প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন মুনিয়া চৌধুরী। ২৭৯ জনের মধ্যে তিনি প্রথম হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট (আইইআর) থেকে মাস্টার্স শেষ করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে ‘পাবলিক হেলথ’ বিষয়ে আরেকটি মাস্টার্স করেছেন মুনিয়া । বিসিএস পরীক্ষায় তিনি যেমন প্রথম হয়েছেন, অনার্স-মাস্টার্সেও তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী বাবুল হাসানের কন্যা তিনি।
নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন ফারজানা উন্মে খানম, কর ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন নুরুন্নাহার শিফা। সমবায় ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন আইরিন খানম, ইকনমিক ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন ইফফাত তানজিয়া, তথ্য ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন মারুফা রহমান ঈমা, একই ক্যাডারে সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) পদে ২১ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তৃপ্তি কথা বসু, পশুসম্পদ ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন সোহেলী জাহান মৌ।
তথ্য ক্যাডারের সহকারী বেতার প্রকৌশলী পদে প্রথম হয়েছেন শারমিন সুলতানা।
এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে বাংলায় প্রথম হয়েছেন সাদিয়া আফরোজ সিফাত, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রথম হয়েছেন জিনাত আরা ফারজানা, ইংরেজি বিভাগে প্রথম হয়েছেন বাঁধন মনি, দর্শন বিভাগে প্রথম হয়েছেন খাদিজা আক্তার, সমাজবিজ্ঞানে প্রথম হয়েছেন মৌসুমি ভট্টাচার্য, সমাজকল্যাণে প্রথম হয়েছেন নাহিদা আফরোজ, ভূগোলে প্রথম হয়েছেন মাহমুদা ইসলাম, উদ্ভিদবিদ্যায় প্রথম হয়েছেন মুসলিমা খাতুন, মনোবিজ্ঞানে প্রথম হয়েছেন মাসুমা খাতুন, ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রথম হয়েছেন শারমিন আক্তার, মার্কেটিং বিভাগে প্রথম হয়েছেন বিবি জয়নব, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম হয়েছেন ছুমাইয়া বিনতে মাহবুব ও পরিসংখ্যান বিভাগে প্রথম হয়েছেন ফাতেমা আক্তার লুবনা।
গত বছরের ২৯ আগস্ট ৩৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে দুই হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পিএসসি। পরে ৫ নভেম্বর আরো ১৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
পিএসসি থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দুই হাজার ৫২টি পদের বিপরীতে ৩৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বছরের ২৪ মে অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় এক লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। দুই দফায় সংশোধিত ফলাফলে ৪৬ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ ৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা বাদে) শেষ হয়। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর। লিখিত পরীক্ষায় মোট নয় হাজার ৮২২ জন উত্তীর্ণ হন।