জার্মান নেতাকর্মীদের ওপর হামলার জবাব ভোটে দিতে আরজি শোলজের

আগামী ৯ জুন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির কিছু জায়গায় আঞ্চলিক নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার অভিযান চলছে। কিন্তু নেতাকর্মীদের ওপর বেড়ে চলা হামলা ও সার্বিক সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ নিয়ে জার্মানিতে দুশ্চিন্তা বেড়ে চলেছে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় এর উচিত জবাব দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদ জানানো উচিত।শোলজ বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের ওপর হামলা আমাদের সবারই দুশ্চিন্তার কারণ। আমরা সবাই যে জবাব দিতে পারি, সেটা বেশ সহজ। ভোট দিতে যান

জার্মান চ্যান্সেলরের মতে, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর এমন হামলা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। ‘পপুলিস্ট’রা যেভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে জার্মানিকে বেরিয়ে আসার ডাক দিচ্ছে, সে বিষয়েও শোলজ দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন। তার মতে, এমন শক্তি রাশিয়া ও চীনকে আদর্শ মনে করে। তিনি মনে করিয়ে দেন, জার্মানিতে প্রতি চারটি চাকরির মধ্যে একটি রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল।

ফলে ইইউতে না থাকলে মানুষের হাতে অর্থ অনেক কমে যাবে।৪৫ কোটি জনসংখ্যার রাষ্ট্রজোট ইইউ যেকোনো সদস্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি রাজনৈতিক গুরুত্ব পায়। এমন ‘আত্ম-ধ্বংসাত্মক পাগলামি’ সম্পর্কে উষ্মা প্রকাশ করেন শোলজ। ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে সেই ক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন জার্মান চ্যান্সেলর। তাঁর মতে, এমন কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার লক্ষণ।

উল্লেখ্য, জার্মানির কট্টর দক্ষিণপন্থী এএফডি দলের নেতা আলিস ভাইডেল চলতি বছরের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে জার্মানির সদস্য পদ নিয়ে গণভোটের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি ইইউ কমিশনের ক্ষমতা কমানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন।

গত মঙ্গলবার ড্রেসডেন শহরে শোলজের এসপিডি দলের এক ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের ওপর নৃশংস হামলা দেশে-বিদেশে সংবাদ শিরোনামে উঠেছে। নির্বাচনের আগে দলের পোস্টার লাগানোর সময় নেতাকর্মীদের ওপর বেড়ে চলা হামলা মোকাবেলা করতে পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলো ভাবনাচিন্তা করছে। এমন সহজ কাজের জন্যও নিরাপত্তার খাতিরে একাধিক ব্যক্তি পাঠানোর প্রস্তাব উঠে আসছে। রাজনৈতিক নেতাদের প্রচার অভিযানেও নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ চলছে। বার্লিনে এসপিডি দলের নেতা ফ্রান্সিস্কা গিফাই এক লাইব্রেরির মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার পর বিষয়টি আরো গুরুত্ব পাচ্ছে। সহিংসতার পাশাপাশি প্রচারের সময়ে ঘেরাও করা, গালিগালাজ ও হুমকির ঘটনাও বাড়ছে। অনেক রাজনৈতিক নেতা ই-মেইল বা অন্যান্য পথে হুমকিরও অভিযোগ করছেন।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর