বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের মা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। নগর ভবনের সামনে আজ শনিবার চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ডিএসসিসি আয়োজিত এক নাগরিক শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে এ কথা জানান মেয়র।
তিনি বলেন, ‘আমার মাও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত।’ ডিএসসিসি এলাকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে চিকুনগুনিয়া মুক্ত হবে বলে এ সময় জানান তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আমি অন্য মায়েদের কষ্ট বুঝি। আমার মায়ের বিষণ্ণ মুখ দেখে কাজে আসি। আমার ওপর আস্থা রাখুন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে চিকুনগুনিয়া মুক্ত করব ডিএসসিসি এলাকা।’
একই সঙ্গে মেয়র বলেন, ‘এ ১০ দিনে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসতে পারে চিকুনগুনিয়া। আবার অল্প কিছু লোক আক্রান্ত হতে পারে। ১০ দিনে ৯৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে আবার সাত দিনের মাথায় এ রোগ নতুন করে আসতে পারে। এর জন্য প্রত্যেক নাগরিককে তাদের নিজ অবস্থান থেকে সাহায্য করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি জানান, ডিএসসিসির হট লাইন চালু করার পর থেকে গতকাল (শুক্রবার) রাত ১০টা পর্যন্ত ৩১ হাজার ৮৫৬টি ফোন এসেছে নাগরিকদের কাছ থেকে। শুধু ডিএসসিসি এলাকা থেকে এতো ফোন আসেনি। দেশের বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বাইরে থেকেও এ ফোন কল এসেছে, বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য।
এ ছাড়া ২২ হাজার ১১২ জন নাগরিক কল করেছেন পরামর্শ ও ওষুধের জন্য। এর মধ্যে ডিএসসিসি এলাকার এক হাজার ৪৩০ জন নাগরিক ফোন করেছেন তথ্য, ডাক্তারি সেবা ও ওষুধের জন্য।
মেয়র জানান, ৩৩৬ জন সরাসরি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ফোন দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬৬ জন রোগীকে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যেখানে পরামর্শ চেয়েছেন ১২৮ জন। এ ছাড়া ডিএসসিসি এলাকার ৩৭ জনকে কল ব্যাক করে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই উল্লেখ করে বাসা বাড়ি পরিষ্কার রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচারণা ও মিডিয়ার গঠনমূলক সমালোচনার কারণে নাগরিকরা সচেতন হয়েছে। তবুও মশা নিধনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
বক্তব্য শেষে মেয়র সাঈদ খোকনের নেতৃত্বে নগর ভবন থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সুশীল সমাজ, এনজিও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে চিকুনগুনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক র্যালি বের হয়। র্যালিটি গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার হয়ে পল্টন মোড় দিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে হয়ে আবার নগর ভবনে গিয়ে শেষ হয়।