার স্রষ্টার প্রতি করণীয় ও সৃষ্টি জগতের প্রতি কর্তব্য ছাড়া আর কিইবা থাকতে পারে! সুতরাং এ ব্যাপারে জাতিসংঘ কনভেনশন বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনা ও সনদের চেয়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য বেশি দাবি রাখে ইসলামের শিক্ষা।

ভূগোলকের নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষার জন্য ইসলামে রয়েছে সর্বজনীন শিক্ষার গুরুত্ব। মানবজাতির পার্থিব জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও সাফল্যের চূড়ান্ত নির্দেশনা গ্রন্থ কোরআনুল কারিমে এবং আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের নমুনা রাসুল (সা.) এর সুন্নায় মানুষ, সৃষ্টিকুল, প্রকৃতি ও এসবের মধ্যকার সম্পর্কের প্রকৃতি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সুস্পষ্ট করা হয়েছে পরিবেশ নীতি, যা পালন করা মানুষের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে গণ্য।

আল্লাহ তায়ালা বাতাসের মধ্যে গ্যাসের ভারসাম্য রেখেছেন। নাইট্রোজেন শতকরা ৭৮, অক্সিজেন ২১ ও অন্যান্য গ্যাসের পরিমাণ ১ ভাগ। অক্সিজেনের পরিমাণ যদি কম বা বেশি হয়ে যায়, তাহলে সৃষ্টিজগতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। কিন্তু মানুষ নিজেরাই এ বিপর্যয় ডেকে আনছে। গাড়ির ধোঁয়া, কলকারখানার বর্জ্য, আবহাওয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনো-অক্সাইডের মতো মারাত্মক গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। গাছপালা কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। কিন্তু গাছপালা লাগানো বা বনায়নের প্রতি উৎসাহ না দিয়ে বরং তা কেটে ফেলে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

অতএব পৃথিবীর রক্ষা ও পরিবেশের নিরাপত্তা প্রযুক্তির সঙ্গে নয়, বরং মানুষের আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাইরের সঙ্গে নয়, ভেতরের সঙ্গে এবং শরীরের সঙ্গে নয়, আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত। পৃথিবীর সব বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে মানুষের বস্তুতান্ত্রিকতা, যা স্রষ্টা ও ধর্মের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে জন্ম নিয়েছে। সুতরাং এ বিপর্যয় রোধ করার জন্য শুধু বস্তুতান্ত্রিক কর্মকৌশল কার্যকর হবে না। মানুষ যখন সদা সর্বত্র বিরাজমান সত্তা অর্থাৎ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে সম্পর্ক কায়েম করবে, তার আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী পৃথিবীতে বিরাজিত আল্লহার নেয়ামতগুলো ভোগ ও ব্যবহার করবে, তখনই পৃথিবীর বিপর্যয় রোধ হবে।

ইসলামি জীবন দর্শনে পরিবেশ নৈতিকতার প্রথম কথা হলো, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিজগৎ ও এখানকার প্রতিটি বস্তু একটি বিশেষ মাত্রা, পরিমাণ ও অনুপাতে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের দায়িত্ব এ মাত্রা রক্ষা করা। এটি অনর্থক নয়। বরং এই অনুপাত ও ভারসাম্য রক্ষার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। মানুষের জন্যই সৃষ্টিজগতের এ ভারসাম্য মেনে চলা কল্যাণকর আর তা মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। দ্বিতীয়ত, আল্লাহ তায়ালা যত মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে একমাত্র মানুষেরই অনুভূতি শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি রয়েছে। এজন্যই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। জ্ঞানের কারণে মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি।

এখন মানুষের কর্তব্য এসব যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে সৃষ্টিজগতের রহস্য ও গূঢ়তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করা, কোরআন মাজিদের ৭৫৬টি আয়াতে আল্লাহ তায়ালার কুদরতের নিদর্শনা নিয়ে গবেষণার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মানুষ এসব নিয়ে যখন চিন্তা গবেষণা করবে, তখন যেমন তার আল্লাহ তায়ালার কুদরত ও অসীম ক্ষমতার প্রতি ঈমান মজবুত হবে, তেমনি মাখলুকাতের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের উপলব্ধি জন্ম নেবে এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর হবে। তৃতীয়ত, সৃষ্টিকুলের রহস্য ও সূক্ষ্মতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করলে নিজের কর্তব্য স্থির হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কল্যাণ ও সাফল্যের পথ অবলম্বন করাও তার জন্য সহজ হবে। চতুর্থত, যে বুঝতে পারবে পৃথিবীতে যত প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, তার মালিক আল্লাহ তায়ালা। মানুষের কাছে তা আমানত মাত্র।

এগুলো বিশেষ কোনো জাতি বা দেশের একচ্ছত্র সম্পত্তি নয়, বরং পৃথিবীর সব মানুষ, এমনকি অন্যান্য সৃষ্টিরও এতে প্রাপ্য রয়েছে। যে তা ব্যবহার করবে, তার দায়িত্ব সাবধানতা অবলম্বন করা। কেননা শুধু নিজেরা নয়, ভবিষ্যতের বংশধররাও যেন তা ব্যবহার করতে পারে। তাছাড়া উপকার লাভ করতে পারে সে দিকে লক্ষ রাখা মানুষের কর্তব্য। এজন্য হাদিসে মরুভূমির গাছ কাটতে, পানির ঘাট নোংরা করতে, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বারবার নিষেধ করা হয়েছে।

মোটকথা, পৃথিবীকে রক্ষা করার পূর্বশর্ত পৃথিবীর যিনি স্রষ্টা ও নিয়ন্তা, তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও তাঁর বিধান পালনের অঙ্গীকার করা। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যই সব ক্ষেত্রে কল্যাণ ও মুক্তির একমাত্র উপায়। ব্যক্তিগত জীবনে যেমন তা সত্য, সামষ্টিক জীবনেও তা অনস্বীকার্য। পৃথিবীর সব মানুষ যখন তা উপলব্ধি করবে, তখনই তাদের কল্যাণ সাধিত হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

পরিবেশ রক্ষায় ইসলামের শিক্ষা

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পৃথিবীর রক্ষা ও পরিবেশের নিরাপত্তা প্রযুক্তির সঙ্গে নয়, বরং মানুষের আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাইরের সঙ্গে নয়, ভেতরের সঙ্গে এবং শরীরের সঙ্গে নয়, আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত। পৃথিবীর সব বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে মানুষের বস্তুতান্ত্রিকতা, যা স্রষ্টা ও ধর্মের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে জন্ম নিয়েছে।

পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করা, পরিবেশ সুস্থ রাখা ও পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর কর্মকা- থেকে বিরত থাকার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। সবার প্রতি ন্যায়সংগত ও যথাযথ কর্তব্য পালন ইসলামের পরিভাষায় ‘হুকুকুল ইবাদ’ হিসেবে পরিচিত। সে অনুযায়ী এগুলো নৈতিকতা ও সচ্চরিত্রের আওতায় পড়ে। এসব নৈতিক মূল্যবোধের গুরুত্ব এতই যে, ইসলামে আল্লাহর ইবাদতগুলোর পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে হুকুকুল ইবাদ বা মাখলুকাতের প্রাপ্য আদায়ের ওপর। আর একজন মানুষের জীবনে তার স্রষ্টার প্রতি করণীয় ও সৃষ্টি জগতের প্রতি কর্তব্য ছাড়া আর কিইবা থাকতে পারে! সুতরাং এ ব্যাপারে জাতিসংঘ কনভেনশন বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনা ও সনদের চেয়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য বেশি দাবি রাখে ইসলামের শিক্ষা।

ভূগোলকের নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষার জন্য ইসলামে রয়েছে সর্বজনীন শিক্ষার গুরুত্ব। মানবজাতির পার্থিব জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও সাফল্যের চূড়ান্ত নির্দেশনা গ্রন্থ কোরআনুল কারিমে এবং আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের নমুনা রাসুল (সা.) এর সুন্নায় মানুষ, সৃষ্টিকুল, প্রকৃতি ও এসবের মধ্যকার সম্পর্কের প্রকৃতি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সুস্পষ্ট করা হয়েছে পরিবেশ নীতি, যা পালন করা মানুষের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে গণ্য।

আল্লাহ তায়ালা বাতাসের মধ্যে গ্যাসের ভারসাম্য রেখেছেন। নাইট্রোজেন শতকরা ৭৮, অক্সিজেন ২১ ও অন্যান্য গ্যাসের পরিমাণ ১ ভাগ। অক্সিজেনের পরিমাণ যদি কম বা বেশি হয়ে যায়, তাহলে সৃষ্টিজগতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। কিন্তু মানুষ নিজেরাই এ বিপর্যয় ডেকে আনছে। গাড়ির ধোঁয়া, কলকারখানার বর্জ্য, আবহাওয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনো-অক্সাইডের মতো মারাত্মক গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। গাছপালা কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। কিন্তু গাছপালা লাগানো বা বনায়নের প্রতি উৎসাহ না দিয়ে বরং তা কেটে ফেলে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

অতএব পৃথিবীর রক্ষা ও পরিবেশের নিরাপত্তা প্রযুক্তির সঙ্গে নয়, বরং মানুষের আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাইরের সঙ্গে নয়, ভেতরের সঙ্গে এবং শরীরের সঙ্গে নয়, আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত। পৃথিবীর সব বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে মানুষের বস্তুতান্ত্রিকতা, যা স্রষ্টা ও ধর্মের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে জন্ম নিয়েছে। সুতরাং এ বিপর্যয় রোধ করার জন্য শুধু বস্তুতান্ত্রিক কর্মকৌশল কার্যকর হবে না। মানুষ যখন সদা সর্বত্র বিরাজমান সত্তা অর্থাৎ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে সম্পর্ক কায়েম করবে, তার আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী পৃথিবীতে বিরাজিত আল্লহার নেয়ামতগুলো ভোগ ও ব্যবহার করবে, তখনই পৃথিবীর বিপর্যয় রোধ হবে।

ইসলামি জীবন দর্শনে পরিবেশ নৈতিকতার প্রথম কথা হলো, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিজগৎ ও এখানকার প্রতিটি বস্তু একটি বিশেষ মাত্রা, পরিমাণ ও অনুপাতে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের দায়িত্ব এ মাত্রা রক্ষা করা। এটি অনর্থক নয়। বরং এই অনুপাত ও ভারসাম্য রক্ষার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। মানুষের জন্যই সৃষ্টিজগতের এ ভারসাম্য মেনে চলা কল্যাণকর আর তা মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। দ্বিতীয়ত, আল্লাহ তায়ালা যত মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে একমাত্র মানুষেরই অনুভূতি শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি রয়েছে। এজন্যই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। জ্ঞানের কারণে মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি।

এখন মানুষের কর্তব্য এসব যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে সৃষ্টিজগতের রহস্য ও গূঢ়তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করা, কোরআন মাজিদের ৭৫৬টি আয়াতে আল্লাহ তায়ালার কুদরতের নিদর্শনা নিয়ে গবেষণার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মানুষ এসব নিয়ে যখন চিন্তা গবেষণা করবে, তখন যেমন তার আল্লাহ তায়ালার কুদরত ও অসীম ক্ষমতার প্রতি ঈমান মজবুত হবে, তেমনি মাখলুকাতের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের উপলব্ধি জন্ম নেবে এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর হবে। তৃতীয়ত, সৃষ্টিকুলের রহস্য ও সূক্ষ্মতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করলে নিজের কর্তব্য স্থির হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কল্যাণ ও সাফল্যের পথ অবলম্বন করাও তার জন্য সহজ হবে। চতুর্থত, যে বুঝতে পারবে পৃথিবীতে যত প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, তার মালিক আল্লাহ তায়ালা। মানুষের কাছে তা আমানত মাত্র।

এগুলো বিশেষ কোনো জাতি বা দেশের একচ্ছত্র সম্পত্তি নয়, বরং পৃথিবীর সব মানুষ, এমনকি অন্যান্য সৃষ্টিরও এতে প্রাপ্য রয়েছে। যে তা ব্যবহার করবে, তার দায়িত্ব সাবধানতা অবলম্বন করা। কেননা শুধু নিজেরা নয়, ভবিষ্যতের বংশধররাও যেন তা ব্যবহার করতে পারে। তাছাড়া উপকার লাভ করতে পারে সে দিকে লক্ষ রাখা মানুষের কর্তব্য। এজন্য হাদিসে মরুভূমির গাছ কাটতে, পানির ঘাট নোংরা করতে, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বারবার নিষেধ করা হয়েছে।

মোটকথা, পৃথিবীকে রক্ষা করার পূর্বশর্ত পৃথিবীর যিনি স্রষ্টা ও নিয়ন্তা, তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও তাঁর বিধান পালনের অঙ্গীকার করা। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যই সব ক্ষেত্রে কল্যাণ ও মুক্তির একমাত্র উপায়। ব্যক্তিগত জীবনে যেমন তা সত্য, সামষ্টিক জীবনেও তা অনস্বীকার্য। পৃথিবীর সব মানুষ যখন তা উপলব্ধি করবে, তখনই তাদের কল্যাণ সাধিত হবে।