আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেল যুগে পা দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। ২০২৩ সালের যেকোনো সময় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোপথও যাত্রী চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীর বুকে প্রস্তুত হবে আরও দুটি মেট্রোরেলপথ।
উড়াল-পাতাল মিলিয়ে এমআরটি লাইন-১ এর আওতায় নির্মাণ হবে প্রায় ৩১ কিলোমিটার রেলপথ। এটি বিমানবন্দর ও পূর্বাচল এই দুই ভাগে বিভক্ত। লাইনটি বিমানবন্দর থেকে নতুনবাজার, কমলাপুর হয়ে পূর্বাচল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর অংশের এই ২০ কিলোমিটার পথে পাতালে স্টেশন হবে ১২টি। এটিই বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল।
আর পূর্বাচল অংশে ১১ কিলোমিটার রুট হবে নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত। এই অংশের পুরোটাই উড়াল। এখানে স্টেশন থাকবে নয়টি। এরমধ্যে সাতটি স্টেশন উড়াল পথে আর বাকি দু’টি নদ্দা ও নতুনবাজারের পাতাল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। কিন্তু, ২০২২ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা থাকলেও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পিছিয়েছে কাজ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, রাজধানীর সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত উড়াল-পাতাল মিলিয়ে মোট ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল পথ নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এরমধ্যে ১৩.৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল এবং ৭ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হবে পাতাল।
মোট ১৪টি স্টেশনের ৯টি উড়াল পথে আর ৫টি স্টেশন থাকবে পাতাল পথে। নর্দান রুট নামে পরিচিত এমআরটি লাইন ৫ এর এই অংশের সার্ভের কাজ চলছে। ২০২৮ সালে শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও এই সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। আর এমআরটি লাইন ২ নির্মাণ কাজের কোন অগ্রগতি নেই।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক মনে করেন, এমআরটি লাইন ৬ এর নির্মাণ বায় বেশি থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। তাই এ থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্মাণ করতে হবে পরবর্তী লাইনগুলো। সেই সঙ্গে নির্মাণের সময় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে নতুন পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।