ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের কাছে অনেক দেশের শেখার আছে: বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট

বিশ্বের অনেক দেশই বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট রোসেন প্লিভনিলিয়েভ।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

দেশটির রাজধানী সোফিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

গ্লোবাল উইমেন লিডারস ফোরামে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে বুধবার দুপুরে লন্ডন থেকে বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় পৌঁছেন শেখ হাসিনা। এরপর বিকালে রোসেন প্লিভনিলিয়েভের সঙ্গে তার বৈঠক হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

রোসেন প্লিভনিলিয়েভের বলেছেন, ‘অনেক দেশই বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে পারে।’

বৈঠকে শেখ হাসিনাকে সার্বিকভাবে বিশ্বের ‘গ্রেট লিডার’ হিসেবে অভিহিত করেন বুলগেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট।

শেখ হাসিনা এর আগে বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে পৌঁছলে রোসেন প্লিভনিলিয়েভ তাকে অভ্যর্থনা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বুলগেরিয়ার অনেক খাতে ‘অর্থপূর্ণ সহযোগিতা’ হতে পারে বলে মনে করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তির মতো খাতে দুই দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের সম্ভাবনার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট।

এ সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী চতুর্থ দেশ বুলগেরিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বুলগেরিয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার বুলগেরিয়াসহ পূর্ব-ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অগ্রগতি শুরু করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগাস্ট জাতির জনককে হত্যার পর তা থেমে যায়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ সময় কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি ও পর্যটন খাতে পারস্পারিক সহযোগিতার সুযোগ থাকার কথা উল্লেখ করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও একত্রে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার আহ্বান জানালে বুলগেরিয়ায় বিদেশি কর্মীদের জন্য ‘ব্লু কার্ডের’ মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং বুলগেরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আল্লামা সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

লন্ডন থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে রওনা হয়ে বুধবার স্থানীয় সময় দেড়টায় সোফিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান, বুলগেরিয়ার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ভেজদি রাশিদভ ও বুলেগেরিয়ায় বাংলদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আল্লামা সিদ্দিকী।

শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ। বৈঠকের পর চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনা শুক্রবার রাতে সোফিয়া থেকে রওনা হয়ে শনিবার সকালে ঢাকা পৌঁছবেন বলে কথা রয়েছে।

বুলগেরিয়ার এই সম্মেলনে অংশ নিতে গত রোববার ঢাকা থেকে রওনা হন শেখ হাসিনা।

দুই দিন লন্ডনে অবস্থানকালে মঙ্গলবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো ছাড়াও লন্ডনে চিকিৎসাধীন সব্যসাচী লেখক সৈয়ম শামসুল হকের সঙ্গে দেখা হয় তার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের কাছে অনেক দেশের শেখার আছে: বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০১৬

বিশ্বের অনেক দেশই বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট রোসেন প্লিভনিলিয়েভ।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

দেশটির রাজধানী সোফিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

গ্লোবাল উইমেন লিডারস ফোরামে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে বুধবার দুপুরে লন্ডন থেকে বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় পৌঁছেন শেখ হাসিনা। এরপর বিকালে রোসেন প্লিভনিলিয়েভের সঙ্গে তার বৈঠক হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

রোসেন প্লিভনিলিয়েভের বলেছেন, ‘অনেক দেশই বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে পারে।’

বৈঠকে শেখ হাসিনাকে সার্বিকভাবে বিশ্বের ‘গ্রেট লিডার’ হিসেবে অভিহিত করেন বুলগেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট।

শেখ হাসিনা এর আগে বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে পৌঁছলে রোসেন প্লিভনিলিয়েভ তাকে অভ্যর্থনা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বুলগেরিয়ার অনেক খাতে ‘অর্থপূর্ণ সহযোগিতা’ হতে পারে বলে মনে করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তির মতো খাতে দুই দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের সম্ভাবনার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট।

এ সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী চতুর্থ দেশ বুলগেরিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বুলগেরিয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার বুলগেরিয়াসহ পূর্ব-ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অগ্রগতি শুরু করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগাস্ট জাতির জনককে হত্যার পর তা থেমে যায়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ সময় কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি ও পর্যটন খাতে পারস্পারিক সহযোগিতার সুযোগ থাকার কথা উল্লেখ করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও একত্রে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার আহ্বান জানালে বুলগেরিয়ায় বিদেশি কর্মীদের জন্য ‘ব্লু কার্ডের’ মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং বুলগেরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আল্লামা সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

লন্ডন থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে রওনা হয়ে বুধবার স্থানীয় সময় দেড়টায় সোফিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান, বুলগেরিয়ার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ভেজদি রাশিদভ ও বুলেগেরিয়ায় বাংলদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আল্লামা সিদ্দিকী।

শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ। বৈঠকের পর চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনা শুক্রবার রাতে সোফিয়া থেকে রওনা হয়ে শনিবার সকালে ঢাকা পৌঁছবেন বলে কথা রয়েছে।

বুলগেরিয়ার এই সম্মেলনে অংশ নিতে গত রোববার ঢাকা থেকে রওনা হন শেখ হাসিনা।

দুই দিন লন্ডনে অবস্থানকালে মঙ্গলবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো ছাড়াও লন্ডনে চিকিৎসাধীন সব্যসাচী লেখক সৈয়ম শামসুল হকের সঙ্গে দেখা হয় তার।