বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নতুন আইন জারি করেছে ভারতের সরকার। নতুন আইন অনুযায়ী, বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলে আমন্ত্রিত অতিথির জেল হতে পারে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আরও কঠোর মনোভাব নিয়ে দেশটির নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বর-কনের পরিবার ছাড়া নিমন্ত্রিত অতিথিদেরও ‘চাইল্ড ম্যারেজ প্রিভেনশন অ্যাক্টের’ আওতায় আনা হবে। যার ফলে দু-বছর পর্যন্ত জেল ও এক লাখ রুপি পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এছাড়াও নারী ও শিশু কল্যান দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জানিয়েছেন যে, বাল্যবিবাহে আমন্ত্রিত অতিথিদের Pocso আইনেও অভিযুক্ত করা হতে পারে। যদি নির্দিষ্ট বয়সের আগে বিয়ের কারণে নাবালিক মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে, বা তাকে স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয়, তাহলে দুই পরিবার ছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের Pocso-র আওতায় আনা হবে। এই আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমপক্ষে সাত বছরের জেল হবে অপরাধীদের।
ভারতে আইন অনুযায়ী, মেয়েদের বিয়ে বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ২১। কিন্তু গ্রামের দিকে বাল্যবিবাহের রমরমা এখনও বর্তমান। বিশেষ করে গরীব পরিবারের মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেয়ার প্রবণতা যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে। বয়ঃপ্রাপ্তির আগেই বিয়ে, যৌন সম্পর্ক ও সন্তান ধারণে নাবালিকার শরীরে প্রচুর ক্ষতি হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।