ঢাকা , রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাট কাঁপাবে ৫৭ মণের ‘নোয়াখালী কিং’

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এখন আলোচনায় বিশাল আকারের গরু। এই বিবেচনায় ‘নোয়াখালী কিং’ নজর কেড়েছে সবার। গরুর মালিকের দাবি, এটিই দেশের সবচেয়ে বড় গরু। কেউ কেনার আশায় দেখতে আসছেন, অনেকে শুধু এত বড় ষাঁড়টি সামনাসামনি দেখার জন্যই আসছেন।

৫৭ মণ ওজনের ‘নোয়াখালী কিং’ এর মালিক লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী স্টীলব্রিজ এলাকার মোহাম্মদ উল্যা। পেশায় তিনি গরুর খামারি। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে চার দিন বয়সী বাছুরসহ দুধের গরু কেনেন। সেই বাছুরটি আজকের নোয়াখালী কিং। আসন্ন কোরবানির ঈদে ষাঁড়টি ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান।

দু-একদিনের মধ্যে তিনি ষাঁড়টি ঢাকার গাবতলী পশুরহাটে তুলবেন। স্থানীয় বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্মে পুরোপুরি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি। সাড়ে তিন বছরে সেটির ওজন হয়েছে ৫৭ মণ।

মোহাম্মদ উল্যা আরও জানান, তিনি ৬ বছর আগে বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্ম নামে গরুর খামার গড়ে তোলেন। মূলত দুধের গরু পালন করে দুধ বিক্রি করেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি দুধের গরু কেনেন। তখন গরুর সঙ্গে থাকা বাছুরটির বয়স ছিল মাত্র চার দিন। বাছুরটি তিনি লালনপালন করে বড় করেন। বিশালাকৃতির হওয়ায় এটির নাম দিয়েছেন ‘নোয়াখালী কিং’। সেটি কোরবানির পশুরহাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

মোহাম্মদ উল্যা আরও বলেন, ‘অনেক খামারি কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করেন। কিন্তু আমি প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরুটি পালন করেছি। এটি ভূষি, খৈল, খড়, ভাতের মাড় এবং কাঁচা ঘাস খায়। প্রতিদিন ১৫-১৬ কেজি খাবার লাগে ষাঁড়টির। খুব যত্ম করে ষাঁড়টি লালনপালন করেছি।’

রায়পুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বেড় ৭ ফুট ৪ ইঞ্চি,  ওজন প্রায় ৫৭ মণ। ২৩০০ কেজি মাংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

হাট কাঁপাবে ৫৭ মণের ‘নোয়াখালী কিং’

আপডেট টাইম : ০৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এখন আলোচনায় বিশাল আকারের গরু। এই বিবেচনায় ‘নোয়াখালী কিং’ নজর কেড়েছে সবার। গরুর মালিকের দাবি, এটিই দেশের সবচেয়ে বড় গরু। কেউ কেনার আশায় দেখতে আসছেন, অনেকে শুধু এত বড় ষাঁড়টি সামনাসামনি দেখার জন্যই আসছেন।

৫৭ মণ ওজনের ‘নোয়াখালী কিং’ এর মালিক লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী স্টীলব্রিজ এলাকার মোহাম্মদ উল্যা। পেশায় তিনি গরুর খামারি। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে চার দিন বয়সী বাছুরসহ দুধের গরু কেনেন। সেই বাছুরটি আজকের নোয়াখালী কিং। আসন্ন কোরবানির ঈদে ষাঁড়টি ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান।

দু-একদিনের মধ্যে তিনি ষাঁড়টি ঢাকার গাবতলী পশুরহাটে তুলবেন। স্থানীয় বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্মে পুরোপুরি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি। সাড়ে তিন বছরে সেটির ওজন হয়েছে ৫৭ মণ।

মোহাম্মদ উল্যা আরও জানান, তিনি ৬ বছর আগে বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্ম নামে গরুর খামার গড়ে তোলেন। মূলত দুধের গরু পালন করে দুধ বিক্রি করেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি দুধের গরু কেনেন। তখন গরুর সঙ্গে থাকা বাছুরটির বয়স ছিল মাত্র চার দিন। বাছুরটি তিনি লালনপালন করে বড় করেন। বিশালাকৃতির হওয়ায় এটির নাম দিয়েছেন ‘নোয়াখালী কিং’। সেটি কোরবানির পশুরহাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

মোহাম্মদ উল্যা আরও বলেন, ‘অনেক খামারি কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করেন। কিন্তু আমি প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরুটি পালন করেছি। এটি ভূষি, খৈল, খড়, ভাতের মাড় এবং কাঁচা ঘাস খায়। প্রতিদিন ১৫-১৬ কেজি খাবার লাগে ষাঁড়টির। খুব যত্ম করে ষাঁড়টি লালনপালন করেছি।’

রায়পুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বেড় ৭ ফুট ৪ ইঞ্চি,  ওজন প্রায় ৫৭ মণ। ২৩০০ কেজি মাংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।