বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বরিশাল বুলসের মালিক আউয়াল চৌধুরীর কথায় চোখের জল ঝরলো মুশফিকুর রহীমের। মুশফিকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ, দায়িত্বহীনতা ও দলের মধ্যে গ্রুপিংয়ের অভিযোগ এনে বিবৃতি দেন বরিশাল বুলসের অন্যতম মালিক ও বিসিবি পরিচালক আউয়াল চৌধুরী।
এর প্রতিক্রিয়ায় আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবেগে কেঁদেই ফেলেন মুশফিক। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কেউ কখনও করতে পারবে তা ভাবতেই পারছেন না তিনি।
ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে মুশফিক বলেন, ‘গত ১২ বছর আমি জাতীয় দলে খেলছি। আমার সম্পর্কে এমন অভিযোগ এর আগে কখনও ওঠেনি। তিনি আমাকে খারাপ খেলোয়াড় বলতে পারেন। তবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলতে পারেন না। আমার শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে তিনি যে প্রশ্ন তুলেছেন কিংবা আমি খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে পারি না, টিম মিটিংয়ে কথা বলি না—এসব কথা খুব খারাপ লেগেছে। আমি আশা করব, মল্লিক ভাইয়েরা বিষয়টা দেখবেন। আমি তাদের জানিয়েছি। আজ আমার সাথে হয়েছে, সামনে যে অন্য কোনো খেলোয়াড়ের সাথে হবে না, তার গ্যারান্টি কি? এইটুকু সম্মান তো একজন খেলোয়াড় পেতেই পারেন।’
কান্না চেপে না রাখতে পেরে সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই এক পর্যায়ে লাউঞ্জ ত্যাগ করেন মুশফিক। এ ব্যাপারে বিসিবির অবস্থান অবশ্য মুশফিকের পক্ষেই। বিপিএলের গভর্নিং কমিটির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, আউয়াল চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় দলের অধিনায়ক বা একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে তিনি এভাবে বলতে পারেন না। আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব। যথাযথ উত্তর না পেলে ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সেটা হতে পারে আর্থিক কিংবা অন্য কোনো শাস্তি।’
মুশফিককে দলে না রাখার ঘোষণা দিয়ে বরিশাল বুলসের মালিক আউয়াল চৌধুরী বলেছিলেন,‘এবার আমরা মুশফিককে চাই না। কারণ তিনি কিছুটা এলোমেলো। তাছাড়া তিনি গত বছর আমাদের ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিলেন। আমরা তা বোর্ডকে জানিয়েছিলামও। আগের বছর সিলেট রয়েলসের হয়ে একই কাণ্ড করেছেন তিনি। তার কাছ থেকে এমনটা আশা করা যায় না।’এরপরই আউয়াল চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিসিবিতে নালিশ জানান মুশফিকুর রহীম। ইতিমধ্যে নতুন দলও ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। এবার মুশফিক খেলবেন রাজশাহীর হয়ে।
গত বছর বুলসের আইকন খেলোয়াড় ও অধিনায়ক ছিলেন মুশফিক। দলের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এনেছিলেন দলটির ব্র্যান্ড আ্যম্বাসাডর ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। জবাবে আসিফকে পাপল বলেছিলেন মুশফিক। এবার দলের মালিক মুশফিকের বিরুদ্ধে আনলেন অন্য অভিযোগ।এ বিষয়ে জানতে বরিশাল বুলসের মালিক বুলুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তার প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।