তিন পদে সাড়ে ৮শ’ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সরকারি চাকুরীতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া না গেলেও তিনটি পদে সাড়ে ৮শ’ জনকে আজ পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন স্কুলে আজ এ চিত্র দেখা গেছে। এখানে আজ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক পদে লিখিত পরীক্ষা ছিল। ৩টি পদের জন্য পরীক্ষা দিতে আসে প্রায় সাড়ে ৮শ’ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রের সামনে তখন বিক্ষোভ করে।

তাদের ভাষ্য, তিন পদে সাড়ে ৮শ’ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, অথচ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় (পিএসসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না পাওয়া যাওয়ায় সরকারি চাকুরীর শূন্য পদ খালি থাকছে।

এ প্রসঙ্গে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শহীদ সংসদ সদস্য নূরুল হক হাওলাদারের কন্যা জোবায়দা হক অজন্তা বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর থেকে কোটা নিয়ে কুটচালাকী হয়েছে। কোটা থাকলেও এই পদে কোন মুক্তিযোদ্ধার চাকুরী হয়নি। ৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসলে এই কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। তখন কোটায় কিছু চাকুরি হলেও ২০০১ সালের পর আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ২০০৮ সালের পর থেকে বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আন্তরিক হলেও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু রাজাকার প্রেতাত্মা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে।’

তিনি বলেন, দেশে এখনো লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রয়েছে। প্রিলিমিনারী, লিখিত পরীক্ষাসহ প্রতিযোগিতামূলক প্রত্যেকটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষা থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বাদ দিয়ে দিচ্ছে। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বুঝানো হয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না পাওয়া যাওয়ায় কোটায় পদ শূন্য থাকছে। এটা একটা শুভঙ্করের ফাঁকি।

প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে শতশত এমন অভিযোগ আসছে যে, মৌখিক পরীক্ষার টেবিল থেকে মুক্তিযোদ্ধান সন্তানদের বাদ দিয়ে দিচ্ছে। এতে বেকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রশাসন গড়ার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কুটচালাকি বন্ধ করতে এবং এ ধরনের শুভঙ্করের ফাঁকি থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের রক্ষা করতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর