ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুর দেরিতে বয়ঃপ্রাপ্তির লক্ষণ ও করণীয় কী

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রত্যেকটি শিশুরই একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বয়ঃপ্রাপ্তি হয়। অর্থাৎ শিশু থেকে কৈশোরে পা রাখে। এক্ষেত্রে সাধারণত ৯ থেকে ১০ বছর বয়সেই শিশুদের মধ্যে কৈশোরের লক্ষণগুলো দেখা দিতে থাকে। আর ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সে তা সম্পূর্ণভাবে প্রস্ফুটিত হয়।

তবে অনেকের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ের দুই থেকে তিন বছর পরও বয়ঃপ্রাপ্তির শারীরিক কোনো লক্ষণ ফুটে ওঠে না। আর একেই বলে বিলম্বিত বয়ঃপ্রাপ্তি বা ডিলেইড পিউবারটি।

বয়ঃসন্ধিকাল কোনো কোনো শিশুর মধ্যে একটু দেরিতে শুরু হলেও পরে তা স্বাভাবিকভাবেই গড়ে ওঠে। এছাড়া অপুষ্টি, দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগ যেমন- থ্যালাসেমিয়া, কিডনি রোগ, টারনার সিনড্রোমের মতো জেনেটিক সমস্যা বা হরমোনজনিত সমস্যার (প্রজনন হরমোনের অভাব বা অকার্যকারিতা) কারণে বয়ঃসন্ধিকাল বিলম্বিত হতে পারে।

অনেক অভিভাবকই আছেন যারা বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন না। ফলে রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। তাই শিশুর বয়ঃসন্ধিকাল সময়মতো শুরু হচ্ছে কি না এবং এর লক্ষণগুলো কী, তা জানা জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক শিশুর বয়ঃপ্রাপ্তির লক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে-

মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে করণীয়

> ১৩ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও শারীরিক বিকাশ না ঘটা।

> ১৬ বছর বয়সেও মাসিক শুরু না হওয়া

ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে

> ১৪ বছর বয়সেও প্রজনন অঙ্গের বৃদ্ধি না ঘটা

করণীয়

কৈশোরে সন্তানদের সঙ্গে এসব বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কিছুটা খোলামেলা কথা বলুন। এতে তারাও সংকোচ না করে সমস্যার কথা খুলে বলবে। সন্তানের শারীরিক ও স্বাভাবিক এসব পরিবর্তনে অসামঞ্জস্য দেখা গেলে কিংবা পরিবর্তন বিলম্বিত হলে সংকোচ করবেন না। বরং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

লেখক: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শিশুর দেরিতে বয়ঃপ্রাপ্তির লক্ষণ ও করণীয় কী

আপডেট টাইম : ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রত্যেকটি শিশুরই একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বয়ঃপ্রাপ্তি হয়। অর্থাৎ শিশু থেকে কৈশোরে পা রাখে। এক্ষেত্রে সাধারণত ৯ থেকে ১০ বছর বয়সেই শিশুদের মধ্যে কৈশোরের লক্ষণগুলো দেখা দিতে থাকে। আর ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সে তা সম্পূর্ণভাবে প্রস্ফুটিত হয়।

তবে অনেকের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ের দুই থেকে তিন বছর পরও বয়ঃপ্রাপ্তির শারীরিক কোনো লক্ষণ ফুটে ওঠে না। আর একেই বলে বিলম্বিত বয়ঃপ্রাপ্তি বা ডিলেইড পিউবারটি।

বয়ঃসন্ধিকাল কোনো কোনো শিশুর মধ্যে একটু দেরিতে শুরু হলেও পরে তা স্বাভাবিকভাবেই গড়ে ওঠে। এছাড়া অপুষ্টি, দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগ যেমন- থ্যালাসেমিয়া, কিডনি রোগ, টারনার সিনড্রোমের মতো জেনেটিক সমস্যা বা হরমোনজনিত সমস্যার (প্রজনন হরমোনের অভাব বা অকার্যকারিতা) কারণে বয়ঃসন্ধিকাল বিলম্বিত হতে পারে।

অনেক অভিভাবকই আছেন যারা বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন না। ফলে রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। তাই শিশুর বয়ঃসন্ধিকাল সময়মতো শুরু হচ্ছে কি না এবং এর লক্ষণগুলো কী, তা জানা জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক শিশুর বয়ঃপ্রাপ্তির লক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে-

মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে করণীয়

> ১৩ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও শারীরিক বিকাশ না ঘটা।

> ১৬ বছর বয়সেও মাসিক শুরু না হওয়া

ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে

> ১৪ বছর বয়সেও প্রজনন অঙ্গের বৃদ্ধি না ঘটা

করণীয়

কৈশোরে সন্তানদের সঙ্গে এসব বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কিছুটা খোলামেলা কথা বলুন। এতে তারাও সংকোচ না করে সমস্যার কথা খুলে বলবে। সন্তানের শারীরিক ও স্বাভাবিক এসব পরিবর্তনে অসামঞ্জস্য দেখা গেলে কিংবা পরিবর্তন বিলম্বিত হলে সংকোচ করবেন না। বরং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

লেখক: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ