বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সুনামগঞ্জে শিমুলবাগানের মতো পযর্টকদের জন্য আরেকটি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে সূর্যমুখী বাগান। হলদে ফুলের সমারোহে হারিয়ে যেতে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন সূর্যমুখী বাগানে।
সুনামগঞ্জ সদরের ভাদেরটেক ইউপির সালামপুরেকৃষি বিভাগের প্রণোদণায় বাণিজ্যিকভাবে তিন কিয়ার জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেন কৃষক আব্দুর রহমান। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে বাগানের তিন শতাধিক গাছে ফুল ফোটে। এতেই সবার নজর পড়ে সূর্যমুখী বাগানে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ফুটে থাকা এ ফুল পর্যটকদের টানছে এক অমোঘ আকর্ষণে। এ মাসের শুরু থেকেই আবদুর রহমানের সূর্যমুখী বাগানে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। সারাদিনই ভিড় থাকে তরুণ তরুণীদের। ভালোবাসা দিবসে সূর্যমুখী বাগানে আসা হাজারো তরুণ-তরুণীর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে সূর্যমুখী বাগানে।সূর্যমুখী বাগানে ছবি তুলছেন এক তরুণী
সূর্যমুখী বাগানে আসা আশরাফুল ইসলাম সুমন বলেন, হাজারো হলদে ফুলের সমারোহে আমরা মুগ্ধ। সূর্যমুখী ফুলের এমন সৌন্দর্য আগে দেখিনি।
আরেক পর্যটক সোহেল আহমদ সাজু জানান, শহরের অদূরে এমন একটি মনোমুগ্ধকর বাগান সুনামগঞ্জে পর্যটক বাড়াবে।
বাগান মালিক আবদুর রহমান জানান, সালামপুরের সূর্যমুখী বাগানের এ সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। এরপর বাগানটি আর থাকবে না। গাছ কেটে বিজ সংগ্রহ করা হবে।
তিনি আরো জানান, পর্যটকরা ছবি তুলতে গিয়ে গাছগুলো নষ্ট করে ফেলছেন। অনেকে ফুল ছিড়ে নিচ্ছেন। এতে ফলন কমে যাচ্ছে। সবারই উচিত বাগানের সৌন্দর্য ধরে রাখা।
স্থানীয়রা জানায়, সূর্যমুখী বাগানে আসা পর্যটকদের কারণে আশপাশে গড়ে উঠেছে মৌসুমী দোকানপাট। এছাড়া বাড়তি আয় করছে বাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল ব্যবসায়ীরা।