বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পদ্মা সেতুর কর্মযজ্ঞ পরিদর্শন করতে আজ রবিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রওয়ানা দিয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন (মাওয়া প্রান্ত) করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে পদ্মাসেতুর নামফলক উম্মোচন (মাওয়া প্রান্ত) এবং মূল নদীশাসন কাজ সংলগ্ন স্থায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজেরও উদ্বোধন করেছেন তিনি।
রবিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ১৮ মিনিটে তিনি এ উদ্বোধন করেন। এরপর সাড়ে ১১টায় মাওয়া গোলচত্বরে সুধীসমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাজিরা ও মাওয়ার মধ্যে ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর বেশ কিছু অংশ এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। জাজিরায় পাঁচটি ও মাওয়ায় একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। পুরো প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু প্রতীক্ষিত মেগাপ্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে রবিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়াসহ শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় যাবেন।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রী জাজিরা পয়েন্টে সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিবচরে যাবেন এবং ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শন উপলক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত শুক্রবার জাজিরার নাওডোবা এলাকা পরিদর্শন করেন।
সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শনিবার পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসার কথা। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা পরিবর্তন করে রবিবার পরিদর্শনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ, কে, এম শাহজাহান কামাল ও সেনা বাহিনী প্রধানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।