মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৩৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিককে সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ড। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তাঁদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ‘উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ২০৪১ গঠনে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নীতি অস্বীকারের উপায় নেই। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতে পারে।
কিন্তু রাষ্ট্রের মূলনীতিকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির যে লক্ষ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তাহলো দেশের মানুষের মুক্তি। এ লক্ষ্য অর্জনে কলমযোদ্ধাদের লেখনী চালিয়ে যেতে হবে। ‘
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি বলেন, ‘২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন আবার ক্ষমতায় আসেন, আমরা সে চেষ্টা করব। এ জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা কাজ করে যাবেন। ‘
সংবর্ধনা পাওয়া ৩৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হলেন- মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, আবু সাঈদ খান, আসাদ চৌধুরী, আবু তাহের, মৃণাল কৃষ্ণ রায়, হারুন হাবীব, শামসুদ্দিন আহমেদ, মুস্তাক আহমেদ মোবারকী, মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, কার্তিক চ্যাটার্জী, মীর মোস্তাফিজ আহমেদ, শাহাজান সরকার, আকরাম হোসেন খান, তরুণ তপন চক্রবর্তী, হায়দার জাহান চৌধুরী, সলিম উল্লাহ সেলিম, কামরুল ইসলাম খান, আবু জাফর ইকবাল, মাইনুল হক ভূঁইয়া, শফিকুল বাশার, মো. ফরহাদ উদ্দিন সরকার, স্বপন দাস গুপ্ত, সৈয়দ আহমেদুজ্জামান, মো. মফিদুল ইসলাম, মো. শাহজাহান মজুমদার, শামসুদ্দিন আহমেদ, আতাহার হোসেন, হালিম আজাদ, সুধীর কৈবর্ত দাস, রাশেদা আমিন, মো. আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. হারুনুর রশিদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, হাবীবুল্লাহ রানা ও নুরুল্লাহ খন্দকার তারেক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের (বিজেআরএফ)-এর সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।