বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ পুষ্টিগুণে ভরপুর পরিচিত একটি রসালো ফল নাশপাতি। বিশ্বজুড়ে কয়েক ধরনের নাশপাতির চাষ হলেও মূলত এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকাতেই এটি বেশি পাওয়া যায়। এর রয়েছে অসাধারণ গুণাবলী।
বাজারে এই ফলটি খুব সহজে পাওয়া যায়। লাউয়ের মতো দেখতে হালকা হলুদ রঙের মিষ্টি স্বাদের এ ফলটি খেতেও বেশ সুস্বাদু। তাছাড়া এই ফলের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাইতো করোনার এই সময়ে সুস্থ থাকতে নিয়মিত নাশপাতি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক নাশপাতির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে নাশপাতিতে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকার কারণে এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ফ্লু অথবা ঠাণ্ডাজনিতে রোগে ভুগলে নাশপাতি খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক ডাক্তার।
নাশপাতিতে ফাইবার থাকায় এই ফল খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে ও ক্ষুধা কম লাগে। ফলে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এটি হজমশক্তি বাড়ায়। নাশপাতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ভালো ফল পেতে খোসাসহ নাশপাতি খাওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নাশপাতি খুবই উপকারী। লো গ্লাইসোমিক ফল হওয়ায় নাশপাতি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অস্টিওপোরোসিসসহ হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য উপকারী ফল নাশপাতি। এতে থাকা কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ক্ষয়রোধ করে হাড় মজবুত রাখে।
নিয়মিত নাশপাতি খেলে ত্বক, দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
নাশপাতিতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, কপার স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে। এতে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বাড়ে। এছাড়া পটাশিয়ামের ভালো উৎস হওয়ায় নাশপাতি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগে ঝুঁকিও কমে।
নাশপাতিতে প্রচুর পরিামাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। আরো আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। ফলে এই ফল ব্রেস্ট, লাং, প্রোস্টেট, কোলন ও রেকটাম ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
নাশপাতিতে প্রচুর আয়রন ও কপার থাকে, যা অ্যানিমিয়ার প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ভালো ভূমিকা রাখে। শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ে। তাই নাশপাতি খেলে অ্যানিমিয়া, মাংস পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি ও শারীরিক অবসাদ দূর হয়।
নাশপাতি শক্তির ভালো উৎস। তাই ব্যায়ামের আগে ও পরে নাশপাতি খেতে পারেন।