বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের সমস্যা জেঁকে বসে শরীরে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বয়স ৪০ বছর পার হওয়ার পরই বার্ধক্য জেঁকে বসে। কারণ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারী-পুরুষের জীবন সংগ্রামটা একটু বেশি।
৪০-এর পর কীভাবে সুস্থ থাকা যায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। বিভিন্ন চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ৪০ পেরোলে কীভাবে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
১. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
বয়স ৪০ পার হলেও নিজেকে স্বাস্থ্যকর রাখার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করতে পারে আপনার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ। তাই এ সময়ে রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সতর্ক থাকুন।
২. ক্যাফেইন নিয়ন্ত্রণ
ক্যফেইন কম গ্রহণ করার কথা অনেক বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন। বিশেষ করে ৪০ পার হলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটির বেশি পরিমাণে গ্রহণ আপনার অনিদ্রা ও বিরক্তি বাড়িয়ে দিতে পারে, যা আপনার শরীরকে ক্লান্ত রাখতে পারে।
৩. ঘুমের সময়সূচি
বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ৪০ বছরের পর প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এটি একটি নিয়মিত রুটিন করে করা উচিত।
৪. সকালের নাস্তায় নিয়ম
নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠার এক ঘণ্টার মধ্যে সকালের নাস্তা করা উচিত। আর বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবারের সময়ের রুটিন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া প্রতি ৪-৬ ঘণ্টার বেশি খাবার না খেয়ে থাকা উচিত নয়।
৫. ক্যালোরিযুক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের যেসব পরিবর্তন আসে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্যালোরির প্রতিক্রিয়া। ক্যালোরিযুক্ত খাবার বা পানীয় আমাদের পেট ভরাতে বাধা দেয়। তাই এ সময়ে ক্যালোরি গ্রহণে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।
৬. খাবারে প্রোটিন রাখুন
প্রতি খাবারে অন্তত ২০-৩০ গ্রাম প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে। এটি আপনার শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করতে এবং মাংশপেশি বজায় রাখতে সহায়তা করবে। আর বয়স ৪০ পেরোলে খাবারে প্রোটিন অংশ রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৭. পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খান
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় এটি ত্বকের ক্ষতি ও নিদিষ্ট কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডেনভারভিত্তিক আরডি, সার্টিফাইড ডায়াবেটিস শিক্ষাবিদ এবং একাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াটিক্সের জাতীয় মুখপাত্র জেসিকা ক্র্যান্ডাল বলেন, বয়স বাড়লে জয়েন্ট ব্যথা হয়। তাই এটি দূর করতে ফল, সবজি, বাদাম এবং মটরশুটির মতো খাবার থেকে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইটদিস ডটকম