শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ২৫ রানের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে চাপে ফেলে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তবে শুরুর এই আধিপত্য আর ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। রান দেওয়ায়ও প্রথম দুই সেশনে কৃপণতা দেখালেও শেষ সেশনে আর সেটি ধরে রাখতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সেঞ্চুরি না পেলেও নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে থেমেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার মিকাইল লুইস ও পাঁচে নামা আলিক আথানেজ। এই দুজনের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে ক্যারিবিয়ানরা।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান মিরাজ। তাসকিন আহমেদের তোপে ২৫ রানের মধ্যে ফেরেন স্বাগতিক অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও তিনে নামা কেসি কার্টি। এক শ রানের আগে আরও এক উইকেট পায় বাংলাদেশ। ২৫ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন কেভাম হজ (২৫)।
এরপরই দুর্দান্ত জুটি গড়েন লুইস ও আথানেজ। বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে দলের সঙ্গে দুজনে যোগ করেন ১৪০ রান। লুইস ধীরলয়ে ব্যাট করলেও আথানেজ শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। লুইস তার অর্ধশতক আদায় করেন ১০৪ বলে। আর আথানেজের ফিফটি আসে ৮৫ বলে। দলীয় প্রথ এক শ রান তুলতে ৪৫ ওভার ২ বল লাগা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় পরের একশ পূর্ণ হয় মাত্র ২৫ ওভারে।
দলীয় ২২৪ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সেঞ্চুরির দেড়গোড়া থেকে ফেরেন লুইস। শেষ হয় তার ২১৮ বলে ৯৭ রানের ম্যারাথন ইনিংস। ৯টি চার ও ১ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ৪ রানের মাথায় ফেরেন আথানেজও। ১৩০ বলে ১০টি চার ও ১ ছক্কায় ৯০ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাটে। দিনের বাকি সময়টুকু আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি জাস্টিন গ্রেভস ও জশুয়া দ্য সিলভা। ৮৪ ওভার হওয়ার পর আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়ার।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে তেমন কেউই আধিপত্য দেখাতে পারেননি। শুরুতে ২ উইকেট নিয়ে আশা দেখিয়েছিলেন তাসকিন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।