বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, اُتْلُ مَا أُوْحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلاَةَ، إِنَّ الصَّلاَةَ تَنْهى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ، وَلَذِكْرُ اللهِ أَكْبَر “আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট গ্রন্থ পাঠ করুন এবং যথাযথভাবে নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে। আর অবশ্যই আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ।” –সূরা আনকাবুত: ৪৫ নামায মুমিনের চক্ষুকে শীতল করে, তার যাবতীয় ছোট ছোট গুনাহ বা লঘু ও উপপাপকে মোচন করে দেয়। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি,
তিনি বলেছেন, “কি অভিমত তোমাদের, যদি তোমাদের কারো দরজার সামনেই একটি নদী থাকে এবং সেই নদীতে সে প্রত্যহ্ পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি? সকলে বলল, ‘না, তার শরীরে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না।’ তিনি বললেন, “অনুরুপই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের উপমা। ঐ নামাযসমূহের ফলেই (নামাযীর) সমস্ত গুনাহকে আল্লাহ মোচন করে দেন।” (বুখারী ৫২৮নং, মুসলিম ৬৬৭নং, তিরমিযী, নাসাঈ)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, “কাবীরাহ্ গুনাহ না করলে পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমআ থেকে অপর জুমআর মধ্যবর্তীকালে সংঘটিত পাপসমূহের কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত)।” (মুসলিম ২৩৩নং, তিরমিযী, প্রমুখ)
হযরত আবু উসমান (রা.) বলেন, একবার একটি গাছের নিচে আমি সালমান (রা.) এর সাথে (বসে) ছিলাম। তিনি গাছের একটি শুষ্ক ডাল ধরে হিলিয়ে দিলেন। এতে ডালের সমস্ত পাতাগুলি ঝড়ে গেল। অত:পর তিনি বললেন, ‘হে আবু উসমান! তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করবে না কি যে, কেন আমি এরুপ করলাম?’ আমি বললাম, ‘কেন করলেন?’ তিনি বললেন, ‘ একদা আমিও আল্লাহর রাসুল (সা.) এর সাথে গাছের নিচে ছিলাম।
তিনি আমার সামনে অনুরুপ করলেন; গাছের একটি শুষ্ক ডাল ধরে হিলিয়ে দিলেন। এতে তার সমস্ত পাতা খসে পড়ল। অতঃপর বললেন, “হে সালমান! তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করবে না কি যে, কেন আমি এরুপ করলাম?” আমি বললাম, কেন করলেন? তিনি উত্তরে বললেন, “মুসলিম যখন সুন্দরভাবে ওযু করে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে তখন তার পাপরাশি ঠিক ঐভাবেই ঝরে যায় যেভাবে এই পাতাগুলো ঝরে গেল। আর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেন,
وَأَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفاً مِّنَ اللَّيْلِ، إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّآتِ، ذلِكَ ذِكْرى لِلذَّاكِرِيْنَ
অর্থাৎ, “আর আপনি দিনের দু’ প্রান্তেই ও রাতের প্রান্তভাগে নামায কায়েম করুন। পুণ্যরাশি অবশ্যই পাপরাশিকে দূরীভূত করে দেয়। (আল্লাহর) স্মরণকারীদের জন্য এ হল এক স্মরণ।” -সূরা হূদ: ১১৪; মুসনাদে আহ্মদ, নাসাঈ, ত্বাবারানী, সহীহ তারগীব: হাদিস নং-৩৫৬
মহানবী (সা.) বলেন, “বান্দা যখন নামাযে দাঁড়ায়, তখন তার সমস্ত গুনাহকে নিয়ে তার মাথা ও দুই কাঁধে রাখা হয়। অতঃপর সে যখনই রুকূ ও সিজদা করে, তখনই একটি একটি করে সমস্ত গুনাহগুলি ঝরে পড়ে যায়।” -বাইহাকী, সহীহ আল-জামে: হাদিস নং-১৬৭১।