গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বর্ষাকালীন টমেটো চাষে লাভবান কুমিল্লার চাষিরা। স্বাদে-মানে ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদা প্রচুর। ফলন ভালো এবং উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এই টমেটোর চাষ বাড়াতে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুরের মাঠে মাঠে অসময়ের টমেটো। বনবেগুনের সাথে বারি-৪ বা বারি-৮ জাতের টমেটোর চারা জোড়া লাগিয়ে গ্রাফটিং চাষ শুরু করেন তরুণ উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন।
টমেটো চাষী আনোয়ার হোসেন বলেন, “মোট ৯০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে।”
তার সফলতা দেখে উদ্যোগী অন্যরাও।
এলাকাবাসীরা জানান, “বর্ষাকালে টমেটো চাষ করেছে, লাভবান কি হয় দেখবো। এরপর আমরা চাষ করবো।”
মাত্র আড়াই মাসেই গাছে ফল ধরে। প্রতি গাছে সাত-আট কেজি টমেটো পাওয়া যায়। এ বছর প্রায় চার একর জমিতে চাষ হচ্ছে এই টমেটো।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, “চাহিদা পূরণে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
অসময়ের টমেটোর চাষাবাদ বাড়িয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পেতে আগ্রহী আরও অনেক চাষি।