গম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে নেত্রকোণা ও নোয়াখালীতে কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। নেত্রকোণায় গম ক্ষেতে পোকার আক্রমণে দুশ্চিন্তায় কৃষক। উৎপাদন খরচ উঠা নিয়েই সংশয়ে তারা। তবে প্রথমবারের মতো নোয়াখালীর সূবর্ণচরে গম আবাদ করে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক।
নেত্রকোনার বেশিরভাগ গম ক্ষেত্রে পোকার আক্রমণে হতাশ চাষীরা।
এবার উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়েই শংকায়ে কৃষক।
কৃষকরা জানান, এবছর আমরা যে গম চাষ করেছি তা ভালো হয়নি। পোকায় ধরে ফেলছে। বিভিন্ন রোগের কারণে গমের আবাদ কমে যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, গমের আবাদ বাড়াতে কৃষকদেরকে বিনামূলে সার ও বীজ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তেলের চাহিদা পূরণে সরিষা আবাদেও উৎসাহিত করা হচ্ছে।
নেত্রকোনা খামার বাড়ি উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, “বারি গম-৩৩ ছাড়াও নতুন নতুন কয়েকটি জাত এসেছে। গবেষণার মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে গম আবাদ সম্প্রসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
নেত্রকোনায় এবার ৭২০ হেক্টর গম আবাদের লক্ষ্য ধরা হয়। চাষ হয়েছে ৭২৬ হেক্টর জমিতে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আগে কখনো গমের আবাদ হয়নি। কৃষি বিভাগের সহায়তায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে শতাধিক কৃষক প্রথমবারের মতো গম চাষ শুরু করেন। বারি-৩০ জাতের উচ্চ ফলনশীল গমের বাম্পার ফলন দেখে আগ্রহ বেড়েছে সুবর্ণচরের কৃষকদের।
কৃষকরা জানান, প্রথমে ভয় ছিল যে কি ফসল হয় না হয়। তবে এখন দেখছি ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আগামীতে গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে।
কৃষি বিভাগ বলছে, দেশের ৮০ ভাগ গমের চাহিদা মেটে আমদানিতে। তাই আমদানি নির্ভরতা কমাতে গমের আবাদে কৃষকদের সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস কৃষি কর্মকর্তার।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, “আশা করছি, এবছর সুবর্ণচরে গমের আবাদ আরও বেশি সম্প্রসারিত হবে।”
কৃষি বিভাগ বলছে, এবছর সুবর্ণচরে ১শ’ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হলেও আগামী বছর তা কয়েকগুণ বাড়বে।